হীরা
হীরা
কানা ছেলের নাম যেমন পদ্মলোচন তেমনই লাবণ্যের নাম। লাবণ্য ছিটে ফোঁটাও নেই। বড় দিদি আর ছোটো বোনের বিয়ের পরেও প্রায় তিন বছর কাটলো কিন্তু লাবণ্যের পাত্র জুটলো না। নিন্দুকরা বলে দুটি রত্নের মাঝে একটি কয়লা। অবশ্য স্কুলের দিদিমণরা এই মেধাবী ছাত্রীটিকে নিয়ে খুবই গর্ব বোধ করে। নুন আনতে পান্তা ফুরণোর মত গরীব পরিবারে জন্মেও শুধুমাত্র পরিশ্রম আর ইচ্ছার জোরে প্রতিবার ক্লাসে প্রথম বই দ্বিতীয় হয়নি। এভাবেই একদিন এই রূপহীনা মেয়েটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো। যে পাত্রপক্ষ অপছন্দ করেছিলো তারাই কেউ কেউ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলো। বোনদের ব্যবহার ক্রমশ মোলায়েম হলো। স্বামী পরিত্যক্তা বড় দিদির সব ভার নিলো নিজে। ছোটো বোনের অসুস্থ শিশুর অপারেশনের জন্য টাকা দিতে কসুর করলো না লাবণ্য। আগের প্রতিটি দিনের অপমান তার আর মনে রইলো না। পরিবারটির লাঠি হয়ে দাঁড়ালো সেই কয়লা নাম দিয়ে অপমান করা লাবণ্য। আসলে কয়লা নয় লাবণ্য হীরা ছিলো।