ফিরে দেখা
ফিরে দেখা


-"ও মশাই , আপনিও রিসেন্ট টপকেছেন?"
-"হ্যাঁ। হেঁ হেঁ, এই যে দেখছেন না মুখে mask!"
প্যালারামের প্রশ্নের উত্তরে জানালো বুটু ভূত।
-"তা কি করতেন মারা যাওয়ার আগে?"
এক ঝটকায় নস্টালজিয়ার নৌকায় ভর দিয়ে ভাসতে ভাসতে স্মৃতির পাতা ওল্টাতে থাকলো বুটু, "ওয়াগন ভাঙতাম একটা সময়। আমার দাপটে বিড়াল -ইঁদুরে এক বাটিতে দুধ খেতো! সেই ছোট থেকে শুরু কি না! জানেন, প্রথমবার ওয়াগন ভাঙিয়া, কিনেছিলাম একপিস্ সবুজ জাঙিয়া। খুব প্রিয় ছিল!!! যাক গে সেসব কথা! আপনি কি করতেন?"
প্যালারাম উদাস মনে বলল, "আমি দুধ দিতাম বাড়ি বাড়ি। সেই আঠাশ বছর বয়সে দুধ দিতে গিয়ে দুধকুমারের সাথে আলাপ। ভালোবেসে ফেললাম। একদম দুধের মত গায়ের রং। কিন্তু হ'লনা। ও আমার মত ছিলনা। আমিও আর বিয়ে করলাম না সারাজীবন। এই কিছুদিন আগেও দেখা হয়েছিল, শালা দেখি বুড়ো হয়ে গিয়ে চুলের রং-ও কি সুন্দর দুধের মত হয়ে গেছে!!"
প্যালারামের কথা শেষ হওয়ার আগেই একটা গুরুগম্ভীর গলার শব্দ ভেসে এল.....
an> .....জয় ভবানী...... -"এটা কি আকাশবাণী?" - জিজ্ঞেস করল বুটু। -"না না ঐদিকে দেখুন একটা আজব পিস আসছে।" একটা লম্বা তিলক কাটা লোক এসে দাঁড়ালো ওদের পাশে। হাতে একটা গ্লাসে স্ট্র দেওয়া কিছু পানীয় আর গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। Mask -টা নাকের উপর তুলে নিয়ে বলতে শুরু করল, "সারাজীবন ভগবানকে ডেকেছি। সকাল, দুপুর , বিকেল, সন্ধ্যে, রাত...ঘুম ভেঙে গেলে মাঝরাতে পর্যন্ত। করোনা যখন এলো, তখন দিন রাত নিয়ম করে চরণামৃত খেয়েছি। কি লাভ হল? এত চরণামৃত খেয়েও আজ আমি করোনায় মৃত!! তাই আর নয় চরণামৃত, এখন শুধুই ভার্জিন মোজিতো।" অতীতের কথা মনে করতে করতে তিনজনের-ই চোখের জল বাঁধ মানল না। সেই জল গড়িয়ে এসে তাদের Mask-ও ভিজিয়ে দিল । আর এইভাবেই আরো একবার পাওয়া গেল " 3 Mask-এ Tears " (Mask পরুন ভালো থাকুন ❤️)