এ কেমন ভালোবাসা!
এ কেমন ভালোবাসা!
বিয়ের কার্ডটা হাতে নিতেই চোখের জলটা বাঁধ মানছে না মিতালির। আর একসপ্তাহ পরই বিয়ে। আসলে মিতালির বাবা হটাৎই একদিন এক পরিচিতের কাছ থেকে মিতালি এবং রোহিতের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান। তাই গতসপ্তাহেই উনি শহরের মস্ত এক ব্যবসায়ীর ছেলের সাথে মিতালির সম্মন্ধটা পাকা করে দেন। আসলে রোহিত সাধারণ একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করে। তারওপর রোহিতের পরিবার মিতালিদের পরিবারের মতোন সম্ভ্রান্ত এবং উঁচু জাতেরও নয়। তাই নিজের মান-সম্মান বাঁচাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিতালির বিয়েটা দিতে পারলে যেন শান্তি ওনার।
আজ শেষবারের মতো রোহিতের সাথে দেখা করতে এসে, রোহিতের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব শুনে নাকোচ করে দেয় মিতালি। রোহিত অনেক বোঝালেও মিতালির সেই এক গো। ও নিজের বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছুতেই বিয়ে করবে না। অতঃপর রোহিত মিতালিকে নিজের সঙ্গে আজকের দিনটা একসাথে কাটানোর শর্ত দিয়ে ওর কথা মেনে নিলো। মিতালিও রাজি হয়।
রোহিত মিতালিকে নিয়ে নির্মীয়মান বহুতলের টপে আসে। মিতালি রোহিতকে জিজ্ঞাসা করে, ওরা এখানে কেন এসেছে? উত্তরে রোহিত মিতালির কপালে আলতো চুম্বন করে রহস্যময়ভাবে হেসে বলে, " সরি মিতালি! কিন্তু তুমি আমার না হলে অন্যকারোরও হবে না। " কথাটুকু বলে রোহিত মিতালির বাহুদ্বয় শক্ত করে ধরে খোলা ছাদের একদম কিনারার কাছে চলে আসে। মিতালি সারা শরীরে হিমশীতল স্রোত বয়ে গেল। ও অনুভব করতে পারছে এরপর কি ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে চলেছে!