একতার গান
একতার গান


আজ পাতালবাসীর হাঙ্গামা,
দেখে বেজেছে মৃত্যু দামামা;
মোরা বিদ্রোহী বীর সংগ্রাম,
মহা-ভারতে শকুনি মামা।
হয়ে দুর্দম দিনে দুর্জয়,
মোরা কেটেছি মুণ্ডু শয় শয়,
মোরা রক্তে শোধিয়া সব দাম,
তবে হয়েছি আজিকে নিঃভয়!
মোরা ঝড় তুফানের ঝঞ্ঝট,
করি মৃত্যুর দ্বারে খটখট,
রানী লক্ষ্মীবাঈ বংশেই,
মোরা চরিত্রহীন লম্পট!
মোরা আঁধার রাতের কলহ,
মোরা দুর্বার দুর’-বিসহ;
মোরা নিজ অঙ্গেরই অংশেই,
বহি বিনাশ বানীর আবহ।
তবু রক্তলোভির ওই দল,
জানি আজও বলে মোরা দুর্বল!
ভাবে গৃহহীন মোরা নিঃস্ব,
তাই নাই সঞয় সম্বল!
তবে জানি মোরা নয় একা।
কবে ধ্বংস হয়েছে লেখা,
কবে আসিবে নতুন বিশ্ব,
তর -বারি ধরা হবে শেখা!?
মোরা রক্তেই দেব হাতেখড়ি,
তাই কাস্তে ধরেছি তড়িঘড়ি,
মোরা সাতসাগরের সাতারু,
খাই পলাশির মাঠে গড়াগড়ি।
মোরা খাণ্ডব বনে অর্জুন,
আছে লক্ষ্যভেদের বহু গুন;
কভু ধার ধারি নাক কারু;
করি খালি হাতে মোরা শত খুন।
তাই আবেদন নয়-এ হুঙ্কার,
আজ ছাড়ছি হাজারও কত বার!
মোরা কেড়ে নিয়ে যাব বহুডোর
কেড়ে নিয়ে যাব অ’-লঙ্কার।
তোরা লুকাবি কোথায় আজিকে,
মরা মিথ্যের কবি’-রাজিকে?
শেষকালে দেখি তবু ধরে মোর
সাথে মৃত্যুর ভোজ-বাজি কে!
জানি পত্র পাঠের ঠিক পর,
ফের ডাকবি তোরা স্ব’-য়ম্ভর;
হা হা মূর্খ, বল তোরই ঘরে,
তোর নিলামে ওঠে কি কোনও দর!?
মোরা কাঞন বনে কাশ ফুল,
বহে শিরায় মোদের লাখো ভুল;
তবু বিদ্দ্যান মোরা বহি জ্ঞান
মোরা যত নষ্টের সব মূল।
তাই সম্পত্তির অধিকার,
কেড়ে নেব করে মোরা জোরজার!
মোরা সাগরের মাঝে কুমকুম
হয়ে ফের বয়ে যাব সব ভার!
তবে যে কোনও কারনে যদি হায়,
এই একতা মোদের ভেঙে যায়?
তাই সৃষ্টির লাগি জ্বালি হুম,
আয় একতার গীত ধ্বনি আয়!!