নগ্ন নারী
নগ্ন নারী
সমরেশ একজন বিচক্ষন চিত্র শিল্পী। বহু প্রচেষ্টার পর সমরেশ সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী সে। প্রথম অবস্থায় প্রচন্ড বেগ পেতে হয়েছিল তাকে, চারদিকে এত লবি যে প্রতিভার কদর এতটুকুয়ো পাচ্ছিলনা সমরেশ কারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের থেকে বিলং করে সে। পাশে কোন বেকাপ নেই তাই বার বারই মুখ থুবরে পড়েছে সমরেশের চিত্রকলা। তবুয়ো প্রচেষ্টা সে ছাড়েনি, একেরপর এক সবকিছু হারিয়েছে সমরেশ, তারপরিবার হারিয়ে গিয়েছে তার ছেলেবেলা সবকিছুই হারিয়ে গিয়েছে সমরেশের। নিজের জীবনে প্রেম করার সুযোগ, একটা সুন্দর সংসার গরবার সুযোগ কোনটাই জোটাতে পাড়লোনা সমরেশ। আসলে সারাদিন সুধু সৃষ্টির সন্ধানে কেটে গিয়েছে পঞ্চাশটা বছর অবশেষে হঠাৎ একদিন কপাল খুলেগেল সমরেশের বলতে পারেন এটা তার জীবনে একটা ট্রামকার্ড হয়েগেল সেটা। দেশের মাটিতে প্রথম সন্মানটা জুটলনা তার কিন্তু সন্মানটা জুটলো প্রাশ্চাত্ব থেকে। আর আমাদের দেশের বিষয়টাতো কারো অজানা নয় বিদেশ যদি একবার বলেদেয় এটা ভালো তো আমাদের বুদ্ধিজীবীরাও বলবে ভালো ভালো খুব ভালো, আর এবারও তার ব্যাতিক্রম হলো না সমরেশ রাতারাতি ফেমাস হয়ে গেল।
পাঁচবছরের মধ্যে জীবনের পঞ্চাশটা বছরের সব ক্লান্তি সব অভাব অভিযোগ মিটিয়ে দিলো দেশ আর বিদেশ মিলে মিশে। এখন আর পৃথিবীর কাছ থেকে সমরেশের আর নতুন করে পাওয়ার কিছুই নেই এখন তার নিজের জন্য কিছু চাওয়ার আছে সমরেশের। একটা ছবি সে আঁকতে চায় যেটা মোনালিসার মত না হলেও তার জীবনের একটা অনবদ্য সৃষ্টি হয়ে থাকবে। কি চিত্র অঙ্কন করতে চায়। তার শেষ চিত্রটি হবে একটা নগ্ন মেয়ের চিত্র এবং সেই মেয়েটি হবে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরী যার বিকল্প কোন নারী ত্রিলোকে আর সৃষ্টি হবেনা কোনদিনও। যে নারীর চিত্রদেখলে বিশ্বের যেকোনো পুরুষকেই মুহুর্তের মধ্যে বসিভূত করতে হবে তারজন্য সে তার উপার্জন করা সকল অর্থ খরচ করতেও রাজিসে।
তেমনই একটি নারীর সন্ধানে বেরিয়ে পরলেন সমরেশ। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তথেকে সুন্দরীদের একত্রিত করা হলো, অনেক পরখ করে সমরেশ বেছেনিলেন এক নারীকে, সুরুহলো নগ্ন নারীর শিল্প নিদর্শন। একাধিক চিত্র নির্মাণ করলেন সেই নারীর কিন্তু কিছুতেই তার মনের মতো ছবি সে পায়না। কিছুতেই সেই চিত্রে সে নিজেই কোন কাম উদ্যিপনার সঞ্চার করতে পারছেনা, আর যে ছবি তাকেই বসিভূত করতে পারছেনা সেইছবি সারা পৃথিবীর মানুষকে বসিভূত কি করে করবে। সাতদিনে ঐ নারীর সত্তারটা ছবি অঙ্কন করে ফেলেছে অথচ একটাও তার পছন্দ হচ্ছেনা। কি করবে এখন সে মাথা খারাপ হয়ে যাচ
্ছে তার, সমরেশ বাবু মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, বিষয়টা উপলব্ধি করে মেয়েটা এবার সাহস করে সমরেশকে বলে একটা কথা বলতে পাড়ি স্যার। সমরেশ ঐ নগ্ন মেয়েটির দিকে তাকালো তার দেহটা নগ্ন আবস্থায় দেখে তার কেমন যেন অসস্থিবোধ হচ্ছে, সে মাথা নিচু করে বলে বলুন। মেয়েটি বলে আমি আমার দেহে একটা হালকা পোশাক দিয়ে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে সমরেশ বলে ওকে একবার আপনার কথা মতই চষ্টা করে দেখি, যান আপনি একটা হালকা কাপড় চাপিয়ে নিন দেখাযাক।
মেয়েটি হালকা একটা সিল্কের কাপড় সে তারদেহের উপর চাপিয়ে বসে, সমরেশ তার সমগ্র নিষ্ঠার সাথে ক্যানভাসে রং চাপায়, অবশেষে চিত্রের কাজ সম্পূর্ণ হয়। সমরেশ আনন্দে আত্মহারা হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে ইউরেকা ইউরেকা এই বলে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরতে যাই সে, সন্বিদ ফেরে নিজেকে সংযত করে নিয়ে সে বলে সরি সরি, থ্যাঙ্কস ফর ইয়োর কোয়াপারেশন, আমি ঠিক এইটাই চাইছিলাম। জানেন এই ছবিটি পৃথিবীর বুকে এটাই আমার শ্রেষ্ঠ চিত্র নিদর্শন হবে। আপনি যান আপনার পোষাকটা পরেআশুন তারপর চা খেতে খেতে কথাবার্তা হয়েযাবে।
মেয়েটি চলে যায় সমরেশ ছবিটাকে খুবভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলে নারী নগ্ন নয় পোশাকেই ভালো লাগে, আমার ধারণাটাই ভূল ছিলো। মেয়েটি পোশাক পালটে এসে বলে স্যার সব ঠিক আছেতো। সমরেশ বলে ও আপনি এসে গিয়েছেন, এখন ছবিটা একদম পার্ফেক্ট হয়েছে যানেন আজ আমার একটা মারাত্মক ভূল সংশোধন হলো। মেয়েটি জিঙ্গাসা করে কি স্যার? সমরেশ বলে নারী নগ্ন নয় শাড়িতেই ভালোলাগে। আশুন বাইরের ঘরে বসে একটু চা খাওয়া যাক যেতে যেতে সমরেশ তার ভৃত্যকে বলে হারু দুটো চা দিয়েযাস।
চায়ে চুমখ দিয়ে পেয়ালাটা নামিয়ে সমরেশ বলে এবার বলুন আপনার পারিশ্রমিক কি দিতে হবে। মেয়েটি বলে পারিশ্রমিকতো আমি পেয়ে গিয়েছি স্যার, সমরেশ একটু অবাক হয়েই বলে মানে? মেয়েটি বলে আপনার শিল্পের মধ্যদিয়ে মানুষের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবো এরচাইতে বড়ো পারিশ্রমিক কি হতে পারে বলুন? সমরেশ অবাক হয়ে তারদিকে তাকিয়ে থাকে........!