কোয়ারান্টাইন
কোয়ারান্টাইন


এমন সময় দেশে ফিরল মধুমিতা সারা বিশ্ব করোনার আতঙ্কে ত্রস্ত। সকলকে সাবধান করা হয়েছে ঘর থেকে না বেরোনোর জন্য। বেশিরভাগ লোকজন ভয়ে ভীত হয়ে নিজেরাই গৃহবন্দী হয়ে গেছে। তবে কিছু কিছু লোক এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে অবাধে। তারা হয়তো ভেবে নিয়েছে তাদের যেন কিছুই হবে না। প্রশাসন থেকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে ইমারজেন্সি ছাড়া কেউ যেন না বেরোয় কার থেকে।
কিন্তু কে কার কথা শুনছে। যে যার মতো চলছে। টেলিভিশন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনার আতঙ্কের খবর ছড়িয়ে পড়ছে।
মধুমিতা বিদেশ থেকে আসায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য হসপিটালে যায় পাঁচ বছরের ছোটো মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর ওদের পালা এলো। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেল মধুমিতার শরীরে প্রবেশ করেছে মারণ করোনা ভাইরাস। কিন্তু আশার কথা ওর মেয়ের শরীরে এখনও এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর তাই তাদের দুজনকে আলাদাভাবে রাখা হচ্ছে। যেন রোগটা সংক্রামিত না হতে পারে।
মধুমিতাকে যখন রুমে ঢোকানো হচ্ছে তখন বাইরে দাঁড়িয়ে তার মেয়ে অবাক হয়ে দেখছে। যখন ও বুঝতে পারল ওর মাকে আলাদা করা হচ্ছে ওর কাছ থেকে তখন ওকে আর কেউ ওর কান্না থামাতে পারছে না।
ও কোনো কোয়ারান্টাইন বুঝতে পারছে না বুঝছে মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ।