নিখুঁত চুরি
নিখুঁত চুরি
একদম নিখুঁত হয়েছে কাজটা। পুলিশের বাপের ক্ষমতা নেই আমায় ধরে। যা মাল পেয়েছি এবার একটা ছোটোখাটো ব্যবসা করবো। আর চুরি না।
আমাদের বস্তির লক্ষ্মী যে মালদার বুড়োটার বাড়ী কাজ করে সে একাই থাকে। লক্ষ্মীর কাছে বুড়োর বাড়ীর একটা চাবি থাকে।
কাজ হাসিল করার জন্য দু সপ্তাহ ধরে কুচ্ছিত লক্ষ্মীর পেছন পেছন ঘুরেছি। লক্ষ্মী যখন একেবারে গলে মাখন। তখন ওকে পটিয়ে গিয়েছিলাম বুড়োর বাড়ী । লক্ষ্মী দরজা খুলে চাবিটা রাখল শো-কেসের মাথায়। আমিও সুযোগ বুঝে চাবিটার ছাপ তুলে নিলাম সাবানে।
কিছুদিন হল বুড়ো ফিরেছে বিদেশ থেকে। প্রচুর জিনিষ নিয়ে এসেছে । বুড়ো দশটা নাগাদ ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়ে।
রাত বারোটা নাগাদ বাড়ীতে ঢুকে, গেলাম বুড়োর শোবার ঘরে। দেখলাম বুড়ো কাঁথা মুড়ি দিয়ে পড়ে আছে। বালিশের তলা থেকে আলমারির চাবিটা বার করার জন্য হাত ঢুকিয়েছি, বুড়োটা কেশে উঠলো......কিন্তু জাগল না।
উফফফ! আমার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।
নিঃশব্দে কাজ সেরে বেরিয়ে এলাম।
এই করোনার বাজারে যেখানে সবাই বাড়ী বসে আছে, চোরেদের বাজার খুব খারাপ। এইরকম সময়ে এমন একটা কাজ করতে পেরে বড় গর্ব হচ্ছে আমার।
আয়েশ করে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বানিয়ে টিভিটা চালালাম। একটা খবরে চোখ আটকে গেল। একজন করোনা আক্রান্তকে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে তার কাজের মেয়েটিকেও।
বুড়ো আর লক্ষ্মীকে চিনতে কোনও আসুবিধা হলনা আমার।