মাস্ক-এরর হরর নাইট'!
মাস্ক-এরর হরর নাইট'!
এই দিন কয়েক আগে আমরা—মানে বাঙালিরা—ভূত চতুর্দশী উৎসব পালন করলাম। আর আজকে ৩১শে অক্টোবর, আবার ভূত উৎসব অর্থাৎ হ্যালোউইন পালনের দিন। (আগে বলে দিচ্ছি, এই সব জ্ঞান আমি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পেয়েছি)। তবে আজকাল আর কাউকে ভূতের ভয় পেতে দেখিনা। দেখবেনই বা কি করে! আজকাল তো মানুষই ভূতের মতো সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে!
দাঁড়ান দাঁড়ান, আগে একটু নিজের পরিচয়টা দিই। আমি পুতুল। না না, লাবুবু বা অ্যানাবেল পুতুল নই। আমি শুধু পুতুল, ইয়ে মানে পুতুল পলমল। বাবা-মা কেন আমার এই অদ্ভুত নাম রেখেছেন, সেই গল্প বরং পরে একদিন শোনাবো আপনাদের।
এবার প্রসঙ্গে ফিরি বরং। কি যেন বলছিলাম? হ্যাঁ, মনে পড়েছে। বাঙালিদের ভূত চতুর্দশী আর খ্রিস্টানদের হ্যালোউইন—মানে, ভূতের থেকে ভয় পাওয়ার একটা নির্দিষ্ট দিন। ভূতেদের থেকে ভয় পেতে হলেও নির্দিষ্ট দিন লাগে আজকাল দেখি!
যাই হোক, আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি, ছোটবেলা থেকেই আমি কিন্তু খুব ভয় পাই। তবে এখন আর ভূতে কোনো ভয় নেই। তার কারণ? আমার রুমমেট রুমেলা। ওর দৌলতেই রোজ রাতে আমি ঘুমোতে যাওয়ার আগে একদফা ভয় পেয়ে তবে নিদ্রামগ্ন হই।
ভয়ের কারণটা আর কিছুই নয়, আমার একমাত্র রুমমেট রুমেলার মুখ। ইয়ে মানে, রুমেল মুখে ঐ কিসব ফেসপ্যাক আর শিটমাস্কের ঘন প্রলেপ লাগিয়ে হুট্ করে রুমে চলে আসে। সেই দৃশ্য দিনের আলোতেও কম ভয়ের নয়! আর মাঝরাতে যখন ঘুম ভেঙে ওঠে, পাশ ফিরে যেই সাইড টেবিল থেকে জল খেতে যাই, অমনি রুমেলার দিকে তাকালেই ভূত দর্শন হয়। তাই আমার আর কি ভূত চতুর্দশী আর কি হ্যালোউইন! আমার প্রত্যেকটি রাতই এখন এক একটা 'মাস্ক-এররের হরর নাইট'।

