গোপালের ভোগ পঞ্জিরি
গোপালের ভোগ পঞ্জিরি
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিনী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত আড়ম্বরের সাথে করা হয়।রাস লীলায় কৃষ্ণের ছোট বয়সের কর্ম-কাণ্ড দেখানো হয়, অন্যদিকে, দই হান্ডি প্রথায় কৃষ্ণের দুষ্টু স্বভাব প্রতিফলিত করা হয় যেখানে কয়েকজন শিশু মিলে উচ্চস্থানে বেঁধে রাখা মাখনের হাড়ি ভাঙতে চেষ্টা করে। এই পরম্পরাকে তামিলনাডুতে উরিয়াদি নামে পালন করা হয়। কৃষ্ণের জন্ম হাওয়ায় নন্দের সকলকে উপহার বিতরণের কাহিনী উদ্যাপন করতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর বহু স্থানে নন্দোৎসব নামেও পালন করা হয় ।
রাত পেরোলেই জন্মাষ্টমী । যদিও মাহেন্দ্র যোগ শুরু হয়েছে অনেক্ষণ হলো । গোপাল রূপে শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সকলের কাছে সন্তান রূপে পূজিত । তিনি ব্রাহ্মনীর ও পুত্র আবার শুদ্র নারীর ও পুত্র । গোপাল নবজাতকের ন্যায় আদৃত প্রত্যেক মানুষের কাছে । তার হাতে থাকে নাড়ু । যার নাম পঞ্জিরি । শাস্ত্র মতে গোপাল নিজের হাতে নাড়ু রূপক হিসেবে উপস্থিত করেছেন । যেখানে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন আমার হাতের নাড়ু তোমার কর্মফল । যেমন দেবে তুমি তেমনি ফিরে পাবে । তোমার কর্মফল আমি স্বয়ং নিজ হাতে রক্ষা করছি ।
যাইহোক আজ জন্মাষ্টমীর শুভ দিনে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব পঞ্জিরি বানাবার প্রণালী ।
এই পঞ্জিরি লাড্ডু খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়। সুজি, বাদাম, নারকেল ঘিয়ে ভেজে লাড্ডু পাকিয়ে সহজেই প্রসাদ তৈরি করতে পারেন।
পঞ্জিরি লাড্ডু তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ :
ময়দা (wheat flour) , সুজি (semolina), মখানা (lotus seeds), শুকনো করে কোরানো নারকেল (bowl dry coconut), চারমগজ (char magaz) , কাজু বাদাম (cashew nuts), আমন্ড (almonds), চিনি (sugar), ঘি (ghee)।
লাড্ডু তৈরির পদ্ধতি :
প্রথমে একটা কড়াইয়ে ঘি ঢেলে তাতে মখানাগুলো ভেজে নিন। সোনালী রং হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। এরপর সেটা নামিয়ে ভাজা মখানাগুলি গুঁড়ো করে নিন। এরপর আলাদা করে কড়াইয়ে ঘি দিয়ে ভাল করে সুজি ভেজে নিয়ে তাতে ময়দা দিয়ে দিন। এরপর তাতে গুঁড়ো মখানা, নারকেল, কাজুবাদাম, আমন্ড মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণে চিনি দিনে ভাল করে নেড়ে নিতে হবে। তারপর হাতে করে লাড্ডু পাকিয়ে নিলেই তৈরি পঞ্জিরি লাড্ডু।
