কবির বর্ণালী
কবির বর্ণালী
বর্ণময় তুমি, বর্ণালী! বারেবারে, বাকরুদ্ধ করেছো! বদলেছো বর্ণ, অবিরত; বড়ই বিচিত্র তুমি, বর্ণালী|
প্রজাপতির বেশে এসেছো, রং মেখেছো ডানায়, নতুন রং প্রত্যেকবার; চিনতে তোমায়, পারিনি বর্ণালী!
মনে করেছি, নিছক প্রজাপতির টহল, ফুলে-ফুলে, বাগানে; মোহিত, স্তম্ভিত হয়েছি রূপে, রূপসী বর্ণালী|
বসন্তগুলো কোথা কুড়িয়ে পাও, ঝাঁকে-ঝাঁকে রং ফোটে, হাওয়ার গন্ধ ওঠে; ভেসে আসো, উড়ে বর্ণালী|
মুগ্ধ হয়ে তাকাই, তাকিয়ে মুগ্ধ হই! ঘুমিয়ে পড়ি, স্বপ্নের দেশে নিয়ে যাই; রং খেলি, একসাথে বর্ণালী|
এরপর, ঝট করে, পলকের ওপারে, সন্ধ্যে হয় হঠাৎ করে; না জানিয়ে আনাগোনা বন্ধ হয়, আকস্মিক!
সব রং মিলিয়ে যায় ম্লান, শান্ত কালোয়| বাড়ি ফেরো তুমি, সারাদিন পরে; মধু শুকায়, বর্ণ হারায়!
প্রজাপতিরে খুঁজে পাই না আর| কোথায় ডানা, রং কৈ তার? সারাদিন কি তবে দেখলাম ধাঁধা?
ফুল-বাগানও কি সত্যি নয়? হায়! শূন্য তুমি, বড় সাময়িক বর্ণালী! অপেক্ষা শুরু, আবার!
নতুন-তোমার কথা লিখবে বলে, কবি চেয়ে থাকে, তার আশায়, রসদ বর্ণালী, কবির বর্ণালী!

