কাটাকুটি
কাটাকুটি
অনন্তের নিশ্চুপ প্রবাহমানতা হল জীবন। আমরা দেখছি পাশে বসে - কেউ আমরা আনন্দে ছুটছি , কেউ বালি দিয়ে খেলাঘর বানাচ্ছি সেটা থাকবে না জেনেও- আবার কেউ মুখ ঢেকে বসে আছি নিঃসীম হতাশায় - কিন্তু যা চলার সে থামছে না এক দণ্ডের জন্য। সময়ের এই নিঃসঙ্গ খেলায় আমরা জোর করে খেলতে চাই- অভিমানী শিশুর মতো ঠোঁট ফুলিয়ে অনুযোগ করি দলে খেলতে না নিলে, কিন্তু বুঝি কয়জন যাকে আমরা অনুভূতি বলে ডাকি।, যাকে আমরা মায়া বলে ভাবি সেই হল এই এক্কা দোক্কার ঘর ছোঁয়া নুড়ি-পাথর। এই খানিক পেলাম ওমনি মনে আনন্দের ঢেউ , চারপাশে কত লোক ,কত শব্দ - সব ভুল অঙ্কের মত কাটাকুটি হয়ে যায় যেই অপ্রাপ্তির কালবেলা ঘনিয়ে আসে। কেন এমন হয় ? আমি জানি সে আমার কেউ নয় , কেউ হতে পারে না তবু তার গায়ের গন্ধ কেন মনের অন্দরমহল মাতোয়ারা করে রাখে । বিষণ্ন গলিতে অন্ধকার যখন চুঁইয়ে পরে, কেন ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে করে আমার পুরনো ঘরবাড়িদের কাছে - নতজানু হয়ে ভেঙ্গে বসি " আমার ও তো থাকার কথা ছিল বন্ধু কিন্তু... " ' চোখে এক পশলা জল শীতের অনন্ত শান্ত রাত্রির মত জীবনের বুড়ি ছুঁয়ে দিয়ে যায় - বলে "আবার যদি ইচ্ছা কর" ফিরে এসো , আমি রইলাম জাতিস্মর কান্নাবাষ্প হয়ে - সেই ফিরে তাকানোর বুক মোচড়ানো - তোমার মুক্তি কান্নায়। বাষ্প যেন বৃষ্টি হয় পরের আখ্যানে- চেষ্টা চালাও !
