Apurba Kr Chakrabarty

Horror Thriller Others

4.0  

Apurba Kr Chakrabarty

Horror Thriller Others

গেস্ট হাউসে ভয়ানক একরাত

গেস্ট হাউসে ভয়ানক একরাত

8 mins
245



অশ্বিনী বাবু অফিসের ডি ডি ও ।ইয়ার এন্ডিংয়ে ত্রিশ একত্রিশ মার্চ অফিসে ও ট্রেজারীর নানা ঝক্কি থাকে । তিনি ব্যান্ডেল থেকে দূর্গাপুরের নিত্য যাত্রী। ব্লাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে যাতায়াত করেন।এই দুদিন একটু কাজের চাপ থাকে । যাতায়াত না করে দুটো রাত দুর্গাপুরে তাদের অফিসের গেস্ট হাউসে থাকব স্থির করলেন।

গেস্ট হাউসের কেয়ার টেকার বাসু দ্বিধাগ্রস্ত বলল "স্যার আট ন বছর গেস্ট হাউসে কেউ রাত্রিবাস করেন নি। দুবছর আগে এক স্যার রাতে থাকব বলে শুতে গিয়েও থাকতে পারেননি ,সে রাতেই পালিয়ে এসে অফিসের নাইট গার্ডের সাথে শুয়ে রাত কাটান।আপনি বরং রাতে অফিসে থাকুন। "

অশ্বিনী বাবু রাজী নন , কড়া ধাতের বছর চল্লিশের অশ্বিনী একটু বেপরোয়া মানুষ। বললেন" চল হে গেস্ট হাউস টা দেখেই আসি। "

নভেম্বরে তিনি এই অফিসে বদলী হয়ে নতুন এসেছেন, সুদুর কোচবিহার থেকে। ভাবলেন যদি ভালো হয়, মাঝে মধ্যে দুএকদিন ক্লান্ত লাগলে রাতে গেস্ট হাউসে থেকে যাবো। ভাড়া তো লাগবে না।আর ওখানে তো শোবার, রান্নার বান্নার সব ব্যবস্থা আছে।জল,বিদ্যুতের কোন অসুবিধা নেই।

অগত্যা কেয়ার টেকার বাসু ডি ডি ও সাহেবকে গেস্ট হাউস দেখাতে নিয়ে গেল। তখন বেলা বারোটা কী শোয়া বারোটা।অফিস থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। গেস্ট হাউস সংলগ্ন বড় বাজার ,অনেক দোকান ,রাতে সিকিউরিটি থাকে।তিন তলা তাদের ডিপার্টমেন্টের গেস্ট হাউস।

দ্বিতীয়ত তলায় অন্য ডিপার্টমেন্টের গেস্ট হাউসের খোলা বারান্দায় দেখলেন, মহিলার নাইটি চুড়িদার সহ অন্তর্বাস রোদে মেলা। কোন ফ্যামিলি থাকে নিশ্চয় অশ্বিনী বাবুর অনুমান।

তিন তলায় সিঁড়িতে উঠে বাম দিকের ঘরটি পরিত্যক্ত, ডান পাশের ঘরের তালা কেয়ার টেকার বাসু খুলল । কেমন ভয়দ্বিধা নিয়ে বলল"আপনি স্যার আগে চলুন"

অশ্বিনী বাবু ঘরে ঢুকে দেখলেন, ঘরটা নোংরা বহুদিন ব্যবহার না হলে যা হয়। ভিতরে গদিযুক্ত দামী সোফা, চেয়ার, টেবিল ,সব আছে তবে অপরিস্কার অপরিছন্ন। কেয়ার টেকার বাসু বলল "এটা স্যার ড্রইং রুম ,পাশে রান্নার ঘর। ভিতরে ঘরে ঢুকতে আবার একটি চাবি খুলে বাসু অশ্বিনী বাবুকে কে বলল "চলুন স্যার," অশ্বিনী ঐ ঘরে প্রবেশ করলে,পিছু পিছু বাসু ঢুকল।

ভিতরের কক্ষটি বেড রুম,বেশ বড় ।কুড়ি বাই ষোল তো হবেই ।পাশাপাশি দুটি খাট।কাঠের পুরোন দিনের বড়সড় আলমারি ।

বাসু বলল" স্যার কাঠের আলমারি মধ্যেই বিছানার গদি তোষক, বালিশ, মশারী, কম্বল, চাদর সব রাখা আছে ।"বেড রুমের দক্ষিণ দেওয়ালে দুটি বড় বড় জানালা। অশ্বিনীবাবু জানালা খুলে দিলেন। এক তলা বরাবর বাজার দেখা যাচ্ছে। অনেক দোকান ঘর।গেস্ট হাউস বিল্ডিংটি শুধু তিনতলা, আর সব একতলা।

ব্যবসায়ীদের একতলায় সারি সারি ঘর, রাতে কেউ থাকে না ।তাই দিনের কোলাহল রাতে যেন শ্মশানের নীরবতা। সিকিউরাটি গার্ড পাহাড়ায় থাকে।

বড় বেড রুমটির পাশে আর একটি ঘর। সেটিও চাবি দেওয়া।অশ্বিনী, বাসুকে ঐ ঘরটি খুলতে বললে বাসুর কেমন ভয়ে মুখ ফ্যাকাশে হয়েগেল,বলল "ওটা খোলা হয় না স্যার ! "

অশ্বিনী বাবু ব্যাঙ্গ ছলে বললেন "কেন? ভুত আছে!"

"রাম রাম ! আর ও কথা বললেন না স্যার।" ভয়ার্ত্ত বাসু আঁতকে ওঠে।

অশ্বিনী , কেয়ার টেকার বাসুর কাছ থেকে এক প্রকার ঐ ঘরের চাবি কেড়ে নিলেন। ঘরের তালা খুলে কপাট ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন।বাসু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে। দুর থাকে কেমন ভয়ে জড়সড়। অশ্বিনী দেখলেন এ ঘরটি বড়, তবে প্রথমটির তুলনায় ছোট। ঘরে খাটও আছে ।ঘর ভর্তি পুরোন ভাঙ্গা আসবাব, ব্যবহার যোগ্য নয় । নোংরা জরাজীর্ন বিছানার গদি লেপ তোষক বালিশে ঘরের মেঝে এমন পরির্পূন ভাবে ঠাসা, দাঁড়বার স্থান নেই। এঘরেও দক্ষিণ দেওয়ালের বড় একটাই জানালা রয়েছে , বন্ধ আছে । কিন্ত জানালা অবধি যাবার পথ নেই। ঘরের দরজার ডান পাশে ভিতর দেওয়ালে সুইট বোর্ড।অশ্বীনী সুইচ অন করলে বাল্বে আলো জ্বলল, ফ্যান ও চলল। একটা মৃদু গন্ধ নাকে এল ।কেমন যেন ইঁদুর পচার।

অশ্বিনী ঘরটা বন্ধ করে ,চাবি না দিয়ে বাইরে থেকে ছিটকানী লাগিয়ে, বাসুকে বললেন। "দুটো লোক লাগিয়ে সব ঘরের মেঝে, দেওয়ালের ধুলো নোংরা ঝেড়ে জল ফিনাইল দিয়ে পরিস্কার করতে বলো। এই পাশের ঘরে অনেক নোংরা, বন্ধই থাক। কাল দুটো লোক লাগিয়ে, সব নোংরা আবর্জনা বাইরের বের করে পরিস্কার করাবো।একা শোয়ার পক্ষে এ ঘরটাই বেস্ট। "

বাসু উদ্বিগ্ন। বলল "স্যার এখনে রাতে না থাকলেই ভালো করতেন। "

অশ্বিনী গম্ভীর হয়ে বললেন"শোন তোমাকে যা বললাম তাই করো। বিকালের মধ্যেই ড্রইং,বেড রুম, বাথরুম রান্নার ঘর পরিষ্কার করাও।আর রান্নার সব সরঞ্জাম তো দেখছি আছে। শুধু একটা গ্যাস ওভেন ব্যবস্থা কর।" এরপর অশ্বিনী বাবু এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন "আমি নিজেই রান্না করে খাব, তুমি একটু সন্ধ্যার সময় আমার সাথে বাজারটা করে এখনে দিয়ে যাবে।"

অফিসে ফিরে অশ্বিনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেছিলেন। বিকাল চারটে অফিসের বড়বাবু বলবেন "স্যার আপনার ঘর তো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেডি, তবে বাসু বলছিল ঐ ঘরটাতে কেউ নাকি রাতে শুতে পারে না। দুবছর আগে আপনার মতই এক সাহেব, এমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাতে শুতে গিয়ে কিছু দেখে বা শুনে! না শুয়ে সে রাতেই পালিয়ে আসে, নাইট গার্ডকে তুলে অফিসের গেট খুলিয়ে, অফিসেই শোয়।কী কারণ কোন দিন বলেন নি।এর এক মাসের মধ্যেই ট্রান্সফার নিয়ে তিনি এ অফিস থেকেই চলে যান।"

অশ্বিনী বাবু খুব হাসলেন আত্মবিশ্বাসী সুরে বললেন "আমি ভুত প্রেত এসব বিশ্বাস করি না। সব মনের দুর্বলতা বা অন্ধকারে রুজুতে সর্প দর্শন । "

বাসু অশ্বিনীর সঙ্গে রাতের রান্নার বাজার,গ্যাস ওভেন, ভর সন্ধ্যায় ঐ গেস্ট হাউসের ড্রইং অবধি পৌছে দিল।মনে মনে ঈশ্বর নাম জপতে জপতে দোতলার নেমে যেন প্রান ফিরে পেল।

আগের, ঐ অফিসার বদলী পর, এখন থেকে যাবার দিন বাসুকে গোপনে বলেছিলেন,এই ঘরে ভুত আছে।ঐ বন্ধ ঘরে বিকট বীভৎস শব্দ সে শুনেছে। ভাগ্য ভালো , সে খিল দিয়ে তখনও শোয় নি ।ছুটে যখন সিঁড়ি দিয়ে নামছে, ঘরে জোরে দরজা জানালা বন্ধ করার মত আওয়াজ পায়। কিন্ত পরদিন সে শুনেছিল ঘরের সব দরজা যেমন সে খুলে আসে, তেমন ছিল।

বাসুকে এসব কথা অন্য কে বলতে ঐ অফিসার নিষেধ করে।তাতে তার ক্ষতি হতে পারে। সতর্ক করে, "আমি পালাচ্ছি, তুমি কেয়ার টেকার ,ওর নিন্দা সমালোচনা বা ওর বিরুদ্ধে অন্যদের অকারণ ভীতি প্রদর্শন করো না। ও তাতে তোমার প্রতি রুষ্ট হবে।"

তবু আজ অশ্বিনী বাবুকে,বাসু ভুত আছে এমন ইংগিত দিয়েছে। অনেক আগে, এ অফিসের এক কর্মী গেস্ট হাউসে গলায় দড়ি দিয়ে মরে।

প্রতি শুক্রবার তিনি বাড়ি যেতেন,সোমবার ফিরে চার রাত বৃহস্পতিবার অবধি গেস্ট হাউসে থাকতেন।কাঁথি বাড়ি ছিল ।কোন অজানা রহস্যে সেই শুক্রবার বাড়ী যাননি, সবার অলক্ষ্য সেই রাতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।সোমবার তাকে অফিস আসতে না দেখে, তার ফোনে কল করলে কোন উত্তর পায় না,রিং বেজেই যায়। বার বার একই ঘটনা । অবশেষে সে সময়ের অফিসের হেড, নাইট গার্ডেকে গেস্ট হাউস পাঠালে ঘর ভিতর থেকে বন্ধ ও ফোন করলে রিং ভিতরেই বাজছে শুনতে পায়।পুলিশে খবর গেলে, পুলিশ আসে ,দরজা ভেঙ্গে দেখে, তিন দিন ধরে ঝুলে থাকা ঐ কর্মীর লাশ। কী বিশ্রী ভাবে ফুলে ফেঁপে গেছিল, পচাগলা শব!বীভৎস মুখচোখ সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। সারা ঘরে তীব্র পচা মাংসের গন্ধ, টেকা দায়। পোকা, মাছি ভন ভন করছে।

সেই সময় কালের এ অফিসের কর্মী, কেউ এখন নেই।গেস্ট হাউসের কেয়ার টেকার থাকলেও সেই ঘটনার সময় দুমাস উপর মেডিক্যাল লিভে তার নিজের দেশ বিহারে ছিল।এত নিখুঁত ঘটনা তার না জানা থাকলেও কিছুটা ধারনা ছিল ।

আশ্বনী কোন গুরুত্ব দেন না, বলেন সব বাড়িতেই তো মৃত্যু হয়। যার মধ্যে অনেক বাড়ীতে অস্বাভাবিক মৃত্যু, আত্মহত্যাও আছে। তবে তো ঐ সব বাড়িতে ভুত থাকবে! থাকে কী?

বাসু ঘাড় নেড়ে সহমত পোষণ করে।

রাত তখন সাতটা অশ্বিনী নিজেই ড্রইং রুমে মেঝে রান্না করছিলেন।রান্নার ঘরে আলোটা জ্বলছিল না। ওবেলা তার এত নজরে আসেনি। হঠাৎই যেন কেউ বাইরের দরজায় কড়া নাড়াদিল! অশ্বিনী খুলে দেখল কেউ নেই। দরজা খিল দিয়ে আবার রান্নায় মন দিল।কেমন যেন মন হচ্ছিল, কেউ তার পিছনে আছে।তাকালেন কেউ নেই ।অশ্বিনী,নিঃসঙ্গ ঘরে একাকীত্ব কাটাতে সব আলো জ্বলালেন। মোবাইলে বাড়ীতে, বন্ধুদের সাথে অনেক কথা গল্প করলেন। দশটার পর খাওয়া দাওয়া করে দক্ষিণ দিকের জানালা দিয়ে দেখলেন, চার জন সিকিউরিটি গার্ড একটা সেডের নিচে বেঞ্চে বসে তারা গল্প করছে। সব দরজায় খিল লাগিয়ে অশ্বিনী শুয়ে পরলেন । তখন সাড়ে দশটা।

একটু ঘুম ঘুম আসছে।হঠাৎই বাথরুমে জলের শব্দ কেউ যেন স্নান করছে! আলো জ্বেলে বাথরুম গেলেন,শব্দটা নেই, সাওয়ার থেকে তখনও টপ টপ জল পড়ছে,কেউ সদ্য স্নান সেরে চলে গেলে যেমন হয়। অশ্বিনীর মনে হয় তবে কী সে ট্যাপ ঠিক মত বন্ধ করতে ভুলে গেছে! এবার ভালো করে ট্যাপ বন্ধ করে আবার আলো অফ করে শুলেন।এবার ড্রইং রুমে কেমন রান্নার হাঁড়ি থালা বাসনের ঝনঝন শব্দ, ঘুম একটু ধরেছিল।বিরক্ত হয়ে বেড রুম খিল খুলে আলো জ্বলালেন, দেখলেন, হাড়িতে কিছু ভাত ছিল, মেঝে ছড়ানো, হয়ত বিড়াল! ড্রইং রুমের কাচের জানালা খানিক খোলা ।অনেক দিন ব্যবহার নেই, লাগানো যাচ্ছিল না, কিন্ত খটকা লাগে! বিড়াল এত উপরে কোন দিকে কী ভাবে উঠবে! তার হঠাৎই মনে এল এবার, ভাবলেন হয়ত বড় ইঁদুর।ওবেলা তো ঐ পাশের ঘরে ইঁদুর পচার মত গন্ধ পেয়েছিলেন! পুরোন বাড়ি, ব্যবহার হয় না , বড় বড় ইঁদুরের আর্দশ বাস স্থান, যুক্তি পেলেন। এবার ড্রইং রুমের আলো বন্ধ করে ড্রইং ও বেড রুমের মাঝের দরজা খিল দিলেন। আবার আলো নিভিয়ে বিছানায় শুয়ে মোবাইলে দেখলেন রাত তখন দুটো।

বাইরে সিকিউরিটি গার্ড এর বাঁশি শোনা যাচ্ছিল। হঠাৎই কেমন একটা বিকট গন্ধ! চোখ মিলে দেখে একটু চমকে গেলেন । কেউ যেন মশারীর বাইরে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করছ!তৎক্ষণাৎ বেড সুইচ অন করলেন। মনে হল একটা ছায়া মত কিছু পাশের বন্ধ ঘরে চলে গেল! রাতে তার বার বার ঘুম ভাঙ্গছে, ভাবলেন তবে অলস ক্লান্তিতে চোখে কী সে ভুল দেখছে!

সন্দেশ দুর করতে, মোবাইলের টর্চ জ্বেলে পাশের ঘরটা খুলে , ঘরের আলো জ্বালাতে গেলেন। আলো জ্বললনা,কিন্ত ওবেলা তো জ্বলছিল! তবে কী এটাও ফিউজ হল!এবার অশ্বিনী চমকে ওঠেন,এই ঘরে আবছা আলোয় নজরে এল, ভিতরে সিলিং ফ্যানে এক পচা গলা মৃত দেহ ঝুলছে! নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না। এবার সত্যি ভয় পেয়ে চিৎকার করতে গেলেন । কিন্ত মুখ থেকে এক অদ্ভুত শব্দ বের হচ্ছে! সে আওয়াজ পাশের মানুষ শুনতে পাবে কী না সন্দেহ। কল কল করে ঘামছেন,ছুটে দরজার খিল খুলে পালাতে গেলেন। কিন্ত হাতে জোর কৈ! দরজার খিল খুললেও কপাট টেনে খুলতে পারছে না, যেন বাইরে থেকে আটকানো । তীব্র পচার মাংসের গন্ধ যেন ঘরটা ভরে যাচ্ছিল। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে ।চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন বেড রুমের মেঝে এক শব সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা। পাশের ঘর থেকে একটা গোঁঙানী শব্দ , আক্রোশ আর ক্ষোভ ফেটে পরছে, অস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে , বলছে "এ ঘর পরিষ্কার করবি !আমার বিছানা বালিশ ফেলে দিবি! আমায় জব্দ করবি! আমার ঘর দখল করে শুবি! আগে আমার কাছে আয়, কত ক্ষমতা!"

ঘাম নয় এবার তীব্র ভয়ের কাঁপুনীতে থর থর করে অশ্বিনী কাঁপছেন, হাত থেকে মোবাইল টা পরে গেল। মুহুর্ত দক্ষিণে দুটি জানালা এক সাথেই কেউ যেন সজোরে বন্ধ করল! ঘরের সব আলোও মুহূর্তে নিভে গেলে । নিবিড় ঘন অন্ধকারে রহস্য ঘরের দরজায়, বীভৎস পচা গলা একটা মুখ বারবার এক অলৌকিক নীলাভ আলোয় ফুটে উঠছে, মুহুর্তে আবার অদৃশ্য হচ্ছে।বেশ ক বার পর এই দৃশ্য অদৃশ্য খেলা বন্ধ করে, কায়া স্থির হল । ফ্যাকাশে দুর্গন্ধময় গলাপচা ভয়ঙ্কর কুৎসিত মুখে সে কী ব্যাঙ্গ আর রসীকতা মাখা এক বীভৎস হাসি! অশ্বিনীকে কর্কশ বিকট গলায় ডাকল, "আয় একসাথে এ ঘরে জড়িয়ে শুয়ে থাকব!" তারপর বীভৎস কায়া ভীষণ উল্লাসে অশ্বিনীর কাছে এগিয়ে এল। অশ্বিনী এবার অচেতন হয়ে পড়ল।

পরদিন খুব সকালে বাসু এক অজানা ভয় শঙ্কায় গেস্ট হাউসের সামনের ড্রইং রুমের কপাট ধাক্কাধাক্কির করল ডাকাডাকি করল।মোবাইলে কল করলে। রিং বেজেই গেল ,কেউ তুলল না। পুলিশকে সে খবর দেয়।পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে দেখল । অশ্বিনীবাবু শোবার ঘরে মেঝে পরে আছেন। যেখানে গতরাতে অশ্বিনী একটা শব দেখেছিলেন সাদা কাপড়ে ঢাকা।অশ্বিনীর শরীরের প্রান নেই। মুখে চরম আতংকের অভিব্যপ্তি। বাসু সাদা বিছানার চাদর তার শবের উপর ঢেকে দিল।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror