Epsita Deb

Tragedy Crime

4  

Epsita Deb

Tragedy Crime

অতৃপ্ত বিদেহীঈপ্সিতা দেব

অতৃপ্ত বিদেহীঈপ্সিতা দেব

7 mins
30


 


 অতৃপ্ত বিদেহী 

✍ঈপ্সিতা দেব

(©️copyright protected- Epsita Deb)


কয়েকদিন হল মৃণালবাবুর শরীরটা ভালো নেই।ইদানীং উনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন।গতকয়েক দিন ধরে আবার বুকে ব‍্যাথা অনুভব করছেন।কয়েমাস আগে যে ঘটনায় মৃণালবাবু খুব খুশী হয়েছিলেন কিন্তু আজ সেই ঘটনাই আজ তার জীবনে বড় দুশ্চিন্তার কারন হয়ে উঠেছে।গতকয়েক দিন ধরে তিনি নিজের কৃতকর্মের জন‍্য অনুতপ্ত ,এখন তার বারবার মনে হচ্ছে এই কাজটা না করলে বোধ হতো।যে কাজটা তিনি পারেন না,সেই কাজের কৃতিত্ব নিয়ে এখন তিনি ভীষণ মুশকিলে পড়েছেন।এখন তার নাম ,যশ,প্রতিপত্তি সব কিছুই শেষ হতে বসেছে।আসল সত্যিই প্রকাশ পেলে কি হবে সেই চিন্তাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।যদিও বাস্তবে এসব কিছুর অধীকারী তিনি নন,যিনি এর অধীকারি তাকে অর্থে জোড়ে মৃণালবাবু মুখ বন্ধ করে এসেছেন।।যার জন‍্য আজ সাহিত্যিক হিসেবে মৃণালকান্তি মজুমদারকে সবাই চেনে তাকে সুকৌশলে মৃণালবাবু সামান‍্য অর্থের দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারিত করেছেন।মৃণালবাবু তার সৃষ্টিকে নিজের নাম দিয়ে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।এই কাজ তিনি করছেন সেই যৌবনকাল তথা স্কুলের গন্ডী পেরানোর পর থেকেই ।


আজ সকালে আবার একটা বিয়েবাড়িতে বাড়ি শুদ্ধ লোক গেছে। তারপর প্রকাশকের ফোনটা আসে পরবর্তী গল্পের স্ক্রিপ্টটা কবে দেবো সেটা তিনি জানতে চান,এখানেই সমস্যা। এখন মনে হচ্ছে সেদিন ত্রিদিপের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় না জড়ালেই বোধ হয় ভালো হতো।ওর চোখের সমস্যা হয়েছে তাই আজকাল লিখতে অসুবিধা হয় সেই জন্যে আর লিখতে পারবে না তবে সাহায্য করবে বলেছিল।ওর ছেলেটা ডাক্তারি পড়ছে,ছেলের অ্যাডমিশনের জন‍্য ওর প্রাপ্য টাকাটা নিতে এসেছিল।এবারের কলকাতা বই মেলায় ওর লেখা বই যা লেখক হিসেবে নামে প্রকাশিত হয়েছে সেই বইটা পাঠককুলে ভীষণ সারা ফেলেছে। এবার তাই লেখার চাপটাও বেশী।সেখানে ও যখন বলল আর লিখতে পারবে না তখন মৃণালবাবু বড়ো চটে গেলেন।একটাও টাকা দেবেন না বলে ত্রিদিপকে তাড়িয়ে দিলেন ।এদিকে গত পনেরো দিন ধরে একটাও শব্দ লিখতে পারে নি মৃণালবাবু।তাই তিনি এখন ভাবছেন ত্রিদিপ থাকলে অন্তত ধারনাটা দিতে পারতো।কি ভেবে ওর ছেলের অ্যাকাউন্টে অনলাইনে টাকাটা পাঠিয়ে দিলেন।


হঠাৎ ঘরের মধ্যে একটা দমকা হাওয়া ঢুকে এলো।সেই হাওয়ায় ঘরের একদিকের দেওয়ালের ক‍্যালেন্ডারটা খুলে পড়ে গেল মাটিতে।মৃণালবাবুসেই বাংলা ইংরেজি ক‍্যালেন্ডারটা তুলতে গিয়ে আজকের দিনটার দিকে চোখ পড়লো।-আজকে ১৫ই পৌষ শনিবার !!!

তখনই নিচের মেন গেট খোলার আওয়াজ পাওয়া গেল।মৃণালবাবু ভাবলেন এতো রাতে কে এলো এখন রাত এগারোটা।আর সঙ্গে সঙ্গে ওদের বাড়ির কারেন্ট চলে গেল।অথচ পাশের দু একটি বাড়িতে আলো জ্বলছে।বাকি বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।বাড়ির পুরানো কাজের লোককে ডাকলেন মৃণালবাবু,,,,

  --উত্তর এলো বাবু আমি দেখছি মনে হচ্ছে আমাদের বাড়িতে কিছু সমস্যা হয়েছে।


-মৃণালবাবু সদর্থক সূচক অভিব‍্যক্তি প্রকাশ করে মোমবাতি জ্বালালেন।তারপর যেই জানালা লাগাতে গেলেন এমন সময় ওনার ঘরের বন্ধ দরজা খুলে গেল!আর এই অসময়ে পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে মৃণালবাবু চমকে উঠলেন।মুখ থেকে সেই কন্ঠ স্বরের মালিকের নামটা বেড়িয়ে এলো -"ত্রিদিপ"।তুই এখন??


আলো আঁধারিতে সেই ছায়া বলে আসলে ভাই আমার হাতে সময় খুব কম ভাই।সবাইকে লুকিয়ে এসেছিরে।আসলে তোকে যে কথা দিয়েছিলাম, আমি আসবো।জানি তোর খুব সমস্যা হয়েছে কিন্তু আমি চেষ্টা করেছিলাম তবুও আমি আসতে পারি নি।সেদিন তোর বাড়ি থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি বাইক ধাক্কা মারে।তখন থেকেই হাসপাতালে ছেলেটা খুব সেবা করেছে।ওর ইচ্ছে ও আমার চিকিৎসার জন‍্য আমাকে হায়দ্রাবাদে নিয়ে যাবে।কি দরকার বল এখানে থেকে হোক,ও শুধু বড়ো ডাক্তার হোক এটা আমার ইচ্ছে।তুই ভাই কাল দুপুরে ওকে ফোন করে কথটা বলবি ও ওকে রাজি করাবি বল।


মৃণালবাবু জানালা বন্ধ করেই পিছনে ফিরে দেখলেন একটা চাদরে মোরা শরীর দাঁড়িয়ে আছে চোখগুলো কোটরাগত,গালে না কামানো দাঁড়ি।ঠিক কঙ্কালসার চেহারা,শীতকাল হওয়ায় ওর সর্বাঙ্গ ঢাকা।ত্রিদিপের চেহারা দেখে মৃণাল চমকে উঠল।বললো তোর একি চেহারা হয়েছে??তোর বিপদের কথা আমাকে জানালি না কেন বন্ধু?


ত্রিদিপ বলে-"আমি ছেলেকে লুকিয়ে এখানে এসেছি রে,আমাকে এখনি যেতে হবে।তুই আগামীকালের দুপুরের মধ্য নতুন গল্পের বিষয়বস্তু পেয়ে যাবি।শুধু আমার ছেলেটাকে মনে করে একবার কিন্তু ফোন করিস।এবার আমি যাবো রে বলেই মৃণালবাবুর হাতটা ধরে বলে " মৃণাল আজ ১৫ই পৌষ শনিবার ,ত্রিশ বছর আগে আজকের দিনে আমাদের মধ্যে যে গোপনে সাক্ষর করা মৌখিক চুক্তি হয়েছিল আমি সেটা থেকে এবার মুক্তি চাই।


তখন মৃণালবাবু বরফের মতো ঠান্ডা হাতের স্পর্শ অনুভব করলো,আর মন্ত্রমুগ্ধের ন‍্যায় মৃণালবাবু বললেন "বেশ ত্রিদিপ আমি তোকে গোপনে সাক্ষর করা মৌখিক চুক্তি থেকে মুক্তি দিলাম।আর তোর ছেলের অ্যাকাউন্টে ওর অ্যাডমিশনের জন‍্য টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি।


ওপাশ থেকে শুধু একটা শব্দ এলো ধন‍্যবাদ।আমি এখন আসি না হলে টোটো পাবো না।তবে যাওয়ার আগে সে আবার বলে যায় "কাল আমার ছেলেকে ফোন করতে যেন ভুলে যাস না,ওর তোকে প্রয়োজন।"ত্রিদিপ যেতেই কারেন্ট চলে আসে।তখন মৃণালবাবু ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শ অনুভব করেন ।দেখেন যে জানালাটা উনি এখনই বন্ধ করলেন ওটা খোলা।অদ্ভূত একটা অস্বস্তি অনুভূত হয় ।জানালা দিয়ে নিচের দরজার দিকটায় তাকিয়ে থাকে!!অনেক্ষন তাকিয়ে থাকার পরেও তিনি ত্রিদিপকে দেখতে পান না।



পরের দিন দুপুরে খাওয়ার পর মৃণালবাবু ঘুমছিলেন তখন বাড়ির কাজের লোকের ডাকে তার ঘুম ভাঙে।বৈঠকখানার ঘরে গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তেউনি পড়া ছেলেটাকে দেখে মৃণালবাবু চমকে উঠলেন।ছেলেটি আর কেউ না সে ত্রিদিপের ছেলে।সে জানায় গতকাল রাত এগারোটায় তার বাবা ইহলোকের মায়া ত‍্যাগ করেছেন।


কথাটা শুনেই মৃণালবাবু কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বলেন "তবে যে কাল রাতে ও আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল!!

কাজের লোক বলে কখন বাবু?

-মৃণালবাবু বলেন কেন কাল রাতে যখন কারেন্ট চলে গেল ত্রিদিপ বললো তুই দরজা খুলে দিয়েছিলি!


-কাজের লোক বলে "না তো বাবু আমি তো দরজা খুলি নি ।"


-আবার বুকের ব‍্যাথা অনুভব করলেন মৃণালবাবু,,,,

ওনাকে বিছানায় শোয়ানো হলো,,


দুদিন পর এই প্রথমবার মৃণালবাবু লিখতে বসলেন একটা গল্প।যেটা ছিল--


ত্রিদিব ছেলেটা সেই ছেলেবেলা থেকেই বড়ো ভালো।ত্রিদিপের বাবা মৃণালবাবুদের কারখানার একজন কর্মী।ত্রিদিব আগাগোড়াই ক্লাসে প্রথম হয়।সে মৃণালকে বড্ডো ভালোবাসে।তাকে নিজের ভাই মনে করে ।এদিকে মৃণালবাবুর বাবা ত্রিদিপের মতো রেজাল্ট না করার জন্যে মৃণালকে ভীষণ বকাবকি ও মারধর করে।কর্মচারীর ছেলে মাধ্যমিকে বিদ্যালয় থেকে প্রথম হলো আর তার ছেলে সাধারণ ফলাফল করলো এটা ওনার পক্ষে মেনে নেওয়া কষ্টের ছিল।কিন্তু কিছু করার নেই।এদিকে ত্রিদিপের বাবা চান ছেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হোক,মৃণাল যে কলেজে ভর্তি হয় সেই কলেজেই ত্রিদিব ভালো রেজাল্টের জন‍্য ভর্তি হয়।মিশুকে ত্রিদিব কলেজে গিয়েও নিজের প্রতিভার জোড়ে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠে।ত্রিদিব ভীষণ ভালো কবিতা ও উপন্যাস লিখতো।নতুন কলেজে তা কেবল মৃণাল জানতো।এছাড়া ত্রিদিব ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়লে ওর পরিচিতি আরো বৃদ্ধি পায়।এর প্রভাব মৃণালবাবু মনেও পড়ে।এখন সে ত্রিদিপকে আর ভালোবাসে না।হিংসা করে,কিন্তু সেটা ত্রিদিপকে বুঝতে দেয় না।আসলে ত্রিদিপের উন্নতিতে নিজের ব‍্যার্থতা দেখতে পায়।ত্রিদিপের প্রতি মৃণালের মনে ভালোবাসার বদলে আক্রোশ তৈরি হয়।আর তা চরম সীমায় পৌঁছায় যখন ওদের জীবনে নন্দিনীর আগমন ঘটে।



মৃণাল নন্দিনীকে পছন্দ করতো,ওকে পাওয়ার জন্য মৃণালকে মরিয়া হ‍য়ে ওঠে।কিন্তু নন্দিনীর সকল চাওয়া পাওয়া ত্রিদিপকে কেন্দ্র করে।নন্দিনীর মতো একজন সুন্দরী,বুদ্ধিমতি, ভদ্র পরিবারের মেয়ে কিভাবে ত্রিদিপের মতো একটা সাধারণ ছেলেকে ভালোবাসতে পারলো এটাই ছিল মৃণালের রাগের অন্যতম কারন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও নন্দিনীর চোখে মৃণালকে খারাপ করতে পারে না।সব ঠিক ঠিক চলছিল হঠাৎ ত্রিদিপের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে দূর্ঘটনায় উনি শয্যা নেন।


বোনের বিয়ে ,চিকিৎসার খরচ ও সংসারের দায়িত্ব হঠাৎ করেই ত্রিদিপের কাঁধে এসে এই সকল দায়িত্ব এসে পড়ে।আর দুটো মাস কাটাতে পারলেই ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে যেতে তখন ত্রিদিপ একটা চাকরির সন্ধান করতো।এখন ত্রিদিপ কি করবে ?নন্দিনী ত্রিদিপকে বলে ও ওর বাবাকে বলবে একটা চাকরির ব‍্যাবস্থার কথা।কিন্তু ত্রিদিপ রাজি হয় নি।কারন নন্দিনীকে যেখানে ও স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে সেখানে ওর বাবার কাছ থেকে কিছুতেই কোনো সাহায্য নেওয়া যাবে না।কারণ ও কারোর কাছ থেকে শুধু শুধু সাহায্য নেবে না।ওর প্রানের বন্ধু মৃণাল সেদিন এই সুযোগটাই নিয়েছিল।মৃণাল টাকার ব‍্যাবস্থা করবে বললে ত্রিদিপ প্রথমে রাজি হয় নি।


মৃণাল ত্রিদিপকে সেদিন বলে ত্রিদিপ তোকে পড়াশোনা ছাড়তে হবে না কাকাবাবুর চিকিৎসা সহ তোর পড়াশোনা ও তোদের সংসারের জন্য যা অর্থ লাবে সেই ব‍্যাবস্থা আমি করবো।


ত্রিদিপ বলে -"তুই ভালো করে জানিস আমি বিনা পরিশ্রমে তোর কাছ থেকে অর্থ নিতে পারবো না।"


মৃণাল ওর মুখের কথাটা কেড়ে নিয়ে বলে -"বেশ তো তোকে আমি তোর পরিশ্রমের বিনিময়ে টাকা দেবো!! "


-ত্রিদিপ বলে কিভাবে? আমি তোর কথা কিছুই বুঝতে পারলাম না।


মৃণাল ত্রিদিপের দিকে তাকিয়ে বলে -"দেখ আমি নিজে নামে বই প্রকাশ করতে চাই।কিন্তু তুই আমার লেখনীর দক্ষতা বিষয়ে অবগত।!ত্রিদিপ তুই তোর ঐ দিনলিপিটা আমাকে দে,আজ থেকে তুই আর লিখবি না,,,সেটা সমাজের চোখে।তুই লিখবি আমার জন‍্য।এর বদলে তুই তোর পরিশ্রমের মূল‍্য পাবি রে বন্ধু!!"


-মৃণালের কথা বুঝতে না পেরে ত্রিদিপ বলে -"তোর কথা বুঝলাম না !!"


মৃণাল বলে" আজ থেকে তোর সব লেখা আমার নামে প্রকাশিত হবে।তুই গল্প,উপন্যাস,কবিতা লিখবি কিন্তু লেখক হিসেবে থাকবে আমার নাম মৃণালকান্তি মজুমদার।কখনও কোন বই প্রকাশিত হলে তা হবে আমার নামে।কিন্তু একটা শর্ত তুই যতদিন বেঁচে থাকবি তোকে আমি যখন বলবো তখন লেখা দিতে হবে। কিন্তু এই ব‍্যাপারটা তৃতীয় কোনো ব‍্যক্তি কোন দিন জানবে না,আজকে আমাদের মাঝে হওয়া কথা গোপন থাকবে।এর বদলে আমি তোকে তোর লেখার প্রাপ্য মূল দেবো।তুই তোর পড়াশোনা চালিয়ে এভাবে তোর পরিবারের পাশে থাকবি।আর তুই এটাকে একটা কাজ মনে করে আমার কাছ থেকে টাকাটা নে ভাই,কিন্তু পড়াশোনাটা মাঝখানে বন্ধ করিস না।

বলে কিছু টাকা সেদিন ত্রিদিপের হাতে দিয়েছিল।


-এদিকে ত্রিদিপ ততোগুলো টাকা হাতে পেয়ে ভাবে এখনকার মতো তো সমস্যার সমাধ হলো।মৃণাল যা খামখেয়ালি ছেলে এই ভাবনা সাময়িক।তাছাড়া নিজের পড়াশোনা ,বোনের বিয়ে ,চিকিৎসার খরচ ও সংসারের দায়িত্ব পালন যে এতো সহজে করা সম্ভব হবে তা ভেবেই মৃণালের প্রস্তাব মেনে নেয়।নিজের লেখা কবিতা ,উপন্যাস ও গল্পে পূর্ণ হওয়া দিনলিপিটা সারাজীবনের মতো তুলে দেয় প্রাণের বন্ধু মৃণালকান্তির হাতে।টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যায় স্বপ্ন।


কিন্তু এরপর থেকেই ত্রিদিপ ও মৃণালের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়।যদিও এই বদলটা আসে মৃণালের দিক থেকে।এরপর নানা ঘটনায় ওদের জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন আসে।যেটা বদলায় না সেটি হল ১৫ই পৌষ শনিবার সন্ধ্যায় সময় গোপনে সাক্ষর করা মৌখিক চুক্তি।


এতোটা লিখে সেদিন রাতের সহ পরেরদিন দুপুরে ত্রিদিপের ছেলের কাছ থেকে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া ও বিদেহী মুক্তির কাহিনী কলমবন্দী হলো।


         ...🌸সমাপ্ত🌿

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঈপ্সিতা দেব


       ( বাস্তবের সঙ্গে কোন মিল নেই সম্পূর্ণ আমার কল্পনা☺)


       (রেটিং ও রিভিউ দিয়ে মতামত জানান।

       গল্পটি ভালো লাগলে নিজের কালেকশনে রাখুন ও শেয়ার করুন।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy