সুগন্ধ
সুগন্ধ
ঘরের পেছনে উত্তর দিকে ইয়া বড় বড় হলুদ সূর্যমুখী,
আর দক্ষিণ পূর্বের বাগানে চন্দ্রমল্লিকাদের সারি।
কাদের যে বেশী পছন্দ ছিল তা বলা কঠিন ভারি।
হলুদ আর সাদা রঙ তাই হয়তো পাশাপাশি,
আজও দেখতে আমি ভীষণ ভালোবাসি।
সর্ষে ফুলের বড়ার স্বাদ টা তো দেখি সবারই পছন্দ,
কিন্তু "চোখে সর্ষে ফুল দেখছে" বলে করে নিন্দে মন্দ।
গোল্ডেন ইয়েলোর চেয়ে ক্যানারি ইয়েলো ভালো,
কথাটা শুনে দোকানদারদের হয় মুখ কালো।
এশিয়ান পেইন্টস পারেনা মন ভরাতে কিছুতেই,
শেষে চলতে হয় বার্জার কে সাথে করেই।
নতুন গ্রীলে আমার যে সর্ষে ফুলের রঙটাই চাই,
বুঝতে না চাইলে দোকানদার আর কি করে বোঝায়!
না পেয়ে জেদ করে কাঠে লাগানোর রঙটাই আনি,
প্রাইমারের ওপরেও কিছুতেই রং ধরতে চায়না যখন,
কি আর করি, রঙ মিস্ত্রির কাছে আমি ঘাট মানি।
তবে এখানেও সামনে এক যুক্তি খাড়া করি,
ঠিক ঐ শেডটা লোহার এনামেল রঙের বেলায় নেই !
কেন আমার সাথে এমন কঠিন আচরণ?
কোম্পানি গুলোর এ কি রীতি বিচ্ছিরি !
বাড়িতে সবাই ভাবে আমার পছন্দই উল্টো ছিরি।
মালিরাও কম নয় কেউ, শুধু সবসময় খোঁজ নতুনের,
গন্ধটাই ছিলো পছন্দ সাদা চন্দ্রমল্লিকাদের !
ছোটোবেলায় প্রাণ ভরে কাছে গিয়ে কতো শুঁকেছি,
মনে মনে মায়ের হাতের জাদুর গর্ব করেছি।
বড় হতে হতে ঐ ভ্যারাইটিটা কি করে যে হারালো,
ফুলমেলার হাজার সুন্দর চন্দ্রমল্লিকা, মানছি ভালো।
কিন্তু সেই সুগন্ধ তো পাইনা আমি নাক ঠেকালেও,
কি খুঁজছি ও কেন, কি করে বোঝাই নিজে বুঝলেও।