বর্মাদেশের ভয়ঙ্কর
বর্মাদেশের ভয়ঙ্কর
অফিসের কাজে কিছুদিন আগেই মায়ানমারে গিয়েছিল মামা। মায়ানমার মানেই মান্দালয়,মায়ানমার মানেই বর্মা টিক, মায়ানমার মানেই ইরাবতী নদী ,মায়ানমার মানেই প্যাগোডা। আবার মায়ানমার মানেই বৌদ্ধধর্মের দেশ।মহামুনি বৌদ্ধ মন্দির আর অপরূপ অনুপম কালাউ এর প্রকৃতি। তিনদিন আগেই বাড়ি ফিরেছে। আজ আসছে আমাদের বাড়ি। সকালবেলা থেকেই এক্সাইটেড হয়ে আছি। মামার কাছে মায়ানমারের গল্প শুনব। খাওয়া দাওয়ার পর জাঁকিয়ে বসলেন মামা আমার ঘরে। আজ যা বললেন মামা চমকে উঠলাম। আমাদের দেশের রূপকথার মতো মায়ানমারেও নাকি এখনো আছে নরমাংসভোজী রাক্ষসরা। তাদেরকে বলা হয় 'বেলু'।অতিশয় কুৎসিতদর্শন,সর্বোপরি মাথায় একজোড়া শিং থাকা সত্ত্বেও একজোড়া ডানাও বিদ্যমান। তারা উড়তে পারে।বিভীষিকাময় চেহারা হলে কি হবে,যেকোনো রূপ ধারণে সিদ্ধহস্ত তারা।মামা নাকি একজন বার্মিজকে নিজের চোখে বেলুতে রূপান্তরিত হতে দেখেছেন। কিন্তু গল্প বলতে বলতে মামার শরীরটা এরকম পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে কেন,পিঠের দুপাশে গজিয়েছে একজোড়া ডানা,মুখে ফুটে উঠছে বিকৃতি।মামাও কি তাহলে!বর্মাদেশের বিভীষিকা আজ আমাদের বাড়িতে পা রেখেছে! আতঙ্কে মূর্ছিত হয়ে পড়লাম আমি।