রসিক।
রসিক।
বর্ধমানের চুরুলিয়ার দুখু মিঞা বেশ গান গায়, সুর দেয় কিন্তু তার বেশী নজর ছোট গল্পে।সেসব ছেড়ে দুখু গেলো পল্টনে।বাঁশি রইল কিন্তু সুর হারালো।গল্প অবশ্য লেখা হল।এদিকে বন্ধু শৈলজানন্দ দিস্তে দিস্তে কবিতা লিখছে।ফিরলো একদিন দুখু।দেখা হলো ভ্রমরের সঙ্গে।সে বলল,কবি তোমার গান কোথায়! দুখু বলল,গল্প শোনাতে পারি।শৈলজা বলল,ভ্রমর,আমি তোমায় কবিতা শোনাতে পারি।সে বলল,একটু চিন্তা করি।কাল ভোরে বলব।পরদিন ভোরে সে নিদান দিলো,নজরুল,তুমি লিখবে গান কবিতা আর শৈলজা গল্প।তাই হলো পরদিন থেকে।৷
অনেক বছর পর ঢাকা এসেছেন কবি।গানে গানে ভুবন ভরিয়ে এখন যে আর মনে পড়ে না কিছু।মালা পরাবেন প্রধানমন্ত্র। সব কিছু কুটিকুটি করে ছিঁড়ে
ফেলছেন।এই সময় কেউ গাইলেন,ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি!সেই গ্রাম সেই ভ্রমর সেই বিষের বাঁশি।স্মৃতি পলের জন্য জেগে উঠল।নীহারিকা পথে আবার দেখা হলো সখীর সঙ্গে।