মা
মা
বাপ্পা আর পারমিতা আমার ঘরে এসে বুঝিয়ে গেল এখানে আমার থাকা না কি অসুবিধা। তাই আমাকে আগামী পরশু বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে। খুব ভালো বৃদ্ধাশ্রম। পার্ক, বাগান, মন্দির এবং ছোট একটি লেক ও আছে। লেকের ধারে খোলামেলা বসার জায়গা আছে। অন্যান্য বৃদ্ধাশ্রম এর চেয়ে এটা নাকি খুব ভালো। আমি বললাম, হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত, কি ব্যাপার? বাপ্পা বলে, না মা তোমাকে নিয়ে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা তোমারি। ঠিকমতো সেবা-যত্ন পাচ্ছ না, আমি পারমিতা দুজনেই অফিসে যাই। কাজের মেয়ে বিউটি খোকাকে নিয়ে রোজ সকালে স্কুলে নিয়ে যায়। তোমার একা একা বাড়িতে থাকতে হয় এতে ভীষণ কষ্ট হয় তোমার। বয়স হয়েছে কখন কি হয়ে যায় তাই ভাবছি, তোমাকে একটি ভালো জায়গায় রেখে দেবো। মাঝেমাঝে আমরাও যাব তোমাকে দেখতে। আমি মনে মনে ভীষণ আঘাত পেলাম। সারা জীবন দুঃখ কষ্ট সইতে সইতে মনটা ভীষণ কঠিন হয়ে গেছে। তাই বাপ্পাকে আর কথা না বাড়িয়ে বললাম, থাক আর বলতে হবে না।তোরা যখন আমার ভালোর জন্য বৃদ্ধাশ্রমের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিস তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। তা, বল কোন দিন যেতে হবে? বাপ্পা বলে, আগামী পরশু সকালে গাড়ি করে তোমাকে নিয়ে যাব। আমরাও সবাই তোমার সাথে যাব। আমি আর কথা না বাড়িয়ে বললাম, ঠিক আছে তবে ভালো কাজে দেরি কেন? কাল সকালে হলেই ভাল হয়। বাপ্পা বলে, না তা কি করে হয়? তোমার জিনিসপত্র গোছাতে হবে। আর পারমিতা বলেছে সে নিজের হাতে তোমার প্রিয় জিনিস রান্না করে খাওয়াবে। সব রাগ, ক্ষোভ বুকে চেপে রেখে স্বাভাবিক ভাবে বলি, থাক, আমার নতুন করে কিছু খাবার দরকার নেই, জীবনে অনেক খেয়েছি। যা তোরা অনেক রাত হল শুতে যা।
বাপ্পা আর পারমিতা মাথা নিচু করে চলে যায়। সারারাত আমার ঘুম হলো না। অজানা রাগ,ক্ষোভ, ঘৃণা, আর অভিমানে নিজেকে নিজেই চুরমার করে দিচ্ছি যেন। ভাবনারা এমন অবস্থায় আমাকে সারারাত জাগিয়ে রাখল। আর ভাবছি শেষ বয়সে এই কি আমার পাওনা? এত আদরের ছেলে আমার, যে মা ছাড়া কিছুই বুঝতো না সে কিনা আজ আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখবে। বড় লজ্জার। আজ ওর বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো এমন কথা শুনতে হতো না।
বাপ্পার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন ওর বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যান। প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন, মারা যাওয়ার পর আমি ভীষণ বিপদে পড়ে যাই।বাপ্পা একদিকে কোলে বাপ্পা আর ঘরে বৃদ্ধা শাশুড়ি মা। আমি কি করবো? কোম্পানির দেওয়া সামান্য পেনশনে সংসার চলত না। বাবা-মা আমাকে বলে ছেলেকে নিয়ে চলে আয়। কিন্তু আমি রাজি হইনি। বৃদ্ধা অসহায়া পুত্রহীন মানুষটাকে ফেলে কোথায় চলে যাব স্বার্থপরের মত? একি মানুষের কাজ হবে? শাশুড়ি মা তার ছেলে মারা যাওয়ার পরই আমার হাত দুটি ধরে কেঁদে বলে, বৌমা, এবার আমার কি উপায় হবে? কোথায় থাকবো? আমাকে খেতে দেবে, দেখাশোনা কে করবে? আমি বলি, আপনি আমার মা কোন চিন্তা করবেন না। আমি আমার স্বামীর ভিটে ছেড়ে, আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমরা খেতে পারলে আপনিও খাবেন। যেমন আছেন তেমনি থাকবেন।
অঝোরে কাঁদতে থাকেন শাশুড়ি মা। আমাকে জরিয়ে ধরে বলেন, তাই করো মা, তুমি কোথাও একটা কাজ খুঁজে নাও, আমি বাপ্পাকে দেখভাল করব। তারপর আমি অনেক কাজ খুঁজে অবশেষে এক মহাজনের কাছে মেশিনে সায়া ব্লাউজ সেলাই করার কাজ পাই। তাতে সামান্য টাকা আয় হয়। প্রতিটি সায়া ব্লাউজ সেলাই করে তিন টাকা করে পেতাম। লেখাপড়া বেশি জানি না বলে কোথাও লেখালেখির কাজ করতে পারিনি।
আমি রাত জেগে সায়া ব্লাউজ সেলাই করতাম, আর শাশুড়ি মা রান্না করা, বাপ্পাকে খাওয়ানো,রোজ স্কুলে নিয়ে যাওয়া এবং বিকেলে বাড়িতে নিয়ে আসা সব কাজই করতেন। আমার যাতে কোন কষ্ট না হয়, তাই সময় মত স্নান খাওয়ার কথা বলতেন। বিকেলে বাপ্পা কে নিয়ে পার্কে বেড়াতে যেতেন। মায়েরা তো এমনিই হয়। কিন্তু আমার শাশুড়ি মা আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মা। এই অবস্থার মধ্যে চললেও কোনদিন বাপ্পাকে ওর বাবার অভাব বুঝতে দেইনি। যখন যেমন টাকার দরকার হতো আমি ওকে দিতাম। আর ওর যত আবদার ছিল সব পূরণ করতাম। বাপ্পাও ভালো ছেলে, সবটা সময় ঠাম্মা ঠাম্মা বলে পাগল। আমাকে বেশি জ্বালাতন করত না। বাপ্পা বরাবরই লেখাপড়ায় ভালো ছিল। অনেক বেশি নাম্বার পেয়ে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে স্টাইপেন পেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু সে সময় আমার জীবনে দ্বিতীয় আঘাত আসে। আর সে আঘাত, আমার শাশুড়ি মা হঠাৎ করে মারা যান। আমি কঠিন আঘাত পেলাম, আমার দুঃখের জীবনের সাথী কে হারিয়ে ফেললাম। তিনি আমার শাশুড়ি তো নন, আমার মা। কখনোই তাঁকে বুঝতে দিইনি তাঁর ছেলের বউ আমি। মাকে বলতাম, আমি আপনার ছেলের বউ নই, আমি আপনার মেয়ে। তিনি চলে যাওয়ার পর আমি ভীষণ একা হয়ে পড়লাম। অসহায়ের মতো চারিদিকে হাতাতে থাকলাম যেন কোন দিকেই আমার দুঃখের শেষ নেই। ঠাকুমার মৃত্যুতে বাপ্পাও ভিশন ভেঙে পড়ে। কান্নাকাটি করে। আমি ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলি, দুঃখে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার দুঃখ কিসের?
বাপ্পা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে। ভালো কোম্পানিতে চাকরি পায়। তখন যেন আমি একটু হাফ ছেড়ে বাঁচি। তখন আমার মাথার চুল অনেক সাদা হয়ে গেছে। চাকরি বাবার বেশ কিছুদিন পরে ওকে আমি বলি,-নে এবার একটি ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নে। একদিন ও আমাকে বলে, একটি ভালো মেয়ে আছে, আমাদের কোম্পানিতে কাজ করে। তুমি যদি অনুমতি দাও তবে ওকে একদিন আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসব। আমি বলি, বেশতো ভালো কথা, দেরি কেন কালই নিয়ে আয়। তার পরদিন বাপ্পা পারমিতা কে বাড়িতে নিয়ে এলো। দেখলাম কথাবার্তা হল পারমিতা কে প্রথম দেখেই আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আমি এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। তারপর শুভদিন দেখে বাপ্পা আর পারমিতার বিয়ে দিয়ে দিলাম। বিয়ের তিনবছর পর পারমিতার কোল আলো করে একটি ফুটফুটে ছেলে জন্ম নেয়। সবাই মিলে আমরা বেশ আনন্দেই দিন কাটাচ্ছেন।
কিন্তু কেন, কি নিয়ে সমস্যা হলো, যে সমস্যার মূলে হলাম আমি। ভাগ্যের চরম পরিহাস যেন আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। চরম বিড়ম্বনা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। কিছুই বুঝতে পারিনা আমি। আচমকা কাল রাতে এসে বাপ্পা আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার কথা বলে।আমি হঠাৎ করে বাপ্পার মুখে এই কথা শুনে হতবাক হলাম। মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়ল। তবুও আমি সব রাগ-ক্ষোভ চেপে হাসিমুখে থাকলাম। মনে মনে বললাম, আমার ভালো সারা জীবনে ভগবানই দিতে পারেনি, আর তুই কি করে দিবি? তোর অনেক টাকা হয়েছে , জীবনযাত্রা পাল্টেছে, ভালো বন্ধু বান্ধব পেয়েছিস আর আজ আমি বৃদ্ধ বয়সে যেন আবর্জনা।
আমি মনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি বৃদ্ধাশ্রমে যাব, সেখানেই থাকবো, তাতে যদি ওদের শান্তি হয়। বেশ ভালো। পরদিন সকালে বাপ্পা দুটো বড় ব্যাগ এনে বলল,তোমার জামা কাপড় আর যা প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে চাও আজই গুছিয়ে রেখো, কাল সকালে গাড়ি আসবে। আমি বলি, আমার ওসব ব্যাগের দরকার হবে না। আমি যা নেবার আমার এই ছোট্ট হাতব্যাগে নেব। আর কথা না বাড়িয়ে আমি আমার মত ঠাকুর ঘরে চলে গেলাম। সকালে দুপুরে জন্য অনেক কিছু আমার জন্য রান্না করলো পারমিতা। কিন্তু আমি কিছুই খেলাম না। সারাদিন বিছানায় শুয়ে চোখ বুজে সব কথা ভাবতে লাগলাম। কি যেন সব এলোমেলো হয়ে আসছে। মনে মনে ভাবলাম এটাই কি তবে জীবন, জীবনের অংক বড় কঠিন। কিছুতেই মেলাতে পারছি না। ভাবতে ভাবতে কখন যেন আমার দু চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। শরীরটা ভীষণ খারাপ লাগছে। দেখি ঘরে বাপ্পা এসে আমাকে ডাকছে। আমি উঠে বসলাম, ও বলল, সব তোমার গোছানো হয়ে গেছে মা? আমি বললাম, বারবার তো বলছি গোছানোর কিছু নেই, যা নেবার আমার হাতব্যাগে গুছিয়ে রেখেছি। বাপ্পা বলে, সে কি হয়?পড়ার জন্য কাপড় চোপড় তো লাগবেই, তোমার জন্য সাবান-শ্যাম্পু নতুন আয়না চিরুনি এসব এনেছি। ব্যাগে নিয়ে নিও। আমি রাগত স্বরে বললাম, বলছি তো সব নিয়েছি। অন্য ওসব আমার লাগবে না। আমাকে নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না। এই বলে আমি বাথরুমে চলে গেলাম স্নান করতে। কারণ মাথাটা ভীষণ ভারী লাগছিল। বাপ্পা বসে রইল ঘরে।
কিছুই বুঝতে পারে না বাপ্পা, মা যেতে চাইছে কিন্তু ব্যাগ গোছাচ্ছে না। বারবার বলছে ওই ছোট হাত ব্যাগ এই সব গুছিয়ে রেখেছে। কিন্তু কি আছে হাতব্যাগে? এই বলে ব্যাগ টি খুলে দেখে কটি বাচ্চাদের জামা প্যান্ট, আর তিনটি ছবি। দুটি বহু পুরনো আরেকটি কিছুদিন আগে তোলা। আর কটি ভাঙ্গা পুতুল। বাপ্পা দেখে অবাক হয়ে যায়। ভাবে এসব কি মার পাগলামি? এসব কি? এসব নেওয়ার মানেটা কি? একবার মাথাটা ঠিক করে ভাবতে থাকে জিনিস গুলো দেখে ঠিক ওর ভাবনায় চলে আসে দুটো প্যান্ট-শার্ট বাপ্পার ই , একটি ষষ্ঠীর দিনের, আরেকটি অন্নপ্রাশনের। আরেকটি আমার স্কুলড্রেস। ছবিগুলো দেখে বোঝে একটি ছবি বাপ্পার ছোটবেলায় ওর বাবার কোলে। আরেকটি বাপ্পার ছবি ঠাম্মার কোলে। আরেকটি ছবি বাপ্পার বিয়ের পর বাপ্পা, পারমিতা, মায়ের সঙ্গে ওঠা তিনজনের ছবি। বাপ্পার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। অনুশোচনায় জোরে জোরে কাঁদতে থাকে। নিজেকে অপরাধী ভাবে, ভাবে কার জন্য কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি? মা এত ভালবাসে?সে কিছুই নেবে না শুধু যন্ত্রনা মাখা স্মৃতি গুলো নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়। আর এমন দেবীর মত মাকে সে বৃদ্ধাশ্রমের পাঠাতে চায়। নিজের ওপর ঘৃনা হয়, সে সবগুলি জামা কাপড়,ছবি তাড়াতাড়ি ব্যাগে ঢুকিয়ে ব্যাগ নিয়ে চলে যায় নিজের ঘরে।
সন্ধ্যার পর পারমিতা আমার জন্য চা নিয়ে আসে সঙ্গে বাপ্পাও আসে। ঘরে এসে দেখে আমি কি যেন খুঁজছি সারা ঘরময়। পারমিতা বলে, কি খুঁজছেন মা? আমাকে বলুন আমি খুঁজে দিচ্ছি। আমি বলি, আমার ছোট ব্যাগটা খুঁজছি, তার মধ্যে আমার দরকারি সব জিনিসপত্র আছে। যা আমার ভীষণ প্রয়োজন সাড়া জীবনে। বাপ্পা বলে, মা তুমি চা খেয়ে নাও। পরে না হয় সবাই মিলে খোঁজা যাবে। আমি অনিচ্ছাসত্ত্বেও চায়ের কাপটা হাতে তুলে নিলাম। চা খেয়ে কাপ টি টেবিলের উপর রাখি। বাপ্পা সেই ব্যাগটি ওর পেছন থেকে বের করে বলে, দেখোতো মা এটাই তোমার সেই ব্যাগ কিনা? ব্যাগটা এক ঝটকায় ওর হাত থেকে নিয়ে বলি , হ্যাঁ এটাই আমার সেই ব্যাগ। তুই পেলি কোথায়? বাপ্পা বলে, তুমি যখন বাথরুমে গেলে তখন আমি তোমার এই ব্যাগটা খুলে দেখেছি। আমি বলি, আমাকে না জানিয়ে ব্যাগটা তোর দেখা আর নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। বাপ্পা বলে, ভুল হয়ে গেছে মা। আরো আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমি বলি, কি ভুল হয়েছে? বাপ্পা হঠাৎ কাঁদতে কাঁদতে বলে, এই ব্যাগটার ভেতরের জিনিস গুলি দেখে তোমার মনের সব কথা বুঝতে পেরেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও মা। তুমি এখানেই থাকবে। তোমাকে কোনদিন বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না। আমি ওখানে ফোন করে বলে দিয়েছি তুমি আর যাবেনা। আমি বলি, সেকিরে? আমি থাকলে তোদের যে অসুবিধা হবে। আর আমি তো যেতেই চেয়েছি। না, কাল আমি যাবোই। বাপ্পা আমার পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। আমি মানুষের কথায় ভুল সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলাম। তুমি আমাকে ক্ষমা করো। আমি ওর চোখের জল মুছিয়ে বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে বলি, আমি জানি বাপ্পা সব জানি। তুই আমাকে কতখানি ভালবাসিস। আমিও কি তোকে ছাড়া থাকতে পারব বল? সারা জীবন বড় দুঃখ কষ্ট সয়েছি এখন তোদের নিয়ে আমি শেষ দিনগুলি হাসিখুশিতে কাটাতে চাই।
ওদিকে পারমিতা খোকাকে আমার কোলে দিয়ে বলে, আজ থেকে ওর সব দায় দায়িত্ব আপনার। আমি আবেগ আর ধরে রাখতে পারলাম না। ওকে কোলে নিয়ে বলি, হ্যাঁ। পারমিতা ঠিক বলেছ। আজ থেকে দাদুভাইয়ের দেখাশোনার দায়িত্ব আমার।
মুহুর্তের মধ্যে সারা ঘর অন্য এক বেদনা মিশ্রিত খুশির জোয়ারে ডুবে যায়। একটু পরে বাপ্পা বলে, মা কাল আমরা সবাই মিলে দীঘা যাব, তুমিও যাবে। সারাদিন সেখানে সমুদ্র দেখে সন্ধ্যায় বাড়ি চলে আসবো। সকালেই কিন্তু তৈরি হয়ে নিও। আমি হাসলাম, বাপ্পা আবার বলে, আগামীকাল আমরা সবাই মিলে মাতৃ দিবস পালন করব।