দ্রক্ষী
দ্রক্ষী


চারদিকে দূর দূরান্তে শালের অরণ্যানী। বাতাসে শীতের আমেজ,শাল আর সেগুনের জঙ্গলে মর্মরধ্বনি তুলে বয়ে চলেছে হাওয়া। ক্যাম্প ফায়ার করতে এসেছে অফিসের পাঁচ ছজন ছেলেমেয়ে ,আর এদের সাথে আছে ঝিন্দারাম। কিছু দূরেই বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী শেওনাথ। আরও আছে এক ছোট্ট পাহাড়ি নদী ,যাকে বলে 'খারি পানি।' ঝিন্দারাম বলছে,"ও মছলি পকড়কে আপ সব নে আচ্ছা নাহি কিয়া বাবু,অগর উসে খারি পানি মে ডুবো দেতে তো দেখতে বো ক্যায়সে জল যাতা। ও এক প্রেত হ্যায়,যিসে দ্রক্ষী কাঁহা যাতা হ্যায়। ও হামেশা কোয়ি না কোয়ি শরীর ঢুমতে রেহতা হ্যায়। " বিরক্ত হয়ে প্রকাশ বলল,"এ তোরা সরা তো এটাকে এখান থেকে। তখন থেকে বক বক বক। " অরিজিৎও বিরক্ত,"বিলাশপুর থেকে এটাকে আনাই ভুল হয়েছে।"পূর্বা বলল,"বিলাশপুর যাচ্ছি পরের উইক। ততক্ষণ কি করবি ভাব!" সৌমেন হাসল-"ততক্ষণ এই ভাক্কু( ভেটকি ) মাছটাই খাওয়া যাক।" সৌমেনের কথায় হেসে উঠল সবাই। চারদিকে রূপোলী চন্দ্রালোক। বনপথ ধরে হাটছে সৌমেন আর রিমা। কিন্তু রিমা চমকে গেল,সৌমেনের গলাটা এরকম ঘড়ঘড় বলে মনে হচ্ছে কেন,আর চাঁদের আলোয় ছায়াটাকেও বা আধা মানুষ আধা সরীসৃপ লাগছে কেন!