STORYMIRROR

Sayandipa সায়নদীপা

Abstract Inspirational

4  

Sayandipa সায়নদীপা

Abstract Inspirational

আমাদের ছুটি ছুটি...

আমাদের ছুটি ছুটি...

7 mins
279

"দিদিমণি, আমাদের উপর তো সবাই হাসছে। আপনি এতদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন, তাও সরকার কিছুই করছে না!"

"শুধু আমি নয় মোহন, সারা ভারত জুড়ে এমন অনেক মহিলা এবং পুরুষ একজোট হয়ে লড়াই চালাচ্ছেন যাতে ঈশ্বর সাধনার নামে এই বর্বর প্রথা বন্ধ হয়।"

"তাও সরকার কারুর কথা শুনছে না কেন দিদিমণি?"

"আদালত প্রমাণ চায় মোহন, আমরা সেই প্রমাণটাই দিতে পারছি না।"

"কী করবেন দিদিমণি, যাদের জন্য লড়াই করছেন তারাই যদি সঙ্গ না দেয় আপনার কী করার আছে! এত সাংবাদিক গেল, কোর্ট থেকে অফিসার পাঠাল, সবার কাছে ওদের এক কথা, 'আমরা ভালই আছি'। আচ্ছা দিদিমণি, ওরা কি বোঝে না ওদের সঙ্গে কী অন্যায়টাই না হচ্ছে?"

"কেউ বোঝে আবার কেউ বোঝে না। তবে আমার বিশ্বাস এখনকার দিনে সব মেয়েরাই বোঝে।"

"তাহলে ওরা কেন সত্যিটা বলে না?"

"ভয়ে। ওরা হয়ত মরতে ভয় পায় না, কিন্তু মৃত্যুর চেয়েও কঠিন শাস্তি তোলা থাকে ওদের জন্য। আমি নিজেও তো এর ভুক্তভোগী, তাই আমি জানি।"

"তাহলে কি ওদেরকে দিয়ে সত্যিটা স্বীকার করানোর কোনো উপায় নেই?"


★★★



"আমায় ডেকেছেন গুরুদেব?"

"হ্যাঁ তিলোত্তমা। বোসো।"

মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কৃষ্ণমোহনদেবের পায়ের কাছে বসে পড়ল বর্তমানে এই কৃষ্ণ মন্দিরের প্রধান সেবিকা তিলোত্তমা। তিলোত্তমার দিকে এক ঝলক তাকালেন কৃষ্ণমোহনদেব। তিলোত্তমার বয়স চল্লিশের কোঠা ছুঁয়েছে, তবুও তার রূপ আজও অক্ষত। কত বয়স হবে তিলোত্তমার! যখন সে দেবদাসী রূপে প্রথম এসেছিল এই মন্দিরে তখন বারো কী তেরো হবে বড়জোর। প্রথম দিন থেকেই সে মন্দিরের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছিল। কৃষ্ণমোহনদেব নিজে ব্রহ্মচারী, তিনি কোনোদিনও নারীসঙ্গ করেননি। কিন্তু দেখেছেন মন্দিরের প্রায় সকল ভক্তকে তিলোত্তমার রূপে পাগল হতে। তিলোত্তমার সান্নিধ্য পেতে তারা মন্দিরের কোষাগারে ঢেলেছে বিপুল অর্থ। আজ হঠাৎ করেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন প্রধান পুরোহিত। তাঁকে চুপ করে থাকতে দেখে তিলোত্তমা প্রশ্ন করল, "কিছু বলবেন গুরুদেব?"

"হুঁ! হ্যাঁ… বলছি কাল একটি নতুন মেয়ে আসছে। ঈশ্বরের সঙ্গে তার বিবাহের সমস্ত ব্যবস্থা কর তুমি।"

"আজ্ঞে।"

   তিলোত্তমা বিদায় নেওয়ার উপক্রম করতেই কৃষ্ণমোহনদেব আবার ডেকে উঠলেন তাকে, "তিলোত্তমা…"

"আজ্ঞে গুরুদেব?"

"তুমি জানো, দেবদাসী প্রথা তুলে দেওয়ার জন্য সারা দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে?"

"আজ্ঞে জানি। আমাদের মন্দিরেও তো ওরা কথা বলতে এসেছিল আমাদের সঙ্গে।"

"হুমম। ওরা বলে এই প্রথা নাকি অমানবিক, বর্বরোচিত। তোমার কী মনে হয় তিলোত্তমা? ওরা ঠিক বলছে?"

  অন্য কোনো দেবদাসী হলে প্রধান পুরোহিতের প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার অস্পর্ধা করতে পারত না। কিন্তু তিলোত্তমার বয়স হয়েছে, সে এই মন্দিরের প্রধানা দেবদাসীও বটে। তাই সে অস্পর্ধাটা দেখিয়েই ফেলল আজ। সে সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলল, "বিবাহের আয়োজন করতে অনেক সময় লাগবে গুরুদেব। আমি এখন আসছি।"

বেরিয়ে গেল তিলোত্তমা। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন কৃষ্ণমোহন দেব।



★★★



"দিদিমণি, একটা ছেলে আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাইছে।"

"আমার সঙ্গে? ডাকো তাকে।"


একটু পরেই মোহন একটি ছেলেকে নিয়ে ঢুকল এই ঘরে। ছেলেটি এসেই প্রথমে প্রণাম করল অম্বালিকাকে। থতমত খেয়ে গেলেন অম্বালিকা। কোনোক্রমে বললেন, "তোমায় তো ঠিক চিনলাম না।"

"আপনি আমায় চিনবেন না, কিন্তু আমি আপনাকে চিনি। আমি সমস্ত পত্রপত্রিকায় আপনার লড়াইয়ের কথা পড়ি নিয়মিত।"

"ওহ।"

"আমি নিজেও এক দেবদাসীর গর্ভজাত সন্তান। আমার নাম অনিল।"

"তা আমার কাছে কিছু বিশেষ প্রয়োজনে এসেছো?"

"আজ্ঞে। আমি যখন নয় বৎসরের তখন মন্দির থেকে আমাকে দত্তক নেয় এক দম্পতি। আমার পালক পিতামাতাই আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছি। বর্তমানে একটি মহাবিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক।"

"বাহ। শুনে খুশি হলাম।"

"আমি আপনার কাছে এক বিশেষ দরকারে এসেছি। আপনার সাহায্য আমার দরকার।"

"আমার সাহায্য!"

"হ্যাঁ। এই বর্বর প্রথা বন্ধ করতে আপনার সাহায্য আমার প্রয়োজন।"



★★★



মেয়েটাকে বিবাহের জন্য প্রস্তুত করতে করতে তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল তিলোত্তমা। মেয়েটার বয়স তেরো বৎসর। মেয়েটা অনাথ। কাকা কাকীর সংসারে থাকত। কাকা কাকীর তিন মেয়ে। পুত্র লাভের কামনাতে তারা এই মেয়েটাকে উৎসর্গ করেছে এই মন্দিরে। এই নিবেদন পেয়ে ঈশ্বর নিশ্চয় তুষ্ট হবেন তাদের ওপর, এটাই তাদের বিশ্বাস। এই মন্দিরে যখন মেয়েটা আসে তখন কেমন বিষণ্ন ছিল তার চোখ দুটো। তারপরেই এই বিশাল মন্দিরের জৌলুস আর ঐশ্বর্য দেখে চমকে গিয়েছে মেয়েটা। তখন থেকে বড় বড় চোখ করে শুধু দেখেই যাচ্ছে চারিদিক। মেয়েটার চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে নিজের সেই কিশোরীবেলাকে যেন খুঁজে পেল তিলোত্তমা। এই মন্দিরে প্রথম পা রেখে সেও এমনি বিস্মিত হয়েছিল। এত জাঁকজমক আর জৌলুস চমৎকৃত করেছিল তাকে। এমন অপূর্ব সুন্দর একটা মন্দিরে সেদিন থেকে থাকতে পারবে ভেবেই আনন্দে দিশেহারা হয়ে উঠেছিল সে। কিন্তু তারপর…



   ঈশ্বরের সঙ্গে বিবাহ হয়ে গেল মেয়েটার। দেবদাসী হিসেবে অভিষেকের পর মেয়েটার নতুন নাম হল হংসাবলী। অভিষেকের পর মেয়েটাকে তিলোত্তমা নিয়ে এল দেবদাসীদের আবাসে। এখানে এসেই চমকে উঠল মেয়েটা। সবাই ওঠে। মন্দিরের সামনের আড়ম্বরের আড়ালে পেছন দিকে যে এমন স্যাঁতস্যাঁতে ঘুপচি ঘর রয়েছে যেখানে ঠিক করে আলো বাতাস অবধি ঢোকে না, তা বুঝি কল্পনা করাও শক্ত। কিন্তু এটাই বাস্তব। এটাই দেবদাসীদের থাকার জায়গা, এখানেই থাকতে হয় তাদের। 


   এই ঘুপচি ঘরে দমবন্ধ হয়ে আসছিল হংসাবলীর। রাত নামতেই সবাই যখন ঘুমে অচেতন তখন সে চুপিচুপি বেরিয়ে এল ঘর ছেড়ে। মন্দিরের চারিপাশে দুর্ভেদ্য প্রাচীর। মন্দিরের পেছন দিকে সেই প্রাচীরের গা বরাবর হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ হংসাবলী খুঁজে পেল প্রাচীরের গায়ে একটা মস্ত ফাটল। ফাটলের মধ্যে চোখ রাখতেই হংসাবলী দেখতে পেল ওপারের জগৎ, একদিন আগেও যে জগতের বাসিন্দা ছিল সে। মুক্ত বাতাসে একটা বড় করে শ্বাস নিল হংসাবলী। আর কি কোনোদিনও সে ফিরে যেতে পারবে ওই জগতে!



★★★



"আবারও এক ব্যর্থতা দিদিমণি।" একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনিল বলল, "জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিল আমার এক বন্ধু। সেখানের সব দেবদাসীরাই নাকি বলেছে এমন সুখ আর তারা কোথাও পাবে না।"

"তোমার বন্ধু ওড়িয়া বোঝে অনিল?" জানতে চাইলেন অম্বালিকা। মাথা নেড়ে অনিল বলল, "না, তবে দোভাষী সঙ্গে ছিল।"

"দোভাষী নিশ্চয় স্থানীয়?"

"আমার ঠিক জানা নেই।"

"সে যদি স্থানীয় হয়, আমার বিশ্বাস সে সঠিক অনুবাদ করেনি। অথবা মেয়েগুলোকে আগেই প্রচন্ড ভয় দেখানো হয়েছে যার ফলে তারা মিথ্যে বলেছে।"

"উফফ! কিন্তু ওদের সাহায্য না পেলে তো আমাদের দাবি আবারও দুর্বল হয়ে পড়ব।"

"ধৈর্য্য ধরো অনিল। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো। তুমি যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছো, বিশ্বাস রাখো তার ওপর।"



★★★



"দিদি, তুমি সত্যিই ভাল আছো? তোমার ভাল লাগে এখানে?" অবাক চোখে প্রশ্ন করল হংসাবলী। শ্রীরাধা হেসে বলল, "কেন রে?"

"বল না।"

"এখানে কেউ ভাল থাকতে পারে!"

"তাই বল। কিন্তু তুমি ওই লোকটার কাছে সত্যিটা বললে না কেন?"

"পাগলী মেয়ে সত্যিটা বললে রক্ষে আছে নাকি! তোকে যখন ডাকবে তখন তুইও টের পাবি।"

"রক্ষে নেই মানে? তুই তো বলতে পারতে সব। সেদিন রাতে ওই বুড়ো লোকটার ঘরে তোমাকে ঢুকিয়ে দেওয়ার পর থেকে তো তুমি ভাল করে হাঁটতে অবধি পারছো না। তুমি সবটা বলতে পারতে তো।"

"এত সোজা নয় রে পাগলী। সত্যি বললে শাস্তি পেতে হবে।"

"এ কেমন কথা! ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে মিথ্যে কথা বলতে হবে!"

"হ্যাঁ রে, তাই হবে।"


   আজ শ্রীরাধা আর বাকি কয়েকজন দিদির সঙ্গে কথা বলে মনটা বেশ বিষণ্ন ছিল হংসাবলির। রাত নামতেই সে পোশাকের ভেতর একটা জিনিস ভরে নিয়ে বাইরে এল। আজকে আকাশে চাঁদ ওঠেনি, তবে তারারা ঝিকমিক করছে। সে ধীর পায়ে ফাটলটার দিকে এগিয়ে এল। তারপর নিজের কাপড়ের মধ্য থেকে সেই জিনিসটা বের করে টুক করে ছুঁড়ে দিল বাইরে। ক্ষণিকের জন্য চোখ রাখল ফাটলের গায়ে। কিন্তু তারপরে মাথাটা তুলতেই আঁতকে উঠল সে। মন্দিরের এক প্রহরী ঠিক তার পেছনে দাঁড়িয়ে। দু' চোখ রক্তবর্ণ। 



★★★



"অবশেষে আমাদের পরিকল্পনা সফল দিদিমণি। মৃন্ময়ী চমৎকার কাজ করেছে। আমাদের সামনে সত্যি না বলতে পারলেও নিজেদের মনের কথা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেছে ঠিকই। এবার আমাদের হাতে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।"

অনিলের কথাগুলো শুনতে শুনতে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন অম্বালিকা। অনিল ছেলেটা এক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল তাঁর কাছে। অনিল নিজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হওয়ায় একটি ছোট আকৃতির রেকর্ড করার যন্ত্র তৈরী করেছিল। সে বলেছিল সেই যন্ত্রের সাহায্যে দেবদাসীদের নিজেদের মধ্যেকার কথোপকথন রেকর্ড করে ফেলতে পারলেই তাদের হাতে এসে যাবে অকাট্য প্রমাণ। অনেক খোঁজার পর মৃন্ময়ী নামের অনাথ মেয়েটির সন্ধান পায় তারা। মৃন্ময়ী রাজি হয় এই ঝুঁকি নিতে। অনিল ও অনিলের এক বান্ধবী মেয়েটির কাকা ও কাকী সেজে তাকে সমর্পণ করে আসে মন্দিরে। দেবদাসী হিসেবে মৃন্ময়ীর নতুন নাম হয় হংসাবলী। মন্দিরের পেছন দিকের প্রাচীরে একটি ফাটল আগেই আবিষ্কার করেছিল অনিলের লোকজন। সেই ফাটল দিয়েই ওই যন্ত্রটি মৃন্ময়ীর কাছে পৌঁছে দিয়েছিল অনিল। আবার সেই ফাটল দিয়েই নিজের কাজ সম্পূর্ণ করে যন্ত্রটি ফেরৎ পাঠিয়েছে মৃন্ময়ী।

অম্বালিকা বললেন, "সবই হল, কিন্তু আমি ভাবছি মৃন্ময়ীর কথা। মেয়েটার কোনো বিপদ হল না তো?"

"না, না কিচ্ছু হবে না ওর।" 

অম্বালিকাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করল অনিল। 



★★★


বিছানায় শুয়েছিল হংসাবলী। শরীরে বিশেষ সাড় নেই। খুকখুকে কাশির চোখে গলার ভেতরে সব যেন তালগোল পাকিয়ে গেছে। হংসাবলী ভাবে সে কি আর কোনোদিনও সুস্থ হবে না! সেদিন ধরা পড়ার পর মারধরের সঙ্গে তাকে এনে পুরো একটা দিন ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল ঠান্ডা জলে। শুধু মুখটা বাইরে ছিল। একদিন পর যখন তাকে তুলে আনা হয় তখন থেকে শরীরে কোনো সাড় নেই। ধুম জ্বর এসেছিল, সেই সঙ্গে কাশি। কাশির দমকে গলা ফেটে রক্ত বেরিয়ে এসেছিল। জ্বর ছেড়ে গেলেও আর সুস্থ হতে পারেনি হংসাবলি। সে বুঝতে পারছে কোনো এক জটিল রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। তবে সব কিছুর মাঝে একটাই মঙ্গল হয়েছিল যে প্রহরী বুঝতে পারেনি হংসাবলীর আসল উদ্দেশ্য। সে ভেবেছিল দেবদাসী পালাবার তাল করছে। ফাটলটা নাকি বুজিয়ে দেওয়া হবে। এমনটাই শুনেছে হংসাবলি। কিন্তু সে আর জানতেও পারেনি তার এই ত্যাগ অনিল দাদাদের কাজে ঠিকঠাক লাগল কিনা। 



   আজ সকাল থেকে হংসাবলির শরীরটা আরও খারাপ। তার খুব ইচ্ছে করছে একবার রোদে গিয়ে গা এলিয়ে দিতে। কিন্তু উপায় নেই। এই ঘুপচি ঘরের থেকে তার হয়ত ছুটি নেই আর। আচমকা বাইরে কোলাহলের শব্দ শুনতে পেল সে। একটু পরেই শ্রীরাধা ছুটতে ছুটতে এসে বলল, "ওরে হংসা, সরকারের লোক এসেছে। সরকার নাকি বলেছে আজ থেকে আমরা আর দেবদাসী নই, আমরা আর মন্দিরের বন্দি নই। প্রধান পুরোহিত বললেন আমাদের ছুটি হয়ে গিয়েছে।"

শ্রীরাধার কথা শুনে চমকে উঠল হংসাবলি। আজ বহুদিন বাদে তার ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠল হাসি। ব্যর্থ হয়নি তার এই আত্মত্যাগ। আনন্দে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল সে, বন্ধ চোখের সামনে দেখতে পেল মিষ্টি রোদের খেলা। মুখে বিড়বিড় করে বলে উঠল, "আমাদের ছুটি ছুটি…"



#বি.দ্র. - সব চরিত্র কাল্পনিক। এর সঙ্গে দেবদাসী প্রথা বিলুপ্তির ইতিহাসের কোনো মিল নেই। 




Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract