অহম্
অহম্
দিনের শেষে দিন ফুরোলে আঁধার যখন আসে নেমে,
একলা আমি থাকি পড়ে, ঘরের কোনে নেয়ে ঘেমে।
দীপাবলির আবছা আলোয়, সবাই যখন ফূর্তি করে,
আমার মনের ঝর্ণা কলম বিমূর্ত কোনো মূর্তি ধরে।
ভাষাগুলো খেই হারিয়ে হাঁসফাঁসিয়ে শব্দ খোঁজে,
জীবনটাকে দাঁও লাগিয়ে কাব্যতরীর মর্ম বোঝে।
সবাই যখন শীতের রাতে লেপ মুড়িয়ে দেহ ঢাকে,
দু'হাত দিয়ে হাঁটু মুড়ে জ্বালাই বুকের উনুনটাকে।
নিদাঘ কালে তপন যখন দহন দানে আপন মনে,
ঠাণ্ভা ঘরের অন্তরালে খেলে সবাই তপন সনে ।
আমি তখন কলম নিয়ে ঘাম দিয়ে তার জ্বরটি ছাড়াই,
দিব্যলোকের দিব্যাঙ্গনে কবিতা লিখি শব্দ ছড়াই।
ত্রয়োদশীর শেষে যখন চতুর্দশীর নিকষ কালো,
অন্ধকারে বাড়ায় যখন শিবঠাকুরের দিব্য আলো,
বেলগাছের তলায় বসে গেয়ে চলি শিবের গীত,
ধান ভানতে ভাঙা কুলো কাঁদে আমার পরাণ-চিৎ।