প্রেতিনী
প্রেতিনী
ঝাণ্টিপাহাড়ির কাছে সিরজাম গ্রামে বেড়াতে এসেছে অনুভব। এখানে এসেই সে প্রেমে পড়েছে লছমীর। উচ্ছল নদীর মতো কুমারী লছমী প্রথম দর্শনেই মন কেড়ে নিয়েছে তার। ঠিক হয়েছে সূর্যাস্তের পর গ্রামের পাশেই পাহাড়ের ধারে মহুয়াবনে লছমীর সাথে সে দেখা করবে । সূর্য ডুবে গেছে। সন্ধ্যাবেলা। চারিধার নিঝুম। ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। মহুয়াবনের মধ্য দিয়ে অভিনব চলেছে অভিসারে। কিন্তু লছমীর আসতে এতো দেরি হচ্ছে কেন! তাহলে কি বৃথাই হবে তার প্রতীক্ষা।
আকাশে পূর্ণিমার পূর্ণচন্দ্র গোল রূপোর থালার ন্যায় প্রতিভাত হচ্ছে। আরে ঐ তো লছমী আসছে। খোলা চুলে মুণ্ডা তরুণীকে অপূর্ব লাগছে। আর নিজেকে সামলাতে পারল না অভিনব। লছমীকে গিয়ে দৃঢ় আলিঙ্গনে নিজের কাছে টেনে নিল। কিন্তু লছমীর দেহ তো বরফের মতো শীতল। খিলখিল করে অপার্থিব স্বরে হেসে উঠল লছমী। মুখ থেকে বেরিয়ে এল তীক্ষ্ণ শ্বদন্ত। দু চোখ রক্তবর্ণ। ধারালো নখরযুক্ত দুহাত দিয়ে অভিনবকে নিজের কাছে টেনে নিল লছমী।