আনন্দের বাক্স:-
আনন্দের বাক্স:-
বাক্সটার উপর স্মিতার নামটা লিখে ঠিকানাটা লিখে ফেললো দীপ। একটু মুচকি হেসে বাক্সটা কুরিয়ার অফিসে পৌঁছে দিয়ে এসেছে। কুরিয়ার অফিস থেকে বলে দিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে পৌছে যাবে কুরিয়রটা।
খুশি মনে বাড়ি ফিরে আসে দীপ। দীপ আর স্মিতার বিয়ের কথা পাকা করেছে ওদের দুজনের অভিভাকেরাই। বিয়ের আগে খুব বেশি দেখা করার সুযোগ পায়নি দীপ স্মিতার সঙ্গে। বেশির ভাগ সময় ফোনেই কথা হতো দুজনার। স্মিতার অজান্তেই দীপ উপহারটা পাঠায় স্মিতার ঠিকানার উদেশ্যে। মনে মনে হিসাব করে দেখলো সঠিক সময়েই মানে বিয়ের একদিন আগেই পৌঁছে যাবে উপহারটা স্মিতার ঠিকানায়।
কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আমচমকা অনির্দিষ্ট কালের জন্য যানবাহন ধর্মঘট হওয়ায় মাঝরাস্তায় আটকে পরে উপহারটি, নির্দিষ্ট গন্তব্যে আর সময় মতো পৌঁছানো হয়ে উঠছে না। ক্রমে ক্রমে স্মিতা আর দীপের জীবনের সেই কাঙ্খিত দিনটি আগত। আজ চারহাত এক হওয়ার দিন। আজ মালাবদলের দিন। বিয়ে হবার পর স্মিতা শ্বশুর বাড়ি এসেছে এই সবে পাঁচদিন হলো। শুভবার দেখে দ্বিরাগমনে যাবার কথা যেদিন সেদিনই দীপ অফিসের কাজে এত জড়িয়ে গেলো যে সেদিন আর তার পক্ষে স্মিতা কে নিয়ে স্মিতার বাপের বাড়ি যাওয়া সম্ভবপর হলো না। স্মিতা দুঃখে, ক্ষোভে, অভিমানে সেদিন নিজের ননদ সহ দ্বিরাগমনে চলে যায়। দীপ অনেকবার ফোন করলেও ফোন নেয় না স্মিতা।
পরদিন সকালে মুখ কালো করে জানালার ধরে দাঁড়িয়ে আছে স্মিতা। হটাৎ দেখে গেট খুলে ঢুকছে একটি লোক। বেল বাজাতেই স্মিতার মা দরজা খুলে হাঁক দেন স্মিতা কে। আশ্চর্য হয়ে দরজার কাছে আসে স্মিতা। অবাক হয়ে দেখে বেশ অনেক দিন আগের তারিখে পাঠানো একটি কুরিয়র। আর প্রেরকের নামে দীপের নাম দেখে চমকে ওঠে সে। তড়িঘড়ি খোলে প্যাকেট'টা। একটা চিরকুটে লেখা 'ভালোবাসি তোমায় স্মিতা' আর একটি ছোট্ট বাক্সে দুটো হলুদ রঙের খুব ছোট্ট হাসিহাসি মুখকরা দুটো গোলাকার তুলোর পুতুল। এই অপ্রত্যাশিত উপহারে ভীষণ খুশি স্মিতা, তারিখ দেখে বুঝতে পারে বিয়ের অনেক দিন আগেই স্মিতা কে পাঠিয়েছিল দীপ ভালোবাসার উপহারটি কিন্তু সময়ের ফেরে আজকে পেলো সে সেই উপহার।
দীপের ওপর জমে থাকা স্মিতার সমস্ত ক্ষোভ তখন গলে গলে বাষ্প......