ফুল না Fool? (পর্ব ১)
ফুল না Fool? (পর্ব ১)
কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অর্ক। অত্যন্ত মেধাবী এবং বুদ্ধিদীপ্ত। কিন্তু বেচারার একটাই অসুবিধা। বেচারা মেয়েদের সাথে ঠিক মতন কথা বলতে পারে না। মেয়েদের সামনে কথা বলতে গেলেই তোতলাতে শুরু করে দেয়। ভয়েতে হাত পা কাঁপতে শুরু করে দেয়। বেচারা নিজের এই ছোট্ট জীবনে আজ অবধি অনেক কেরাস খেয়েছে। কিন্তু ভয়তে কাউকে কোনো দিনও বলে উঠতে পারেনি।তাই এখন কেরাসগুলোকে মনের মধ্যেই ক্র্যাশ করে দিয়ে বালি চাপা দিয়ে দেয়।
অবশ্য অর্ক একবার একজনকে প্রপোজ করার চেষ্টা করেছিল। সেইবার একটা হলুদ রঙের গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে গিয়েছিল মেয়েটিকে প্রপোস করতে। কিন্তু দুর্ভাগ্য!!! অর্ক মেয়েটির সামনে গিয়ে প্রথমে কিছু বলতেই পারে না। পরে যখন কিছু বলার চেষ্টা করে তখন যা বলেছে তাতে মেয়েটির হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপ বেচারার গালে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো। অর্ক এই জন্য বন্ধুদের কাছে হাসির খোরাক হয়েছিলো। তাই লজ্জায় বেচারা তিন দিন বাড়ির বাইরে বেরোয়নি। এই রকম একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার পর অর্ক আর কখনো কাউকে প্রপোজ করার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি।
কিন্তু বর্তমানে ওর জীবনের একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। কলেজে ওরই ডিপার্টমেন্টে ওরই ক্লাসে স্নিগ্ধা নামের একটা মেয়ে নতুন ভর্তি হয়েছে। যেদিন থেকে অর্ক স্নিগ্ধাকে দেখেছে সেদিন থেকেই অর্ক ওকে একমুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারিনি। উঠতে- বসতে, জাগতে, শয়নে- স্বপনে সবেতেই সর্বদা স্নিগ্ধার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। কোনোকিছুতেই ঠিক মত মনোযোগ দিতে পারে না। যে কাজটাই করতে যায় সেটাই উল্টোপাল্টা হয়ে যাচ্ছে। অর্ক প্রথম প্রথম এতে অতটা গুরুত্ব দেয়নি অর্ক মনে করেছে হয়তো ঠিক মতো ঘুম হয়নি সেই জন্যই এমন হচ্ছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততো অর্কর অস্বস্তি বাড়তে থাকে। অর্ক ভাবে ওর হয়তো কোনো মানসিক সমস্যা হচ্ছে। তাই এরকম অস্বস্তি হচ্ছে। এই সমস্যাটা যাতে আরও বেশী গুরুতর না হয়ে যায়, তাই মনে মনে ঠিক করে ও একটা সাইক্রিটিস্ট এর ডায়াগনসিস নেবে। কিন্তু বাড়িতে যদি কেউ এই সাইক্রিটিস্ট এর কথাটা জানতে পারে, তাহলে সবাই কি প্রতিক্রিয়া করবে সেই ভেবে বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে সাইক্রিটিস্ট এর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ক্রমশঃ.......