জ্বীনের ছায়া
জ্বীনের ছায়া


দুবাই থেকে বাড়ি ফিরল মিরাজ। কিছুটা আনন্দিত,কিছুটা চিন্তিত। ছোটবেলাতেই শুনেছিল সে তাদের বাড়ির ওপয জ্বীন্নাতের অভিশাপ আছে। ঘটনার শুরু তার ঠাকুরদার আমল থেকে। এক শনিবার রাতে তার ঠাকুরদা বাড়ি ফেরার সময় এক বিষাক্ত কেউটে তাকে তাড়া করে। তার ঠাকুরদা সেই কেউটের খুলি উড়িয়ে দিলে দেখতে পান সেটি আর কেউ নয় ,কেউটের ছদ্মবেশে জিন্নাতের আঠারো বছর বয়সী ছেলে। ক্রোধে সেই জ্বীন অভিশাপ দেয় এরপর থেকে তার পরিবারেও কেউ আঠারো বছরের বেশি বাঁচবেনা। দু বছর আগে মিরাজের দাদা আঠারো বছর বয়সে পা দেবার সঙ্গে সঙ্গে তারও রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। বিকেলবেলা গ্রামে বেড়াচ্ছে মিরাজ। দিগন্তবিস্তীর্ণ সবুজ ধানক্ষেত,মিরাজ গ্রামের বাইরের দিকে চলে এসেছে। এইসময়েই দেখা শুভ্রধবল পরিচ্ছন্ন পোষাক পরিহিত লম্বা সাদা দাড়িওয়ালা এক বৃদ্ধের সঙ্গে। বৃদ্ধ নির্নিমেষ চক্ষে তাকিয়ে থাকল মিরাজের দিকে। পরের দিন কবরস্থানের কাছে মাঠে পাওয়া গেল মিরাজের প্রাণশূন্য মৃতদেহ,দেহে আঘাতের চিহ্নমাত্র নেই,কিন্তু দু'চোখে ভয়ের ছায়া সুস্পষ্ট।