নিমাইয়ের সংসার - (১২)
নিমাইয়ের সংসার - (১২)
বেডি মানে নিরুর মা শোষেনের চিডি পাই
উৎসাহিত বোধ করেন ৷ মনে মনে উত্তেজিত,
একখান দীর্ঘশ্বাস নামি আইয়ে বুকের ভিতরের তুন। মাথাত আইয়ে নিরু তো অইন্যা
সাবলম্বী,শোষেন ভূপেনের ঘর অ' বইছে
হিয়রা বাড়িত আইলে যদি নিরুরে বিয়া দ্যেন মা তইলে ব্যাপার খান খুব ভালা হ'।একখান কাম কৈরতো হৈব।শোনেন বাড়িত আইয়নের আইগতে মাইজ্যা বো রে লৈ একখান ভালা মাইয়া চাইত হৈবো।যেরুম ভাবনা হেরুমি কাম।বেডি লক্ষীরে ডাক দের,বো গো তুই কন্,এক্কেনা এমুই নামচ্চা গো,একখান কতা হুনি যাচ্চা গো বো। লক্ষী দুম্বাই আইয়ে,শাউরির সামনে খারা।ক' কি হৈছে মা গো,আরে ডাকেন কিল্লাই?কি কৈরত হৈবো কন,আমনের গাত ব্যথা করের নি না মাথা ব্যথা কৈরত আছে আইয়েন আই টিপি দি,তৈ কদ্দুর আরাম পাইবেন।বেবি ক' না রে হাগলী মাইয়া আর কিচ্ছু হ' ন'।আই একদম ভালা আছি।তোয়ার ভাসুরের চিডি হাইছি,হ্যেতেরা বেকগুন বাড়িত আইতে আছে।আই ভাবছিলাম হিয়রা বাইত আইলে নিরুর বিয়া দিলে কেরুম হ'।ঠায়ুরের আশিব্বাদে আমরা বেকতে মিলি খুব ভালা আছি,সুখে আছি অইনকা,ঠায়ুর বেডা মুখ তুলি চাইছে আঙ্গো
মুই।তুই আ'র ঘরের লক্খী।তোর মত আরেগ্গা
মাইয়া চাই দেচ্ছা গো মা,একদম তোর লান লক্খী।
লক্ষ্মী ক' ও আইচ্ছা হেই কতা, ঠিক আছে কবে যাইবেন মাইয়া চাইতো আরে কন, তইলে আই বাপের বাড়িত খবর দি। আর হিসির ওগ্গা মাইয়া আছে। কাজে-কর্মে কথাবাত্তাত ভালা, মিশুক, হাসিখুশি। কিন্তু গায়ের রং কালা,আমনের আপত্তি না থাইকলে কতা কৈতাম হারি। শাউরি ক'র হোক কালা আপত্তি নাই মাইয়া ভালা হৈলে কোনো অসুবিদা নাই।
চাইরদিন বাদে সুষেন কালু অনিতা হিয়রা
বাইত্ আইয়ে, ব্যাকের চেহারাত হাসি খুশির ঝলক, কালু দোম্বাই আই মা'রে জাপ্টাই ধরে,মা'অ হোলারে জরাই ল'বুকের মৈদ্দে্।
কোপালে চুমা দ্যে,মাথাত হাত বুলাই দ্যে, কত্ত দিন বাদে কৈলজ্যার টুকরা সোনা মানিকেরে
চোখের সামনে দেইখত আছে।বেডির চোখের তুন.খুসীর জল চুয়াই হরের।শোষেন আর অনিতা ও বেডির পা ছুঁই নমস্কার করে,বেডি আশিব্বাদ করে পরাণ ভরি।ক'দিনে কালু বেশ বড্ডা হৈ গ্যেছে। অরুনাচলের হাবা গাত লাইগছে,শরীর সাইস্হ্য লাবণ্যময় গা'র রং উজ্জ্বল হৈ উইঠছে। বেডি খুব খুসী হ |
বহুত দিন বাদে দাদা ব'দি ছোড ভাই বাইত্ আইছে, ভূপেন আর নিরু অ' খুসী হ' | নিরু বিয়ানের চা খাই জামা প্যান পিন্ধি লৈ বাজারে যা, আইজ্যা এক্কেনা ভালা মাছ ' তরিতরকারি আইনত হৈব ৷ কতদিন বাদে হগলগুন মিলি এক্কই লগে বই ভাত খাইব। মনের মৈধ্যে একখান খুশি খেলি যা। ভূপেন বাড়িত পোষা একখান হাঁস কাইটলো। আইজ্যা ব্যাকে মিলি হাঁসের মাংস খাইব। কালু হুস্কুনিত নামে, কত গুণ কাঁকড়া উডা! হ্যেতে কাঁকড়া খাইতো ভালা পা। বেডি আইজ্যা মেলা পদ রাইনছে। নিজের হাতে ভাত বারি মনের মৈধ্যে তৃপ্তি লৈ পরিবেশন করি খাওয়াইলো ব্যাকেরে নিজেও খাই আইজ শান্তি হাইলো, চোখের সামনে নিজের পোলাপাইনরে তৃপ্তি মত খাইতে দেইখলে মায়ের মনে এ্যমনে ভালা লাগে।