মান-অভিমান
মান-অভিমান
"কোথায় ছিলে এতক্ষণ?
সন্ধ্যাবেলা হলো!
দুটো সিঙ্গাড়া কিনতে তোমার
সারাদিনটা গেল?
আমার কথা ভুলেই গেছো,
একলা আছি বসে,
উপোস করিয়ে মারবে আমায়
বুড়ি সব্বনেশে!"
"আজব তোমার কথাবার্তা!
বেরোলাম মাত্রই,
আধঘন্টা হয়েছে সবে
ঘড়ির কাঁটাতেই!
বিদঘুটে স্বভাব তোমার,
তিরিক্ষি একটুতে!
বয়স আমারও হলো অনেক,
হাঁটি ধীরেসুস্থে।
উপোস করিয়ে রাখবো তোমায়?
পঁয়ষট্টি বছর ধরে
আমার হাতে খেয়েই তোমার
গলাবাজি জোরেজোরে!
আজেবাজে কথা শোনাও,
কান্না চলে আসে!
পিত্রালয়ে যাত্রা দেব,
একলা রবে শেষে!"
"এক্ষুনি শালাবাবুকে বলো
এসে নিয়ে যেতে,
দেখে নিও, কক্ষনো আর
খাবোনা তোমার হাতে!"
"যথাআজ্ঞা! মেজাজ করো
পেটটা খালি রেখে,
গরমাগরম সিঙ্গাড়া আমিই
গিলব চেখেচেখে!"
.
"ওগো শুনছো! সিঙ্গাড়াসমেত
বেড়ে দিয়েছি মুড়ি,
পাখার তলায় বস, তুমি
পরিশ্রান্ত ভারি।
আঁধারবেলা ঘনিয়ে এলো,
তোমার দেখা নাই,
স্বভাবতই চিন্তা হলো,
ভাবলাম বেরোই
খুঁজতে তোমায় বড়রাস্তায়
একটু এগিয়ে,
লাঠিটা খুঁজে পেলাম না'কো
চারপাশটা চেয়ে।
হঠাৎ যদি অসাবধানে
ভিড়মধ্যে গিয়ে
হুড়মুড়িয়ে গর্তে পড়ো
কুঁচিটা জড়িয়ে!"
"ভদ্রভাবে বললেই পারো।
মেজাজ শক্তিশেল!"
"ঝগড়াঝাঁটি করেই তোমার
চাঙ্গা এনার্জি লেভেল!"