কম্পিউটার
কম্পিউটার
কাঠের কাজ করে তপন। ভালবেসে বিয়ে করেছিল কল্পনাকে কিন্তু বাড়ি থেকে মেনে নেয়নি। মায়ের আপত্তিটাই বেশি ছিল কারণ কল্পনার মা লোকের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে,ওদের দরমার ঘর,টালির চাল। এমন ঘরের মেয়েকে বউ বলে মানতে পারেননি তিনি। তপনরা চারভাই, ওর উপরে দুই দাদা আর একটা ছোট ভাই, প্রত্যেকেই পড়াশোনা শিখেছে কেবল ও-ই স্কুলের গন্ডি পেরোতে পারেনি। বড় দুই দাদার একজন একটা স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক আর একজন একটা কম্পিউটার সেন্টার খুলেছে,সেখানে কয়েকটা কম্পিউটার কিনে রেখেছে। বিভিন্ন শিফটে সেখানে অনেক ছেলেমেয়ে আসে ওর কাছে কম্পিউটার শিখতে। ছোট ভাই একটা বেসরকারি অফিসে কাজ করে,বাবাও চাকরি করতেন, দোতলা বাড়িও করেছিলেন তখন চাকরি করার সময়। তপনই কেবল 'হংস মাঝে বক যথা'। তো এহেন তপনের ভালোবেসে বিয়ে করা অপরাধ বলেই মনে করেন তার মা,তার ওপর তাদের বাড়িতে ঝিয়ের মেয়ে? নৈব নৈব চ! বলেই দিলেন তিনি,"ঝিয়ের মেয়েকে বাড়ির বউ বলে আমি বরণ করতে পারবো না"। অতএব বউবরণ হলো না। কদিন কল্পনার বাপের বাড়িতেই থেকে ওকে নিয়ে তপন উঠলো ভাড়া বাড়িতে, কিন্তু সামান্য রোজগার তাতে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিতে গেলে আর কিই বা থাকে! বাবা অবশ্য মায়ের এ সিদ্ধান্তে খুশি হননি,তিনি তাই কিছুদিন পরে ওদের কিছু জমি লিখে দিলেন। বাড়ির কাছে একটুকরো জমি ছিল ওনার, সেটা দিয়ে কিছু টাকাও দিলেন ঘর তোলার জন্য, আর বলে গেলেন," মা যেন জানতে না পারে আমি তোদের টাকা দিয়েছি"। কল্পনার মা ঝিগিরি করে মেয়ের ঘর তোলার জন্য টাকা দিয়ে সাহায্য করলেন। বসবাস যোগ্য কাঁচা ঘরই হল তাতে,একটা বড়,আরেকটা ছোট। ওরা উঠে এসে সংসার পাতল,সেই কাঁচা ঘরে, তবু খুব খুশি,'কাঁচা হোক তবু ভাই নিজের বাসা', তাই সেই নিজের বাসায় দুজনে মিলে মহা উৎসাহে সংসার সাজাতে লাগলো। চলে যাচ্ছিল দুজনের মন্দ নয়,একটু ভালো থাকার জন্য কল্পনা মায়ের মত লোকের বাড়ি কাজ করতে চায়,কিন্তু শাশুড়ি পাশের বাড়িতে রয়েছেন তার অনুমোদন ছাড়া তা সম্ভব নয়। যথারীতি তিনি তা অনুমোদন করেনও নি। তাই একটু সুখের মুখ দেখার ইচ্ছে আর পূরণ হয় না তার।
কি করে রোজগার বাড়ানো যায় ভেবে তপন একটা রিকশা কেনে কিন্তু তাতেও মায়ের আপত্তি, রিকশা চালানো চলবে না। তাই সেটা লোক দিয়ে চালানোর ব্যবস্থা হল,সে রোজ কিছু টাকা দেয়,সেটাই বাড়তি,সে আর কত,খুবই সামান্য। এদিকে পাশের বাড়িতে থাকার ফলে কোনো প্রয়োজন হলেই কল্পনার ডাক পড়ে শ্বশুরবাড়িতে,যেমন কাজের লোক না এলে বাসন মাজতে,ঘর পরিষ্কার করতে। বাড়ির অন্য বউরা সেসব করে না। কল্পনা হাসিমুখে সেসব করে দিয়ে আসে,মনে বড় আশা আর তিন বউয়ের মত ঐ বাড়িতে যদি তার ঠাঁই হয়। পাকা বাড়ি মোজাইকের মেঝে। এরকম শ্বশুরবাড়ি হওয়ায় তার মনে মনে খুব গর্ব, ভাবে এভাবেই শাশুড়ির মন যদি জয় করতে পারে। ওকে ডাকলে ও একেবারে আহ্লাদে গলে পড়ে,বোঝেও না শাশুড়ি ওকে কাজের লোকের মতই ব্যবহার করেন। আর তিনবউ বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও কাজের লোকের কাজগুলো ওকেই করতে হয়। এছাড়া ও বাড়িতে কালীপুজো হয় যখন,অন্য বউরা সেজেগুজে,গয়নাগাটি পরে ঠাকুরের জোগাড় করে,কল্পনাকে তখন কেবল ঠাকুরের বাসন মাজার কাজটুকুই করতে দেওয়া হয়। ও অবশ্য তাতেই কৃতার্থ হয়ে যায়। শ্বশুরবাড়িতে যখন-তখন যাবার অধিকার ওর ছিল না,একমাত্র শাশুড়ি ডাকলে তবেই। আর শাশুড়ির ডাকা মানে ঝিগিরি করার জন্য। অন্য তিনবউকে তিনি গয়না দিয়ে মুখ দেখেছেন,পুজোয় শাড়ি দেন কেবল কল্পনার কপালে সেসব জোটে না। ও তবু ডাকলে শাশুড়ির মন গলাতে ছোটে সেখানে।
দেখতে দেখতে দুটো বছর পার,কল্পনার কোল আলো করে ছেলে এলো। হাসপাতাল থেকে বাড়ি এলে মা লোকের বাড়ির কাজ সামলে এসে বাচ্চার কাজ করে দিতেন। ছটা মাস কেটে গেল,শাশুড়ি পাশের বাড়ি থেকে তার ছেলে দেখতেও এলেন না,ওবাড়িতে শাশুড়ি কোনোদিনও আসেন নি। ও ভেবেছিল,নাতি দেখতে নিশ্চয়ই আসবেন উনি। মনে দুঃখ হয়,তবু ওর খুব শখ ছেলের প্রসাদ দেবে যেদিন,শ্বশুরবাড়ির সবাইকে ওর ঘরে খেতে বলবে। সেকথা শুনেই শাশুড়ি নাকচ করে দিলেন। কল্পনার শখের মুখে জল ঢেলে দিলেন তিনি। কল্পনা কেঁদেছিল সেদিন, মনে মনে বলেছিল,"আমার স্বামী তার ভাইদের মত শিক্ষিত নয়,আমি গরীবের মেয়ে,তাই আমাদের কোনো সম্মান নেই। আমার এই ছেলেকে আমি মানুষের মত মানুষ করব,যাতে আমার শাশুড়ি দেখেন যে ঝিয়ের মেয়েও কি করতে পারে।"
খুব যত্ন করে ছেলে মানুষ করে কল্পনা,মনে অনেক আশা ছেলেকে অনেক বড় করবে সে।বছর খানেকেই ছেলে বেশ গাবলুগুবলু হয়ে উঠল,এক পা এক পা করে হাঁটতে শিখেছে,কল্পনার বুক ভরে ওঠে ওকে দেখে। নিজেরা ভালমন্দ না খেয়ে সবটুকু ছেলের জন্য খরচ করে। ওর হাত-পা বাঁধা,দুটো বাড়তি রোজগার করতে লোকের বাড়ি কাজ করা ছাড়া অন্য কোনো কাজ ওর জানা নেই,কিন্তু ওকে তা করতে দেওয়া হবে না। দুটো বাড়তি পয়সা পেলে ছেলের জন্য দুটো ভালমন্দ জামাকাপড়, খেলনা কিনত। ওর সবকিছু ভাবনা এখন ছেলেকে নিয়ে। তপন সাধ্যমত চেষ্টা করে,তবু মন চায় আরো কিছু। প্রথম সন্তান,তাকে ঘিরে কত স্বপ্ন,কত আশা। ছেলে চারবছরের হলে নার্শারি স্কুলে দেওয়া হল। খুব ইচ্ছে হয়েছিল ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করার কিন্তু সে অনেক খরচ, পারবে না। মনটা খারাপ হয় কিন্তু কি বা করবে। কল্পনা যেটুকু জানে ছেলেকে নিজেই পড়ায় কিন্তু ছেলে যেন আগ্রহ পায় না তাতে। তখন বাধ্য হয়ে ছেলেকে একজন টিউটর দেয়, বাড়ি এসে পড়ায় সে। কিন্তু সব যে আর সামলানো যাচ্ছে না। কল্পনা এবার নিজেই গেলো শাশুড়ির কাছে, বললো "হয় ছেলের পড়ার খরচ দিন নয় তো আমায় অনুমতি দিন কাজ করবার। আপনাদের পরিবারের ছেলে মানুষ হলে আপনাদের মুখ উজ্জ্বল হবে না হলে আপনাদেরই মুখ পুড়বে"। শাশুড়ির ইচ্ছে নয় টাকা দেবার কাজেই অনু
মতি দিলেন কল্পনাকে যদিও দুকথা শুনিয়ে,"ঝিয়ের মেয়ে ঝিগিরি করবে এটাই তো স্বাভাবিক "। চোখের জল মুছতে মুছতে বাড়ি এল কল্পনা,মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল," আমার জানপ্রাণ দিয়ে লড়ে যাব আমি এই ছেলেকে মানুষ করতে "।
শুরু হল কল্পনার লড়াই। ছেলে ছোট,তাকে সময় দিতে হয়,চান করানো,খাওয়ানো,তাই প্রথমে দুবাড়ি কাজ ধরল ও। সংসার কিছুটা স্বচ্ছল হল তাতে। ছেলের স্কুলের জামা,জুতো,ব্যাগ সব দামী দামী কিনে দিল ও। ছোট থেকেই ছেলের চাহিদাও যাতে উঁচু হয়,তাহলে বড় হয়ে সেই চাহিদা পূরণ করার ইচ্ছেয় ও ঠিক মানুষ হবে,এমনই ভাবে কল্পনা। ছেলে মোটামুটি ভাল রেজাল্ট করে ক্লাসে ওঠে আর মায়ের মন খুশিতে ভরে ওঠে। ছেলে যখন ফিটফাট হয়ে স্কুলে যায়,তা দেখে বুকটা ভরে ওঠে ওর। মনে মনে কল্পনায় ছবি আঁকে ও ছেলে ফিটফাট হয়ে অফিস যাচ্ছে। ছেলে বড় হতে লাগল,হাইস্কুলে ভর্তি হল,বই খাতাপত্তর,পরার অনেক খরচ। কল্পনা আরো দুটো কাজ নিল। ভোর থেকে উঠে ঘরের কাজ করে ছেলেকে সাইকেলে করে টিউশনে পৌঁছে দিয়ে লোকের বাড়ি কাজে চলে যায়,আবার সময় হলে সাইকেলে করে বাড়ি নিয়ে গিয়ে তৈরি করে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আবার কাজে যায়। এই সাইকেলটা কাজের বাড়ি থেকে টাকা ধার নিয়ে কিনেছে ও এই ছেলের কথা ভেবেই। গ্যাসও কিনেছে ও ধার করে। ছেলেকে তৈরি করার ফাঁকে ফাঁকে রান্না করে ফেলে খানিকটা,আবার বাকীটা বাড়ি ফিরে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ও সারাদিন শুধু ছেলের কথা ভেবেই।
ক্লাস ফাইভে উঠলে ছেলেকে কম্পিউটার শিখতে পাঠায়,জ্যাঠাদের কাছে নয়,অন্য কম্পিউটার সেন্টারে। দেখতে দেখতে ছেলে মাধ্যমিক পাশ করল। তপন,কল্পনা দুজনেই খুব খুশি। কল্পনা একবাক্স মিষ্টি নিয়ে, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শাশুড়ির কাছে গেল। ছেলে প্রণাম করল,শাশুড়িকে মিষ্টি দিতে গেলে,তিনি হাতে করে ধরলেন না,মাটিতে রাখতে বললেন, এও বললেন,"ঝিগিরি করে কটা টাকা পাও,এভাবে খরচ করছ কেন? ঝিগিরির টাকায় কেনা এ মিষ্টি কে খাবে বল তো?" কল্পনার চোখ ভরা জল। ছেলে বাড়ি ফিরে মাকে বলল,"আমায় আর কোনোদিন ঐবাড়ি নিয়ে যাবে না "।কল্পনা সুমনকে বলে," বাবা তুই পড়াশুনো করে অনেক বড় হ,ঠাকুমাকে দেখিয়ে দে,ঝিয়ের ছেলে কেমন লেখাপড়া শিখে মানুষ হয়েছে,তবেই আমার শান্তি। আমি যে তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখি"। সুমনের কিন্তু মুখ শক্ত হয়ে আছে ঠাকুমার আচরণে।
ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হয় সুমন। অন্য বিষয়ের সঙ্গে কম্পিউটারও নিয়েছে সে। কয়েক মাস বাদেই একটা কম্পিউটার কেনার বায়না করে সে। ছেলে চেয়েছে,পড়াশোনা করে বড় হবে ছেলে,দিতেই হবে তাকে কম্পিউটার কিনে। তার ছেলে কম্পিউটার শিখে জ্যাঠাদের মত দিগগজ হবে। সবাইকে দেখিয়ে দেবে ও ঝিয়ের ছেলেও পারে। তপনকে বলে ছেলের আবদারের কথা। স্বামী স্ত্রী অহরহ চিন্তা করে কি করে ছেলেকে কম্পিউটার কিনে দেওয়া যায়। ছেলে বলেছে,"ওর জন্য লাইন করতে হবে,আলাদা টেবিল লাগবে,নেট কানেকশন লাগবে,অন্তত ৪০-৫০হাজার টাকার ধাক্কা। কল্পনা রাতে তপনকে বলে,"তা তো লাগবেই,ছেলে মানুষ তো আর এমনি এমনি হবে না "। তপন চিন্তিত, "সবই তো বুঝলাম,কোথায় পাই বল তো?" দুজনে মিলে এরপর স্থির করে লোন নিয়ে কিনে দেবে কম্পিউটার। কবে থেকে ভাবছে একটা করে ঘর পাকা করবে,তাই পেরে উঠছে না,আবার কম্পিউটার! ছেলে বড় হয়েছে,ছোট ঘরটায় একাই থাকে,ঐ ঘরেই কোথায় কি রাখা হবে বুঝিয়ে দেয় সে।
এরপর একদিন কম্পিউটার এল। শাশুড়ি শুনে বলেন,"গরীবের আবার ঘোড়া রোগ"। কল্পনা মনে মনে বলে," বলে নিন,আর কটা বছর শুনব আপনার কথা। এই কম্পিউটার কিনে দিলাম, ছেলে আমার দেখতে দেখতে মানুষ হয়ে যাবে। তারপর দেখব কি বলেন"। অনেক রাত পর্যন্ত ছেলে কম্পিউটারে বসে পড়াশোনা করে, পাশের ঘর থেকে ওরা টের পায়। তপন বলে,"ছেলেটার পড়ার চাপ বোধহয় খুব, এত রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে তাও তো রেজাল্ট আজকাল ভাল হচ্ছে না "। কল্পনা বলে, "দাঁড়াও, সবে তো কম্পিউটার কিনে দিলাম, ঠিক সব শিখে নেবে, কত চাড় হয়েছে ওর দেখছ? একটু তো সময় লাগবেই "।
দুজনে খুব খুশি ছেলের পড়াশোনায় অত মন দেখে। নিজেরা বলাবলি করে আর কটা বছর তারপর আমাদের সুখের দিন আসছে। খুশিতে দুজনের মুখ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একদিন গভীর রাতে কল্পনার ঘুম ভেঙে যায় দরজা খোলার আওয়াজে। ওদের দুটো ঘরের মাঝে একটা দরজা আছে, এ ছাড়া বাইরের দিকে আরেকটা করে। কল্পনার কি মনে হলো উঠে মাঝের দরজা খুলে ছেলের ঘরে গেল আর যা দেখল তাতে তার সারাশরীর থরথর করে কাঁপতে লাগল। ছেলে ঘরে নেই, বাইরের দিকের দরজা খোলা, সেখানে কারো সঙ্গে কথা বলছে আস্তে আস্তে, ঘরে কম্পিউটার চলছে, তাতে উলঙ্গ ছেলেমেয়েদের ছবি, নারী-পুরুষের আদিম সম্পর্কে লিপ্ত তারা। এমন ছবি কোনোদিন দেখে নি ও, এমন ছবি যে হয় তাই ওর জানা ছিল না। কোনোভাবে নিজেকে সামলে ঘরে চলে আসে ও, ছেলের সামনে যেন না পড়তে হয়। বিছানায় গিয়ে হাউহাউ করে কাঁদতে থাকে। তপনের ঘুম ভেঙ্গে যায়, জানতে চায় কি হয়েছে। কল্পনা বলবে কি কেঁদেই সারা। সামলে নিয়ে বলে,"ওগো,আমরা যে সুমনকে ঘিরে স্বর্গ রচনা করেছিলাম,সে স্বর্গ বুঝি ধ্বংস হয়ে গেল"। "কেন কেন,কি হয়েছে?" তপনের ব্যাকুল প্রশ্ন। কল্পনা সব বলল তপনকে,"রাত জেগে কম্পিউটারে এইসব দেখে ছেলে আর তাই ওর রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে আজকাল, আর আমরা ভাবছি ছেলে আমাদের কত পড়াশোনা করছে। কত কষ্টে করে ওর আবদারে কম্পিউটার কিনে দিলাম, ছেলে আমাদের কত বড় মানুষ হবে এই আশায়, তা ছেলে আমাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল। এখনও কতটাকা লোন শোধ করতে বাকী। কার জন্য, কিসের জন্য আমরা এত কষ্ট করছি গো সারাজীবন? আমাদের ছেলে মানুষ করার কল্পনা যে কল্পনাই থেকে গেল, তা আর বাস্তব বুঝি হল না",হাউহাউ করে কেঁদে পড়ল কল্পনা।