অভিশপ্ত ডায়রি-পঞ্চম পর্ব
অভিশপ্ত ডায়রি-পঞ্চম পর্ব
রাতে খাওয়াদাওয়ার পর বিছানায় একটু হেলান দিয়ে বসব বলে বালিশটা তুলতেই সেটার তলায় একটা জিনিস আমার চোখে পড়ল। জিনিসটা হাতে নিতেই বুঝতে পারলাম এটা সেই লাল ডায়রি যেটা তনু আমায় দেখিয়েছিল। কিন্তু এটা এখানে এল কি করে? তনুকে যে বলেছিলাম ডায়রিটা সে যেখান থেকে পেয়েছিল সেখানে রেখে দিয়ে আসতে। তাহলে কি ও রাখেনি? এই কাজটা তনু কেন করল? মনের মধ্যে ভীষণ রাগ চেপে বসে। এমন সময় তনু গুণ গুণ করতে করতে ঘরে এসে ঢুকল। আমি সাথে সাথে ওর কাছে গিয়ে বললাম-
" এই ডায়রিটা এই ঘরে কি করছে? তুমি এটাকে রেখে দিয়ে আসনি? "
তনুকে দেখলাম ডায়রিটাকে দেখে ভীষণ অবাক হয়ে গেল। সে ভ্রু কুঁচকে বলল-
" এই ডায়রিটা তো এখানে থাকার কথা নয়। আমি তো......"
এই বলে সে থেমে গেল। আমি উত্তেজিত হয়ে বললাম-
" আমি তো কি তনু? চুপ করে আছো কেন? বল এই ডায়রিটা এখানে কি করে এল? "
সেই সময় ওর মুখ চোখ দেখে আমার মনে হয়েছিল যে ও যেন কিছু একটা মনে করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার রাগ এতটাই বেশি ছিল যে সেটা আমার কাছে নিছকই একটা অভিনয় বলে মনে হয়েছিল। আমি তনুর হাতটা ধরে ঝাঁকিয়ে দিয়ে বললাম-
" কি হল? চুপ করে আছো কেন? উত্তর দাও। "
তনু আমার হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে একটু উচ্চস্বরে বলল-
" হ্যাঁ......হ্যাঁ। আমি রেখে দিয়ে আসতেই গেছিলাম। তুমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমি ডায়রিটা রেখে দিয়ে আসব বলে ঠিক করেছিলাম। তখন সদ্য বাইরে আলো ফুটেছে। আমি ডায়রিটা নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে যাব আর ঠিক তখনি আমার মনে হল যেন চোখে অন্ধকার দেখছি। আমি হয়তো সেই সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। তারপর যখন জ্ঞান ফিরল, একটু সুস্থ বোধ করলাম তখন আমি আশেপাশে সব জায়গায় খুঁজেছি। এমনকি তিনতলার সেই ঘরটাতেও গেছিলাম। কিন্তু ডায়রিটাকে কোথাও খুঁজে পায়নি। কাউকে সেটার ব্যপারে জিজ্ঞেস করারও সাহস পাচ্ছিলাম না। তাই আর তোমাকে কিছু বলিনি। "
এতগুলো কথা বলার পর তনু এবার আমার হাত ধরে করুন ভাবে বলল-
" তুমি বিশ্বাস কর। এর বেশি কিছু আমি জানি না। "
কিন্তু আমার সেই সময় তনুর কোনো কথাই বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছিল না। আমি ওর দিকে তাকিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বললাম-
" তুমি কি এই ডায়রিটা পড়েছো? "
তনু আমার এই প্রশ্নে হঠাৎ চমকে উঠল। যেন মনে হল লুকিয়ে থাকা সত্যিটা এবার আমার সন্দেহের জালে ধরা দেবে। এই আশঙ্কায় তনু সাথে সাথে আমার সামনে থেকে সরে গিয়ে বিছানায় ধপ করে বসে পড়ল। তারপর কয়েক সেকেন্ড দুজনেই চুপ। ঘড়িতে তখন ঢং ঢং শব্দটা জানিয়ে দিল রাত ১১ টা বাজে।
তনু বলে উঠল-
" হ্যাঁ আমি পড়েছি। তবে তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানি না। ঐ দিন রাতে তুমি ঘুমিয়ে পড়ার পর আমিও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ডায়রিটা দরজার পাশে টেবিলটায় রাখা ছিল। ঘুমনোর কিছুক্ষণ পর আমার মনে হল কেউ যেন আমার কানের কাছে এসে ফিস্ ফিস্ করে বলছে "
" আমার যন্ত্রনার কথাগুলো তুমি শুনবে না? ওরা যে আমায় বাঁচতে দেয়নি। তুমি কি শুনতে চাও না কথা গুলো? তনু? এই তনু? "
" আমি তারপর ধড়মড় করে উঠে বসি। তখন আর কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না। কাউকে দেখতেও পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম কোনো স্বপ্ন দেখেছি হয়তো। কিন্তু ভুলটা ভাঙল আমার কোলের উপর রাখা প্রথম পেজটা খোলা অবস্থায় ডায়রিটাকে পড়ে থাকতে দেখে। আবার সেই ফিস্ ফিসে গলার শব্দটা আমার কানে ভেসে এল। সে বলছে-
" পড়ো লেখা গুলো। নাহলে জানবে কি করে আমার কষ্টের কথা? "
" আর আমিও কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো লেখা গুলো পড়তে লাগলাম। পড়তে পড়তে আমি যেন যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছিল একটা মানুষ কি করে এতটা কষ্ট সহ্য করে থাকতে পারে? তারপর......"
তনু আরও কিছু বলতে চাইছিল। ওর কথাগুলো বিশ্বাস করব কিনা বুঝতে পারছিলাম না। ওকে থামিয়ে দিয়ে উচ্চস্বরে বললাম-
" Just shut up তনু। Just shut up. Enough is enough. আর কত গল্প বানাবে তুমি? "
আমার এরকম কথা শুনে তনু ভীষণ ঘাবড়ে গেল। হয়তো ভাবতে পারেনি যে আমি ওর কথা গুলো এতটা অবিশ্বাস করব। তনু আবার কিছু বলতে চাইছিল। কিন্তু আমি আবারও ওকে থামিয়ে দিয়ে বললাম-
" আর কিছু শুনতে চাই না। তুমি এখুনি গিয়ে এটা রেখে দিয়ে আসবে। চলো আমার সাথে। "
আমি তক্ষুনি তনুর হাতটা ধরে ডায়রিটাকে নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে এলাম। তনু কোনোরকম বাধা দিল না। সিঁড়ি দিয়ে উপরে তিনতলায় উঠে এসে দেখি লম্বা বারান্দাটা জুড়ে শুধুই অন্ধকার। কোথাও কোনো ইলেকট্রিকের আলো নেই। কেবলমাত্র চাঁদের আবছা আলো এদিক ওদিক এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে আছে। চোখটা একটু ধাতস্ত হতেই আমি আশে পাশের দেওয়াল গুলোতে তাকিয়ে কোনো সুইচ বোর্ড দেখতে পেলাম না।
আমি তনুকে জিজ্ঞাসা করলাম-
" এবার বল কোন ঘরটা? "
তনু হাত দিয়ে ইশারা করে বলল-
" ঐ যে একদম শেষের ঘরটা। "
সেই সময় তনুর মনের অবস্থা কি ছিল সেটা নিয়ে ভাবার সময় এবং ইচ্ছা কোনোটাই ছিল না। আমি ওর হাতটা ধরেই বারান্দার ডানদিক ধরে এগিয়ে চললাম। পাশাপাশি চারটে ঘর। প্রথম তিনটে ঘরে বাইরে থেকে তালাবন্ধ থাকলেও একদম শেষের ঘরের দরজা আলগাভাবে ভেজানো ছিল।
সেই ঘরটার সামনে দাঁড়িয়ে তনুকে আবার জিজ্ঞেস করলাম-
" এই ঘরটা? "
এই প্রশ্নের উত্তরে ও মাথাটা শুধু হালকা ভাবে উপর নীচে নাড়াল। এরপর আমি একটা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং সেটা খুলতেই একটা তিব্র আঁশটে পচা গন্ধ আমার নাকে প্রবেশ করল। সাথে সাথে আমার সমস্ত শরীর ভীষণভাবে গুলিয়ে উঠল আর আমি সেখান থেকে প্রায় ছিটকে সরে আসলাম। হালকা কাশিও হতে লাগল।
তনু ব্যাস্তভাবে বলল-
" কি হলো তোমার? ঠিক আছো তো? "
কাশিটা একটু থামতেই বললাম-
" হ্যাঁ আমি ঠিক আছি। এই ঘরটায় এতো বাজে গন্ধ। কিন্তু তুমি ঐদিন এখানে ঢুকলে কি করে? "
তনু অবাক হয়ে বলল-
" গন্ধ? কোথায় আমি তো সেদিন এই ঘরে কোনো গন্ধ পাইনি। "
" আচ্ছা ছাড়ো বাদ দাও। আমার মনে হয় এখানে কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই। মোবাইলটাও আনতে ভুলে গেছি। তুমি বরং এখানে দাঁড়াও। আমি এক্ষুনি গিয়ে মোবাইলটা নিয়ে আসছি। "
ডায়রিটা তনুর হাতে দিয়ে ওকে সেখানে দাঁড় করিয়ে রেখে আমি নীচে চলে গেলাম। ঘর থেকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে যখন বেরোচ্ছি তখনই শুনতে পেলাম এক তীব্র আর্তনাদের চিৎকার। শুনে মনে হল যেন তনুই চিৎকার করল। পরক্ষণেই আবার যখন শব্দটা আমার কানে ভেসে এল তখন আমি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হলাম যে এটা তনুর-ই গলার আওয়াজ। আমি তক্ষুণি যত দ্রুত সম্ভব সিঁড়ি দিয়ে তিনতলায় উঠে এসে তনুর নাম ধরে বার কয়েকবার ডাকলাম। কিন্তু ওর কোনো সাড়া নেই। মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটটা অন্ করে বারান্দার ডান দিকে ধরে একদম শেষের ঘরটার দিকে এগোতে লাগলাম যার সামনে আমি তনুকে দাঁড় করিয়ে এসেছি। ঘরটার কাছে গিয়ে আমি বেশ অবাকই হলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে ঘরের দরজাটা খুলে রেখেই আমি নীচে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি দরজাটা বন্ধ। তনুকেও আশে পাশে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। তাহলে কি ও ঘরের ভেতরে আছে? নিজে থেকে ডায়রিটা রাখতে গিয়ে কোনো ভাবে ভয় পেয়ে গেল নাকি? আমি দরজাটা খুলতে গিয়ে বুঝলাম সেটা ভেতর থেকে বন্ধ। মনে মনে ভাবলাম দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেওয়ার কি মানে? কোনো রকম ভয় যে সেই সময় মনের মধ্যে প্রবেশ করেছিল সেটা বলা যায় না। তবে তনুর জন্য দুশ্চিন্তাটা বেশ গভীর হয়ে উঠেছিল। তাহলে ওর কি কোনো বিপদ...... না না আমি এসব কি ভাবছি। এরকমটা হতেই পারে না।
আমি দরজায় ধাক্কা দিতে দিতে তনুকে ডাকতে লাগলাম-
" তনু দরজাটা খোলো। আমি এসে গেছি। আর কোনো ভয় নেই। তনু please দরজাটা খোলো। তনু? তনু? "
এমন সময় হঠাৎ শুনতে পেলাম ঘরের ভেতর চাপা কান্নার আওয়াজ। কি হল? তনু কাঁদছে কেন? তাহলে কি সত্যি...... আর এক সেকেন্ডও অপেক্ষা না করে দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দিতে লাগলাম আর সাথে সাথে বলতে লাগলাম-
" তনু কি হয়েছে তোমার? তুমি কাঁদছো কেন? তনু দরজাটা খোলো। "
দরজা তো খুললই না। বরং মনে হল কান্নার আওয়াজটা যেন বেড়ে গেল। আমার একার পক্ষে এই দরজা খোলা সম্ভব নয়। নীচ থেকে সবাইকে ডেকে নিয়ে আসতে হবে। এমন সময় দেখলাম দরজাটা হঠাৎই খুলে গেল। বাইরে থেকেই বুঝতে পারলাম ঘরের ভেতরটা মিশ মিশে কালো অন্ধকার। বাইরে দাঁড়িয়ে কয়েকবার তনুর নাম ধরে ডাকলাম। কিন্তু কোনো সাড়া নেই। মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটটা সামনে ধরে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেলাম। সেই আলোয় দেখতে পেলাম ঘরের বাঁ দিকের কোণে তনু দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুজে বসে আছে আর মাঝে মাঝে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। আমি সাথে সাথে ওর কাছে গিয়ে ওর মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞেস করলাম-
" কি হল তনু? কাঁদছো কেন? এই দেখ আমি চলে এসেছি। আর কোনো ভয় নেই। চলো আমার সাথে। "
এই বলে ওর হাতটা ধরতেই আমার শরীরের সমস্ত শিরা উপশিরা যেন এক ঝটকায় ভয়ে কেঁপে উঠল। তনুর হাতটা বরফের মতো ঠাণ্ডা! এরই মধ্যে ওর কান্নার আওয়াজও থেমে গেছে। তার জায়গায় খসে খসে গলায় বলছে-
" তুই আমাকে ছুঁলি কেন? আমাকে ছোঁয়ার সাহস তোকে কে দিয়েছে? "
আমি ভীষণ অবাক হয়ে গেলাম। আমার সামনে যে বসে আছে সে কি আসলে আমার তনু? আমি কাপা কাপা গলায় বললাম-
" তনু তুমি এসব কি বলছো? আমি......"
আমার কথাটা শেষ হওয়ার আগেই তনু......না তাকে কি তনু বলা যায়? জানি না। সে হঠাৎ করেই খিল খিল করে হেসে উঠল। মনে হল কোনো বাচ্চা মেয়ে হাসছে। হাসিটা যেমন হঠাৎ করেই শুরু হয়েছিল আবার হঠাৎ করেই থেমে গেল। তারপর সে ধীরে ধীরে মাথা তুলে আমার দিকে চাইতেই আমি চোখের সামনে যা দেখলাম তাতে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। এই মুখ আমি চিনি। এ যে সেই বিভীষিকাময় মুখ, যেই মুখ আমার সমস্ত চেতনায় আলোড়ন তুলে আমার সামনে এসে হাজির হয়েছিল। আবার সেই মুখটাকে এখন আমি আমার চোখের সামনে দেখতে পারছি। তাহলে আমি কি আবার স্বপ্ন দেখছি? নাকি যা ঘটছে সেটা সত্যি? ভয়ে আমার শরীর কাঁপছে। কিছুটা পেছনে সরে আসলাম। মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। তনু কোথায় গেল? আমার সামনে যে এখন বসে আছে সে তো তনু নয়। এদিকে আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আমায় বলে যাচ্ছে-
" তুই পালা। তোর সামনে এখন ঘোর বিপদ। আর এক দণ্ডও এখানে থাকিস না। পালা। শিগগিরি পালা। "
এমন সময় শয়তানটা আমার সামনে দুই হাত বাড়িয়ে সেই খস খসে গলায় বলে উঠল-
" আয়। আমার কাছে আয়। একদম ভয় পাস্ না। আয়। "
তারপরেই দেখলাম পরক্ষণেই তার মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে গেল। যেন খুব কষ্ট। কান্না ভেজা গলায় বলল-
" আমার কোনো বন্ধু নেই। তুই আমার বন্ধু হবি? আয় না আমার কাছে। একটু কথা বলি। "
আমিও কেমন যেন সম্মোহিত হয়ে যাচ্ছিলাম। কি অদ্ভুত তার আকর্ষণ! সেটাকে কোন ভাবেই যে উপেক্ষা করা যায় না। ধীরে ধীরে আমি তারই দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ আমার মোবাইলটা বেজে উঠল আর সাথে সাথে আমার সমস্ত চেতনা সচেতন হয়ে উঠল। মোবাইলে দেখলাম একটা অচেনা নম্বর থেকে কল এসেছে। এদিকে শয়তানটার মুখ থেকে এক অদ্ভুত গর গরে আওয়াজ বেরোতে লাগল। আমি কাপা কাপা হাতে সেদিকে মোবাইলের আলোটা ফেলতেই দেখি তার মুখে অসম্ভব হিংস্রতার ছাপ ফুটে উঠেছে। সে এখন হামাগুরি দিয়ে আমারই দিকে এগিয়ে আসছে। ভাগ্যিস সেই সময় প্রচণ্ড ভয়ে আমার বুদ্ধি লোপ পায়নি। আমি তাড়াতাড়ি করে ঘর থেকে বেড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পা পিছলে যায়। সিঁড়ির কয়েকটা ধাপ প্রায় গড়াতে গড়াতে নীচে এসে পড়ি। উপরের দিকে চোখ পড়তেই দেখি শয়তানটা সিঁড়ির উপরের দিকে দাঁড়িয়ে আমারই দিকে তাকিয়ে আছে। কি ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য! যা দেখার পর আমার মুখ থেকে ভয়ার্ত গলায় আওয়াজ বেরোয় আর সাথে সাথে আমার চারপাশে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।
ক্রমাগত......

