স্বান্তনা লাইব্রেরী
স্বান্তনা লাইব্রেরী
সদ্য এক বছর হল যদু বাবু তার শিক্ষকতা চাকুরী জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি বরাবরই আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সুনাম আছে। আরেকটি নাম আছে তাঁর বইপাগল যদু বাবু। চিনি বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু অন্যান্য বিষয়ক অগাধ জ্ঞান ছিল তাঁর। সারা বিবাহ করেননি, সারা জীবন শিক্ষকতা এবং সাহিত্যচর্চা নিয়েই দিনাতিপাত করতেন। তিনি একজন নামি লেখক ছিলেন। দেশ কয়টি কবিতা গল্পের বই এবং উপন্যাস লিখেছেন। সাহিত্যিক মহলে তার তাঁর বেশ নামডাক আছে।
বইপাগল যদি বাবু যখনি কোথাও নতুন লেখক এর নতুন বইয়ের খোঁজ পেতেন, তিনি তা সংগ্রহ করতেন। বাড়িতে তাঁর নিজস্ব একটি বইয়ের লাইব্রেরি আছে। তাতে কয়েক হাজার সব রকম বই সংগ্রহ করে রেখেছেন। স্বদেশী বিদেশী বিভিন্ন লেখকের এর বই তিনি সংগ্রহ করতেন। শুধু তাই নয় সব বই তিনি পড়ে পড়ে ফেলেন। তাই তাঁর বিশ্বসাহিত্য গবেষণা, বিজ্ঞান, রহস্য গল্প নিয়ে তাঁর অগাধ জ্ঞান ছিল। তিনি বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেন। সুবক্তা হিসেবে তাকেসবাই জানেন।
স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান তিনি সুন্দর করে কর্মসূচি সাজাতেন এবং নিজে পরিচালনা করতেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন, এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করতেন। বিদ্যালয় সব শিক্ষকের কাছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তিনি ভিশন শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। সুন্দর একটি হাসি তার মুখে সবসময় লেগেই থাকত, তিনি খুব মিষ্টভাষী । তিনি যখন কথা বলেন তখন শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার কথা শুনেন।
তিনি বারবার আক্ষেপ করে ছাত্র সমাজকে বলতেন, বর্তমান সময়ে সেল ফোনের দৌলতে আমরা সবাই বই পড়তে ভুলে যাচ্ছি। এবং বইয়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসা নেই বললেই চলে। এখনকার ছেলেমেয়েরা রবীন্দ্রনাথ, মাইকেল মধুসূদন, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ইত্যাদি লেখকদের সম্পর্কে কিছুই জানে না। এইসব মনীষীদের লেখা এখন কেউ পরেনা। সেল ফোনের মাধ্যমেই প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের ধ্যান ধারণাগুলো মনোযোগ দিয়ে গ্রহণ করছে। প্রতিনিয়ত বিদেশি ছায়াছবিগুলো দেখতে অভ্যস্ত হয়ে নিজের দেশের ছায়াছবি দেখতে ভুলে যাচ্ছে।
বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ জ্ঞানের আধার। 100 টি ভালো বন্ধুর সমান একটি বই। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে বসে বসে বই পড়ার মতো সময় নেই। সেলফোনের দৌলতে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং বিভিন্ন ধরনের খেলায় নিজেদের মগ্ন রাখে। এখনকার সময়ে কি সব খেলা বেরিয়েছে যা দেখে অনেক ছেলেমেয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
অভিভাবকরাও হতাশ হয়ে যাচ্ছেন বর্তমান সময়ে। এ সময় টা প্রতিযোগিতার সময়। কে কাকে পিছনে ফেলে আগে চলে যাবে, সেই ভাবনা নিয়ে শিশু জন্মের পর থেকেই চলতে থাকে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জ্ঞানহীন সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষার ফলে হয়তো অনেকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে। কিন্তু তাদের অন্যান্য জ্ঞানের ধারা অতি সামান্য। এখন কেউ রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর পড়তে চায় না। জানেনা আমাদের দেশে এবং আমাদের রাজ্যে একসময় এই মহা মনীষীদের আবির্ভাব হয়েছিল, সেই স্বর্ণযুগের কথা এরা জানেনা।
তিনি আমাদের বলতেন, তোরা বেশি করে বই পড়বি । আমাদের দেশের লেখকদের যে সোনার ফসল ফুটে আছে তা হয়তো অন্য কোন দেশে নেই। আমি তাই বলে অন্য দেশের লেখকদের বই পড়তে বারণ করছি না। তাদেরও বই পড়তে হবে এবং নিজেদের যে সমস্ত মনীষীরা সাহিত্য বিজ্ঞান গবেষণায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন, তাদের লেখা বই এবং তাদের সম্পর্কে বেশি বেশি করে জানতে হবে। তবে জ্ঞানের ভান্ডার প্রসারিত হবে।
তিনি স্কুলের পর নিজের বাড়িতে বিনে পয়সায় ছাত্র ছাত্রী পড়াতেন। কোনদিন কারো কাছে একটিও টাকা নিতেন না। সেখানে তিনি আমাদের রুটিন করে সব বিষয়ে পড়াতেন।
তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এমন হয়েছিল যে, তার জীবনের ব্যক্তিগত কথা গুলো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। আমরা তার সম্পর্কে জানতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি কেন বিয়ে না করে এমন সন্ন্যাস জীবন বেছে নিলেন। তিনি বলতেন, সে অনেক কথা।
পূর্ববঙ্গে ময়মনসিংহ জেলায় প্রত্যন্ত গ্রামে আমাদের বাড়ি ছিল। সে সময়টা পূর্ব পাকিস্তান ছিল। সেখানে গ্রামে আমি পড়াশোনা করি। ময়মনসিংহ কলেজে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে এমএ পাস করি।
সে সময় ওখানে হিন্দুদের উপর কিছু সংখ্যক মৌলবাদী মুসলমানেরা বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার শুরু করে। সেই অন্যায়-অত্যাচারের শিকার হয়েছি আমরাও। আমি ওখানে সান্তনা নামে একটি মেয়েকে ভালবাসতাম। সেও পড়াশোনায় ভীষণ ভালো ছিল। সবে কলেজের পড়া শেষ করেছে সান্তনা, আমার পরিবার এবং সান্তনার পরিবার মেনে নিয়েছিল আমাদের সম্পর্ক কে। আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু তখন গ্রামে ভীষণ গন্ডগোল চলছিল। রাত হলেই গ্রামের হিন্দুরা ভয়ে কাঁপতে থাকত কখন কোথায় কি দুর্ঘটনা ঘটে তার প্রতীক্ষায়। এমনি করে কিছুদিন চলার পর খবর পেলাম ওরা খুব শিগগিরই আমাদের গ্রামে আক্রমণ করবে। আমার বাবা তখন নিরুপায় হয়ে জমিজমা গোপনে হালিম চাচা নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। এবং আমি আমার ছোট ভাই, মা এবং সান্তনা দের পরিবারে সান্তনা ওর বাবা-মা এ ক'জনে মিলে রাতের অন্ধকারে ওদের সে রে ভারতে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেমন করে এই সংবাদ ওই দুষ্কৃতীরা পেয়ে যায়।
আমরা যখন ভুরুঙ্গামারী বর্ডারের কাছে এসেছি, আর সামান্য কিছুটা দূর গেলে ভারত বর্ষ।, গীতালদহ গ্রাম। আমরা ঠিক করেছিলাম , বর্ডার পার হতে পারলেই ওদিকে আমাদের নেওয়ার জন্য কোচবিহারে মামার বাড়ির লোক গীতা বর্ডারে অপেক্ষা করবে এবং আমাদের নিয়ে যাবে।
কিন্তু হঠাৎই কই রাতে আমাদের উপর নেমে আসে কঠিন কঠিন বিপদ। একদল লোক হাতে বন্দুক ধারালো তরবারি নিয়ে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার বাবা-মাকে ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। সান্তনার বাবা-মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ফেলে। আমি অনেক কষ্টে দূরে গিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে পড়ি। দেখতে পাই সান্তনা কে জোর করে ওরা টেনে নিয়ে জঙ্গলে ধরে চলে যায়। সান্তনা চিৎকার করতে থাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে। কিন্তু আমি এত অসহায় যে ওই সময় আমি কিছুতেই ওকে উদ্ধার করতে পারবোনা।
কিছুক্ষণ পরে সান্তনার বিকট আওয়াজ শুনতে পাই তারপর সব শান্ত হয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা আমাদের বাবা-মায়ের কাছে যে টাকা পয়সা সোনাদানা ছিল সব নিয়ে গেছে।
আমি কিছুক্ষণ বাদে সম্বিৎ ফিরে পাই, কিন্তু আমার কি কর্তব্য কিছু ঠিক করতে পারিনা।
অনেক পরে নিজেকে সামলে নিয়ে চুপি চুপি বাবা-মায়ের ওখানে যাই চাঁদের আবছা আলোতে দেখতে পাই, বাবা-মা ভাই এবং সান্ত্বনার বাবা-মা এদিক ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসব দেখে আমি যেন পাগলের মত হয়ে যাই। তারপর সান্তনা কে দেখার জন্য যেখান থেকে ওর কান্না শুনতে পেয়েছিলাম, সেদিকে যাই। গিয়ে দেখি সব শেষ। সান্তনা ও আমি বেঁচে নেই। কি করব তখন কিছুই ভেবে ঠিক করতে পারলাম না। কিছুক্ষণ পরে ওদিকে আবার লোকজনের আওয়াজ শুনতে পেলাম। ভয়ে দিশেহারা হয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে উত্তর দিকে ছুটতে লাগলাম।
এক সময় রাত শেষ হয়ে গেছে তবু আমি ছুটে থাকি দিশাহীন পাগলের মত। তারপর যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পিলার পার হয়ে ভারতে এলাম, তখন সামনে দেখি একটি জনবসতি। ভাবলাম আমার আর ভয় নেই,
আমি এবার ভারতে এসে পৌঁছেছি।
আমি হাঁপাতে হাঁপাতে একটি বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করে সে বাড়ির লোকজন বেরিয়ে আসতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।
তারপর যখন জ্ঞান ফিরলো তখন বুঝলাম আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আমার দুই মামা,
। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললা এখন আর তোর কোন ভয় নেই যদু তুই এখন নিরাপদ স্থানে আছিস। ডক্টর বাবু এলেই ছুটি নিয়ে তোকে বাড়ি নিয়ে চলে যাব। বাড়িতে গিয়ে এসব কথা হবে।
সঙ্গে আমার স্কুল , কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটগুলো আমার সঙ্গে ছিল। আর কিছু টাকা আমার কাছে ছিল। সে টাকাগুলো মামার হাতে তুলে দেই। এবং তার কিছুদিন পর মামা চেষ্টা করে এই স্কুলে বাংলা টিচার হিসেবে ঢুকিয়ে দেন। কিন্তু আমি চাকরি পেলেও আমার নিজস্ব বাড়ি থাকলেও আমি কিছুতেই ওই রাতের কথা। ওই রাতের বীভৎস ঘটনার কথা কিছুতেই ভুলতে পারিনা। চোখের সামনে এতগুলি মানুষের নির্মমভাবে মৃত্যু, এবং অসহায় ভাবে সান্তনার সব লুট করে কাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না।
পরে শুনেছি আমি চলে আসার পর রাতেই ওই গ্রামের লোকজন এসে মৃতদেহগুলি দেখে পুলিশকে খবর দেয় এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে খবর দেয়।
তারপর শুনলাম সব দুষ্কৃতীদের পুলিশ ধরেছে এবং তাদের বিচার হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তিতে ফাঁসির সাজা হয়েছে।
তারপর আমি আর কোনদিন ওদিকে পা বাড়ায়নি। ভয়-ভীতি নির্মম অত্যাচার এবং নির্মমভাবে বাবা মা ভাই এর এভাবে মৃত্যু এবং আমার সান্তনা কে যেভাবে মেরেছে আমি কিছুতেই ভুলতে পারিনা। এবং ইচ্ছে করে ওই দেশের প্রতি ওই সব মানুষের প্রতি আমার ঘৃণা এবং ক্ষোভ জন্মেছে আর কোনদিন ওদিকে পা বাড়াবো না।
মামা মামি অনেকবার ভালো মেয়ে দেখে আমাকে বিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি যশোদার স্মৃতিকে কিছুতেই ভুলে গিয়ে অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হইনি।
এবং সব জানিয়ে দিই আমি জীবনে কোনদিন বিয়ে করব না। সেই থেকে আমি যশোদার ভালোবাসা থেকে ভুলে থাকার জন্য মাত্র বইকে আমার জীবন সাথী করেছি। বই এর মধ্য দিয়ে আমি আমার জীবনকে অনেকভাবে। সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম , সব বুঝেছি।
সব রাজনীতির জন্য, ধর্মের জন্য এই দেশ ভাগ, সন্ত্রাস মারামারি হানাহানি। আর এই কারণেই আমাদের আত্মীয়-পরিজনদের প্রাণ দিতে হলো নির্মমভাবে। আমি বুঝেছি মানুষের চেয়ে রাজনীতি, আর ধর্মের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাতে মানুষ বাসুক বা না বাসুক সুস্থ-স্বাভাবিক থাকুক বা না থাকুক রাজনৈতিক নেতাদের এবং ধর্মীয় নেতাদের তাতে কিছুই তাদের যায় আসে না।
আমি এভাবে বীতশ্রদ্ধ হয়ে বই কে আপন করেছি , স্কুল কে আপন করেছি এবং তোমরা যারা ছাত্র-ছাত্রী আছো তাদের আপন করে যে কটা দিন আছি এমনিভাবে কাটিয়ে যেতে চাই।
তিনি আমাদের বললেন। আমি দুটো কাজ করতে চাই, এ দুটো কাজই আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা। আবেগ জড়ানো গলায় বললেন, প্রথম কাজটি হচ্ছে, আমার সারাজীবনের সংগ্রহ করা কয়েক হাজার বই, যা দিয়ে আমি আমার ভালোবাসার পাত্রী সান্তনা নামে ওই লাইব্রেরীটি স্কুলে কে দান করতে চাই। আর দ্বিতীয় ইচ্ছা হচ্ছে, আমার সারা জীবনের জমানো সব টাকা আমি স্কুলের উন্নয়ন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের জন্য গান করে যেতে চাই। এই কথাটুকু বলে তিনি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্কুলের হেড মাস্টার মশাই এবং অন্যান্য মাস্টারমশাইরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে সাধুবাদ দিয়ে বসান।
আমরা কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী মিলে গাড়ি করে উনার ঘরে লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখি, লাইব্রেরির উপরে লাইব্রেরীর উপরে সুন্দর করে লেখা আছে, সান্তনা লাইব্রেরী। আমরা ভিতরে ঢুকে দেখি, কয়েক হাজার বই যা একটি ছোট গাড়ি করে নিয়ে আসা যাবেনা। আমরা সযত্নে বইগুলোকে গাড়িতে তুললাম।
যদু বাবু দূরে বসে থেকে আমাদের কাজ দেখছেন আর অপলোকে উদভ্রান্তের মত উপর দিকে তাকিয়ে থাকেন। হয়তো সান্তনার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং চিরদিনের মত তার সান্ত্বনা লাইব্রেরী তার ঘর থেকে চলে যাচ্ছে দেখে একটু মুশরে পড়েন।
কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে তিনি বলেন, দেখিস ভালো করে সব উঠিয়ে নিস বইগুলো অনেক দামি এবং মূল্যবান। পাথরে খোদাই করা লাইব্রেরীর নামের ফলকটি খুব যত্ন সহকারে তুলে নিস। যাতে না ভাঙ্গে। এই বলে জলভরা চোখে খানিকক্ষণ সেই ফলটির দিকে তাকিয়ে থাকলেন।