নীলকন্ঠ
নীলকন্ঠ
অন্ধকার রাস্তায় রোজগারের পয়সায় খুব ধুমধাম করে রজত তার আদরের ছোট বোনের বিয়ে দেয়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত প্রচুর খরচা করেও ক্যান্সার রোগী বিধবা মাকে বাঁচাতে পারেনি।
আজ রাজনৈতিক দলের এক বিশেষ ব্যক্তি কে খুন করার অপরাধে তাকে পুলিশে তাড়া করে ।পল্টুদা, স্থানীয় নেতা ,তার ইশারাতেই সে চলে। তেওয়ারি পাড়া গলিতে লাখ টাকার বাইক থেকে পড়ে ছটফট করছে , পুলিশের ছ-ছটা গুলিতে তার শরীর ঝাঁজরা হয়ে গেছে ।এই বাইকটা পল্টুদার ই দেওয়া ,এতদিন যাতে চেপে সে গুন্দাগারদি ও তোলাবাজি করত।
এই পাড়ারই ছেলে সে, দুর্ঘটনার খবরটা তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ল ।
প্রাইভেট টিউটর হিস্ট্রি গ্যাজুয়েট , অশোক স্যার রজতের ছোট ভাই, তার সবথেকে প্রিয় ছাত্রী মৌসুমী কে নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে সাইকেলে চেপে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার খবর তার কানে যেতেই শর্টকাট , তেওয়ারি পাড়ার গলি ছেড়ে ঘুরপথে প্রেম নগর পার্কের রাস্তা ধরল ,তাদের আজ সিনেমা দেখতে যাওয়ার অভিপ্রায় ছিল ।
রজত মস্তান জীবনের শেষ মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে তার ছোটবেলার গলিটা দুচোখ মেলে দেখতে লাগলো যে পথ ধরে তারা তিন ভাই বোন হাত ধরাধরি করে স্কুলে যেত । তার জন্য দুফোটা চোখের জল ফেলার আজ আর কেউ নেই।
শনাক্তকরণের অভাবে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে পুলিশ রজতের মৃতদেহটি না জানি কোথায় চালান করে দিল।