মন না মস্তিষ্ক
মন না মস্তিষ্ক
মন চাইছে তোমায় দেখি,
নয়ন খুঁজে নেয়
তোমার লাজুক হাসি,
মস্তিষ্ক বলছে তোমার
সব কিছুই ফাঁকি
এবার বলো কি করনীয়
আছে আর বাকি ???
ইচ্ছে করে তোমার চুলে বিলি কাটি
তোমার হাতের ওই লাল সুতোয়
বেঁধে ফেলি দুজনাকে
কিন্তু মগজ বলছে
এত বোকা কেন
রে তুই ???
করিস না আর
বারাবারি, মুখ থুবড়ে
পড়লে একবার
কেউ কি আছে
তুলে দেবার ???
আমি ও বললাম
দোষ কি আমার ???
মনটা হয়েছে
লাগাম ছাড়া -----
যেই না পরেছে
চোখ, তোমার চোখে,
অমনি দিয়েছে ডুব
তোমার আঁখি পাতে।
তোমার চশমার ফ্রেমে
বন্দী যেমন তোমার নয়ন যুগল,
ইচ্ছে করে আমি ও হব,
বন্দী তোমার
ওই চক্ষু যুগল।
এই শুনে মগজ তো খেপে ব্যোম
বলে কি না সুখে থাকতে ভুতে কিলায়
তবে রে, হচ্ছে তোর....
কিন্ত কে শোনে কার কথা ???
মন যা চায় তাই বলে চলে...
একবার ভেবে নিয়ে আবার শুরু করে....
ইচ্ছে করে তোমার কপালে স্নেহের পরশ আঁকি,
ইচ্ছে করে তোমার শার্টের বোতাম হই,
ইচ্ছে করে তোমার বুক পকেটের রুমাল হই,
ইচ্ছে করে.....
এই শুনে তো এবার মগজের
করতেই হুকুম জারি,
মনটা আমার বলে ওঠে
এই রে, এটুকুতেই....
এখনো তো আরো আছে
অনেক কিছুই বাকি।
ক্ষেপে উঠে মস্তিষ্ক আমার
যেই না শুরু, করবে চিৎকার
অমনি আমার পুঁচকে মনটা ও
শুরু করে জারিজুরি....
তুমিই তো আছো আমার
একমাত্র সঙ্গী কথা বলার,
এমনি করে না রেগে
শোনোই না একটি বার----
আমার মনের , "ছোট্ট দরবার"।
শুনে মগজের
কি জানি কি হল ???
করলে আদেশ
যা কিছু আছে মনের
সমগ্ৰটা ব্যক্ত করো...
শুনে তো, আমি
কেল্লা ফতে!
প্রফুল্ল চিত্তেই,
শুরু করলাম
বক্তব্য আমার,
পুনর্বার ------
জানো কি তুমি,
তার গালের সেই হালকা দারি
আমার মন করেছে চুরি,
তার ওষ্ঠ দ্বয়ের ওঠা নামায়
কেঁপে ওঠে, আমার
বুক ভারি।
তার চোখের দীপ্তি , আর
দরাজ গলার স্বরে
মাথা নত হয়ে যায়,
বার বার আমার।
আবার তার ক্লান্তিতে ভরা
মুখমন্ডল,
আর কোমলতা ও শিষ্টতায় মোড়া
ব্যবহারে,
মুগ্ধ ও হয়েছি , বহুবার।
তবে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে ঝগড়া করি, কোমড় কষে,
ইচ্ছে করে, ছুঁয়ে দেখি তাঁকে
ইচ্ছে করে আগলে রাখি তার সবটুকু
ইচ্ছে করে, খুব ইচ্ছে করে....
সব শুনে শেষ মেশ
মস্তিষ্ক আমার ,করতেই
ফরমান জারি
আমি তো এবার
ভয়েই কুপোকাত....
তবে মগজ বেচারি
বুঝতে পারে,
আমার মনের
সকল ইচ্ছে গুলি।
তাই সে ও বলে ওঠে---
দেখ ভাই,
যা পারিস কর,
তবে পরলে একবার ধরা,
তখন যেন বলবি না,
কেউ কেন
করেনি মানা ???
