অমলের যাত্রা।
অমলের যাত্রা।


রথী বললেন,বাবামশাই গাড়িতে উঠুন।চোখ রোদচশময়া ঢাকা।চোখের জল আড়াল করলেন।আবার এও ভাবলেন,চিরকাল তো ভেবে এসেছেন বড়োর মারে কষ্ট কম।জোড়াসাঁকোবউঠানের ঘরে যাবেন একবার।শূন্য ঘর।পিয়ানোতে হাত দিলে নিশ্চয় বাজবে এখনও।আমার গলা কি কর্কশ বউঠান" ভারী কর্কশ।মিঠে নয় মোটেই।আর আমার লেখা গান! মন্দ নয়।তবে সেও কবিতা।কতোজন আমায় গান গাইতে ডাকে জানো! জানি! বলে খিল খিল করে হাসলেন।ঘুঘু ডেকে উঠল অদূরে।বউঠান,আমার দিনও শেষ হয়ে এলো।মনে হয়,বিচিত্র ছলনাজালে এ শুধু মায়ার খেলা।হাসপাতালে করলে ভাল করতেন।জোড়াসাঁকোর তাঁর প্রিয় বারান্দায় চিক টেনে শোয়ান হল।লাগছে আমার! ওটা ভয় থেকে।আপনি ভয় পেয়েছেন।কলকাতা শহর যেন জনজোয়ার প্রতিমা দেবী এলেন।ডাকলেন,বাবামশাই! সাড়া নেই।সুধা বলল, অমল এতো দেরী কেন! দই বেচলে।হাসল কিশোর অমল।বলল,আর ফেরিওয়ালা নয়,দেবতার ফুল কুড়োবো তোমার সঙ্গে।আমি আসছি।