লকডাউন
লকডাউন


হঠাৎ স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল বিশালাকৃতি একটি যানের চিত্র। বিজ্ঞানীরা স্তম্ভিত। তাদের অবাক দৃষ্টি মনিটরের পর্দায়। হঠাৎ দেখা গেল যানটির একটি অংশ খুলে যাচ্ছে। ভিতর থেকে কিম্ভুতকিমাকার একটি দেহ নেমে আসছে পৃথিবীর দিকে। পৃথিবীকে স্পর্শ করা মাত্রই দেহটি দৌড়ে যানটির মধ্যে উঠে যায়। যানটির ভিতর থাকা লক এবং ডাউন স্যানিকে বলে উঠলো," কিরে চলে এলি কেন?" স্যানির প্রচন্ড কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে লাগল। তৎক্ষণাৎ লক ও ডাউন স্যানিকে একটি যন্ত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকালো। পৃথিবীকে দেখে লক ও ডাউন হতবাক। পৃথিবী মাস্ককে আবৃত। তারা হতাশ হয়ে পড়ল। পৃথিবীতে আসার পথে দুদিন ধরে লক আনন্দের সাথে ডাউনকে বলছিল," আমরা পৃথিবীতে গিয়ে নানা ধরনের জীবের সাথে আলাপ করব।" শুনে ডাউন বলে উঠলো," পৃথিবীর মানুষেরা কত কিছু খায় আমরাও খাব।" "খুব মজা হবে"- বলল স্যানি। এখন হতাশ হয়ে ডাউন বলল,"লক! আমরা আর পৃথিবীতে যাব না। পৃথিবী ভাইরাসে আক্রান্ত।" " ওই দেখো মানুষেরা কিভাবে মরছে, পৃথিবী মাস্ক পড়েছে ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে"- বলে উঠলো লক। তারা তারপর পৃথিবীর খবর দেখতে লাগল হঠ
াৎ দেখতে পায় "লকডাউন" নিয়ে আলোচনা। দেখে ডাউন বলে উঠলো,"ওই আমাদের নাম উচ্চারণ করছে।" শুনে লক হাসতে হাসতে বলল,"এই লকডাউন মানে সবকিছু বন্ধ।" পৃথিবীর কষ্টে লক ও ডাউনের খুব কষ্ট হতে লাগলো। তারা তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যানিকে সুস্থ করল। তারা ভাবল আমরা যে পৃথিবীকে দূর থেকে দেখতে দেখেছিলাম, কিন্তু এখনতো পৃথিবীর রূপ অন্য। পৃথিবীর শীর্ণকায়, জীর্ণ দেহ, মাস্কে আবৃত। প্রথমে তারা ভেবেছিল পৃথিবীতে তারা যাবেনা কিন্তু পৃথিবীর কষ্ট সইতে না পেরে, ঠিক করল তারা নিজেদেরকে ভাইরাস থেকে মুক্ত রেখে পৃথিবীতে গিয়ে পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলবে। বার্তা পাঠালো বিজ্ঞানীদের কাছে। তাতে লেখা,"আমরা লক ও ডাউন। আমরা পৃথিবীতে আসছি। আমাদের কাছে এই ভাইরাস থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করার উপায় আছে।" বিজ্ঞানীরা প্রথমে অবাক হলেও ভাইরাস নিরাময়ের উপায় শুনে তৎক্ষণাৎ বার্তা পাঠালেন তাদের আসার জন্য। আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল, মানুষেরা হতভম্ব, দেখল বিশাল যান আকাশ থেকে নেমে আসছে। লক ও ডাউন পৃথিবীকে ভাইরাস মুক্ত করার কাজে লেগে পড়ল। আস্তে আস্তে পৃথিবী আবার সুন্দর হয়ে উঠলো এবং পৃথিবী মাস্ক ত্যাগ করলো।