অভিশপ্ত অস্তিত্ব
অভিশপ্ত অস্তিত্ব


'...শিকারি খুদ ইঁয়াহা শিকার হো গ্যায়া.... না জানু ম্যায়....'
- "কি হলো গানটা বন্ধ করলেন কেন? চলুক না!" - বললেন মিস্টার মিত্র।
-"আহা আপনি না আমার আজকের অতিথি, এতো রাতে গান বাজনা করে আপনার নেশা-টা আর মাটি করে দিতে চাই না।" - বললেন মিস্টার চ্যাটার্জী।
মিস্টার চ্যাটার্জীর কথা শুনে স্কচ্-এর গ্লাসটা টেবিলে নামিয়ে রাখতে রাখতে হাসলেন মিস্টার মিত্র। চারদিক খোলা ব্যালকনিকে ধুয়ে দিয়ে যাওয়া পূর্ণিমার চাঁদের আলোতে তার দু-দিকের স্বদন্ত গুলো একবার চকচক করে উঠলো।
- "আমার এরকম প্রায়শই চলে। মাঝে মাঝেই অচেনা অজানা লোকজনের বাড়িতে গিয়ে এইভাবে আতিথেয়তা নিয়েই থাকি।" - বললেন মিস্টার মিত্র।
গোল থালার মত সোনালী চাঁদটার দিকে তাকিয়ে মিস্টার চ্যাটার্জী বললেন , " ওহ্ আজ পূর্ণিমা!"
ঢং.... ঢং ...... করে ঘড়িতে বারোটা বাজল।
মিস্টার মিত্র একটা অদ্ভুত চাহনি নিয়ে তাকালেন মিস্টার মিত্রের দিকে। তার স্বদন্ত গুলো বেরিয়ে চকচক্ করে উঠলো। মিস্টার মিত্রের ঘাড় লক্ষ্য করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উঠতে গিয়েই মাথাটা ঘুরে গেল। চেয়ারে বসে অবাক দৃষ্টিতে তাকালেন মিস্টার চ্যাটার্জীর দিকে।
পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় স্পষ্ট হল মিষ্টার চ্যাটার্জীর শারিরীক পরিবর্তন.....ধীরে ধীরে গায়ের লোমগুলো বড় হতে লাগল....দুটি সুগঠিত হাত দুদিকে ছড়িয়ে দিয়ে দাঁড়াতেই চকচক্ করে উঠলো আঙুলের তীক্ষ্ণ নখ গুলো, যা ইতিমধ্যেই বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। কিছু সময় স্থির.....তারপর এক ঝটকায় ঘুরে তাকালেন মিস্টার মিত্রের দিকে।
এটা কার মুখ!! একটা ....."নেকড়ে!!!" - কথাটা শেষ করার আগেই মিস্টার চ্যাটার্জী ঝাঁপিয়ে পড়লেন মিস্টার মিত্রের উপর।
সিডি প্লেয়ারে তখনও গানটা বেজে চলেছে ......"শিকারী খুদ ইঁয়াহা শিকার হো গ্যায়া......"