STORYMIRROR

Atrayee Sarkar

Abstract Action

4  

Atrayee Sarkar

Abstract Action

জাগ্রত স্বপ্ন

জাগ্রত স্বপ্ন

8 mins
288

ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখা

এ তো সবারই নেশা

মনের মাঝে যা লুকিয়ে রাখি

তাই ই মনে পরে রাতবিরেতে

স্বপ্ন মাঝে হারিয়ে গিয়ে

কখনো অন্ধকারে ডুবে যাই

কখনো বা জাগ্রত হয়ে

আলোর পথে এগিয়ে যাই।।

রাত তখন ৯ টা বাজে।

ঘরের মধ্যে এসে,,, স্নান করে, একটা armchair এ বসে সিগারেট জ্বালিয়ে খাচ্ছিলেন।

--" আপনি  তো দেখছি কেসটা নিয়ে কিছু ভাবছেন ও না ।

" সাক্ষ প্রমাণ না থাকলে,, ভেবে কোন কুল কিনারাও পাওয়া যাবে না। তবে ঘটনাটা খুব অদ্ভুত,, মিস্টার সেন।"

বলে উঠলেন ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ।

CBI অফিসার গিরিশ সেন বলেন--" হমম্ । ভাবনার ও বাইরে । প্রচন্ড অবাকজনিয়।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" ক্রিমিনাল কেস তো অবাক ব্যাপারই হবে।"

CBI গিরিশ সেন--" একটা মেয়ে কে এইভাবে মারার কারণ কি হতে পারে? "

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" সেটাই তো বুঝতে পারা যাচ্ছে না। এমন ভাবে মেরেছে,, যে পাসের কেউ কিচ্ছু শুনতে পারেনি। কতোবরো ক্রিমিনাল হলে এইরম করতে পারে।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" মারাত্মক বড়ো খুনি না হলে এরম কাজ কেউ করতে পারে না ।

মেয়েটার বডি দেখে ই বোঝা যাচ্ছে,, গলায় খুব জোর ফাঁস লাগিয়ে ওকে মারা হয়েছে,, এমনকি কিছু টা সামনের দিকে জামা ও ছেঁড়া । এইভাবে কে মারতে পারে?? স্কুলে পড়া বন্ধুর,,, এরম করা তো সম্ভব নয়। আর করবে বা কেন?

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" ভুল করছেন মিস্টার সেন। জামাটা যেরম দেখলাম,,, ওটা ছেঁড়া হতে পারে না।"

CBI অফিসার গিরিস সেন --" মানে? "

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" ছিড়লে তো হিজিবিজি ভাবে ছেঁড়া থাকবে। নিখুঁত করে ছেঁড়া কখনো যায় না।

এটা কাঁচি দিয়ে কাটা হয়েছে।

 বডি রিপোর্ট বলছে,, মেয়েটার পায়ের থাই প্রচন্ড rub করেছে। মেয়েটার হাতে লাল লাল ছাপ আছে, মানে নিজেকে ও হয়তো বাঁচাতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন-- " হমম,, ঠিকই বলেছেন। কিন্তু ওর হাতে যেটা লেখা MLTGRB মানে কি হতে পারে?"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" কাল সকালে ইপ্সিতার বন্ধু, পরিবার, সকলের ফোন চেক আপে পাঠিয়ে দেবেন। শুধু call নয়,, চ্যাট ও দেখা হবে ফেসবুক, ওয়াটস্যাপ সবেতে।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" হ্যা।"

ইপ্সিতা হালদার নামে একটা মেয়েকে অত্যন্ত বাজে ভাবে কেউ মেরে,, ওর বাড়িতেই ফেলে রেখে চলে গেছিল ।

 পুলিশ তদন্ত করে যখন পাচ্ছিলনা কিছু,, ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষকে ডাকা হয়েছিল।

পরের দিন ইপ্সিতার সব বন্ধুদের ডাকা হয়। সবার ই খুব মন খারাপ। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে, সেই একই কথা শোনা যাচ্ছে,, ইপ্সিতা খুবই সাধারণ, মিশুকে, হাসিখুশি মেয়ে ছিল।

--" তবে স্যার আমি জানতাম,, দুটো ছেলের সাথে ও রাত অব্দি থাকত ।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" তোমার নাম কি? আর ছেলে দুটো কে?"

--" স্যার, আমার নাম সৃজিতা । ওই দুজন ছেলের নাম রাহুল আর বিপ্লব ছিল।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" কি করত ইপ্সিতা ওখানে।"

--" ইপ্সিতা অনেক কিছু চেপে ও রাখত। ওটা বলতে পারব না।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" Thanks সৃজিতা, এটা বলার জন্য।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" আমার মনে হয়, এই ছেলে দুটোর সম্বন্ধে জানতে গেলে,, ইপ্সিতার পরিবারের সাথে ও কথা বলা দরকার।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" হমম্ । ওদের ফোন ও ট্র্যাক করতে হবে ।"

পরের দিন সকালে

অফিসার আর ডিটেকটিভ দুজনেই ইপ্সিতার বাড়ি যান।

ইপ্সিতার মা মহুয়াদেবী কুলকুল করে কাদছিলেন।

CBI অফিসার গিরিশ সেন-- " দেখুন, এইভাবে কান্না বন্ধ করে, প্লিজ বলুন, রাহুল আর বিপ্লবের ব্যাপারে আপনি কি জানেন।"

মহুয়া দেবী চোখের জল মুছে,, কাঁপা কাঁপা গলায় বলেন--" ওরা আমার মেয়ের খুব প্রিয় বন্ধু ছিল।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" আপনি সেটা জানতেন?"

মহুয়া দেবী--" হ্যা।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" এটা আপনি আগে বললেন না আমাদের? রাত অব্দি ইপ্সিতা ওদের সাথে থাকত কেন?"

মহুয়া দেবী--" খেলত ঘরে। অফিস থেকে আমার ফিরতে রাত ৮:৩০ বেজে যেতো।"

--" রোজ খেলত কতক্ষণ? "

--" না,, রোববার দিন ই শুধু। ও আমাদের সাথে কোথাও যেতে চাইত না,, সেই বন্ধুদের সাথে খেলবে। বন্ধুদের সাথে আছে বলে,, এই রোববার আমার বোনের বাড়ি গেছিলাম । ও কারোর বাড়ি ও যেতে চাইত না । শুধু মোবাইলে ওই কি খেলা।

--" আপনারা হাসবেন্ড ওয়াইফ, দুজনেই গেছিলেন? "

--" হ্যা।"

--" কখন ফিরেছিলেন? "

--" ৮:৩০ নাগাদ ফিরে এসেছিলাম। দরজা ধাক্কা দিতেও যখন ও দরজা খুলছিল না,, একজন রিক্সাওলা কে ডেকে দরজা ভাঙিয়ে,,,"

এই বলে মহুয়া দেবী আবারও কাঁদতে শুরু করেছিলেন।

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" বুঝতে পারছি,, আপনার মন প্রচন্ড ভেঙে গেছে,,, কিন্তু ক্রিমিনালকে ধরতে হলে,, আপনাকে তো বলতে হবে।"

মহুয়া দেবী--" এসে দেখি,,, ওকে মেরে, মেঝেতে ফেলে রেখে কে চলে গেছে।

ফ্ল্যাটের লোকেরা কেউ বলতে পারল না,, কে করেছে।"

মহুয়া দেবী আবারও কাঁদতে থাকেন।

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ --" কি খেলা খেলত?"

--" আজ্ঞে,,, ওনারা কিছু ই বলতে পারবেন না।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" তুমি কে?"

মহুয়া দেবী--" ও আমাদের রাত দিনের লোক,, মঞ্জু । আমাদের খুব প্রিয়।

 আমার অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে ৮ টা বেজে যেতো। মঞ্জুই খেয়াল রাখত ইপ্সিতার।"

--" আচ্ছা । কি জানো তুমি ইপ্সিতার খেলা নিয়ে??"

মঞ্জু--" মালটো বলে কি একটা খেলত,, আর কখনো কখনো খেলাটা নিয়ে ওদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি ও যেন হতো।"

--" মালটো?? পুরো নাম তুমি জানো না?"

--" না।"

--" কথা কাটাকাটি কেন হতো?? কি বলতো??"

মঞ্জু--" সেটা তো শুনিনি স্যার।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" রাহুল আর বিপ্লব কোথায় থাকে? "

মহুয়া দেবী--" দুটো বাড়ি পরেই যে এপার্টমেন্টেটা আছে,, ওখানে ই ওদের দুজনের ফ্ল্যাট আছে।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" মিস্টার সেন, এক্ষুণি চলুন।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হতো??? খুব অদ্ভুত। কি খেলা হতে পারে?"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" শুনুন,, আমি বিপ্লবের বাড়ি যাচ্ছি,, আপনি রাহুলের বাড়ি যান। দেখবে,, দুজনে একই কথা বলছে কিনা।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন-- " এই ফ্ল্যাটে রাহুল থাকে? "

--" হ্যা । আমি ওর মা। আসুন।"

--" আপনার নাম জানতে পারি? "

--" আমি মৃন্ময়ী দে।"

--" তা,, মৃন্ময়ীদেবী,, আপনার ছেলে রাহুল কই?"

--" স্যার,, ও প্রচন্ড ডিপ্রেস্ড হয়ে গেছে। ওকে অত্যধিক কিছু বলবেন না ।"

-- " রাহুল,, তুমি ইপ্সিতার সাথে সেইদিন ছিলে?"

--" হ্যা । আমি আর বিপ্লব একসাথে ছিলাম ।"

--" কি করছিলে?"

--" আমি, বিপ্লব আর ইপ্সিতা মুভি দেখে সিনেমা হল থেকে ফিরছিলাম। ইপ্সিতা খেলার জন্য আমাদের জোর করছিল। আমরা চাইছিলাম না। ও আয় না, আয় না,, বলে সেই ওর বাড়ি নিয়ে গিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছিল।

 কিছুক্ষণ খেলে আমি বেরিয়ে আসি,,,তবে,, বিপ্লব একটু দেরি করে বেরিয়েছিল। "

--" কি খেলা খেলতে?

--" আমরা ৩ জন মিলে সবসময় একটা খেলা খেলতাম জার মাধ্যমে সবাই সবার সাথে থাকতাম ।"

--" মৃন্ময়ীদেবী,, আপনার হাসবেন্ড কোথায়? "

--" আমার হাসবেন্ডের সাথে আমার,, ডিভোর্স হয়ে গেছে ২ বছর আগে।

 আমি স্কুল টিচার। ৭ টার মধ্যেই আমি ঘরে চলে আসি,, আর তারপর নিজের ঘরেই টিউশনি করি।"

---------------

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" বিপ্লব কোথায়? আমি ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ।"

--" আসুন । আমি বিপ্লবের বাবা,, রানা মুখার্জি।"

--" মিস্টার রানা,, আপনার ছেলেকে একটু ডাকুন।"

--" পুলিশ কেন এসছে বাবা? আমি কিছু করিনি।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" আমি একবারও বলিনি বিপ্লব,, তুমি ইপ্সিতার সাথে কোন বাজে কাজ করেছ। আমি কিছু কথা বলতে এসছি।

সেদিন তোমরা ইপ্সিতার সাথে কি করছিলে? "

--" মুভি দেখে সিনেমা হল থেকে ফিরছিলাম। তারপর কথা বলতে বলতে আমরা বাড়ি ফিরে যাই।"

--" আর কিছু না??"

--" না।"

--" মিস্টার মুখার্জি,, আপনি কোথায় ছিলেন??"

--" আমরা,, বাড়িতেই ছিলাম।"

--" Ok."

দুজনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটা চায়ের দোকানে বসে,, ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ আর CBI অফিসার গিরিশ সেন চা আর সিগারেট খাচ্ছিলেন ।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" কি বলল আপনাকে?"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" সিনেমা হল থেকে ফেরার পর ইপ্সিতা ওর বাড়ি ওদেরকে জোর করে নাকি নিয়ে গিয়েছিল খেলার জন্য ।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" WHAT?? ইপ্সিতা ওর বাড়ি নিয়ে গেছিল?"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" হ্যা । কেন আপনাকে কি বলেছে??"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" মুভি দেখে বাড়ি ফিরে এসছিল। দেখেছেন,, কথার মিল খাচ্ছে না। এখানে ই প্রশ্ন এসে যাচ্ছে কেন বলল?? আর কে সত্যি বলছে।"

ঘরে ফিরে ওনারা খেয়ে,, রেস্ট নিচ্ছিলেন তখন।

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" একবারও ভেবে দেখেছেন,, একটা জিনিস কিরম জ্বল জ্বল করছে??"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" কি??"

--" মালটো,,, আর MLT কিরম মিল খাচ্ছে। কথাটা মাল্টি হতে পারে। আর খেলা,,,,, মানে G থেকে GAME ও তো হতে পারে? আপনার কি মনে হয়??"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" MULTI USER প্লাটফর্মে বাচ্ছারা খেলে শুনেছি। তার মানে R B, রাহুল আর বিপ্লব??"

--" সেরমই কিছু একটা মনে হচ্ছে,, নইলে বিপ্লবের বাড়ি যেতে ই কেন বলে উঠলো " আমি দোষী নই"?

বিপ্লব এইভাবে কথা বলছিল।

কাল ই ওদের আমাদের এখানে ডাকুন । প্রশ্ন করলেই উত্তর বেরোবে।"

পরের দিন পুলিশ স্টেশনে রাহুল আর বিপ্লবকে ডাকা হয়।

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" So, বিপ্লব,, সত্যি কথাটা আর না লুকিয়ে বলেই দাও সেদিন কি করেছিলে।"

বিপ্লব--" কি কথা?? আমি কিছু জানিনা।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন চেঁচিয়ে বলে ওঠেন -- " তুমি কিছু জানো না? ইয়ার্কি মারছ তুমি? সত্যি কথা যদি না বল, সত্যি কি করে বের করতে হয়,, আমরা জানি।

আর একবারও যদি বল জানি না,, তোমাকে ওই ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে আমায় মারতে হবে।"

--" স্যার,,, ইপ্সিতা আমায় খেলায় সবসময় হারিয়ে দিয়ে,,, আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত,, যেটা আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। আমি আর সেদিন নিজেকে সামলাতে পারিনি,, ইপ্সিতার গলায় ওর একটা ওরনা জরিয়েই ওকে মেরে ফেলছিলাম।"

CBI অফিসার গিরিশ সেন--" খেলায় হারছ বলে, একটা মানুষকে মেরে, সারা জীবনে হেরে গেছ।"

ডিটেকটিভ আনন্দ ঘোষ--" সবকিছু জেনেও,, তুমি ইপ্সিতাকে সাহায্য না করে,, চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলে রাহুল???"

--" আমার কাছে কোন উপায় ছিল না। আমি একা থাকি ঘরে । বিপ্লব হুমকি দিয়েছিল,, আমায়ও ও মেরে ফেলবে।"

এবার জেলে চলো বিপ্লব।

ইপ্সিতার দেহ এবার দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

"না,,, না,, না,,, এ হতে পারে না। ও আমার জীবন, কেউ কারতে পারবে না। ছেড়ে দাও ওকে,, ছাড়ো আমার মেয়েকে ।"

--" মহুয়া,, মহুয়া কি হয়েছে??? চেচাচ্ছো কেন? মহুয়া।"

--" সুকান্ত,,, আমি আর চাকরি করতে চাই না। তুমি তো অনেক ইনকাম করো।"

সুকান্ত হালদার,, মহুয়া হালদারের স্বামী।

--" কিন্তু কি হয়েছে একবার বলোতো। এরম কেন করছ?"

--" সুকান্ত খুবই বাজে স্বপ্ন দেখলাম। তবে স্বপ্ন হলেও এটা সত্যি।

 তুমি, আমি শুধু চাকরি করি,,, আমাদের মিষ্টি মেয়ে টাকে ট্যাবলেট হাতে ধরে রেখে দি,,, এটা খুব বড়ো ভুল করি।

 ইপ্সিতার কিছু ছেলে বন্ধু ও হয়েছে। ও সত্যি খেলে ওদের সাথে।

 আমরা যদি মজা, আনন্দ না করি ওর সাথে,, ঘোরাতে না নিয়ে যাই,, ও কারোর সাথে সম্পর্ক রাখবে না।

 মাল্টিউজার প্ল্যাটফর্মে বাচ্ছারা খেলে।

আমি তো ওর হাত থেকে ট্যাবলেট টা ছিনিয়ে নিতে পারব না। সুকান্ত,, বাড়িতেই ইপ্সিতার সাথে এতো মজা, আনন্দ করতে হবে, যাতে ওর আর বন্ধুর সাথে ওরম খেলায় মন ই না পরে।"

মহুয়া দেবী,, সুকান্তকে নিজের স্বপ্ন বলতে সবকিছু বলেন।

--" বা,, বা,, কি স্বপ্ন দেখেছ গো। গল্প লেখা যায়।"

--" ইয়ার্কি মারছ???"

--" আরে না। আমাদের প্রিয় মেয়েটাকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাব। ঘরের মধ্যে আমরা দুজনে মিলে ওর সাথে গল্প, খেলা করবো,, যেমন আমাদের মা, বাবা করত।"

মহুয়া দেবী--" আমরা সবাই, সবার সাথে থাকব।"

সমাপ্ত

সন্তানের হাতে মোবাইল দিয়ে ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। মোবাইল, ট্যাবলেট ছাড়া কিছুই জানবে না ও।

ডিভোর্স নিতে কতক্ষণই বা লাগে? কিন্তু,, তাতে সন্তানের মনের মধ্যেও লাগে।

 তার মনে হয়,, বাবা আমায় ভালোবাসে না,, মা আমায় একটু ভালোবাসে। এটা তাকে ডিপ্রেসড করে দেয়।

ভুল পথে যদি একবারও সন্তান যায়,, তখনই তাকে সামলানো উচিত।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract