ভূবনডাঙায়
ভূবনডাঙায়
বললেই তো যায়না যাওয়া, ভূবনডাঙার মাঠের 'পরে,
বনপলাশের স্নিগ্ধ হাওয়ায় , কোপাই যেথা মুগ্ধ করে,
ধামসা, মাদল, সাঁওতালি গান, বাঁধে আমায় শেকল দিয়ে,
নাচের তালে ঘুঙুর-প্রমাণ নৃত্যশৈলী মন ভাঙিয়ে,
ভূবনডাঙা, কোপাই, খোয়াই, সোনাঝুরির সঙ্গে,
গানের তালে ছন্দ ছোঁয়াই , বঙ্গবাসীর অঙ্গে,
সাঁওতালি কোন সুরে সুরে গুনগুনিয়ে উঠে মন,
রক্তপলাশ জীবন জুড়ে ফাগের আগে সর্বক্ষণ,
অন্ত:পুরে ঘুরে ফিরে তান তুলেছে তানপুরায়,
মনোবীণা আকুল কি রে মাদলিয়ায় ধূলা উড়ায় ।
চল না রে ভাই সাথী হয়ে,ভূবনডাঙার মাঠের ধারে,
কোপাই, খোয়াই, নদী বেয়ে সোনাঝুরির পগার পারে,
ছোলা মুড়ি রঙীন চুড়ি কিনব সোনাঝুরির হাটে,
বনপলাশীর আদর ঝুড়ি সাঁওতালি কোন দড়ির খাটে,
রইব বসে ধামসা গলায় নাচ ময়ূরী ঝুমকা কানে,
হারিয়ে যাব পথের ধূলায় মাতব সাঁওতালি গানে,
লালপলাশের আতর মেখে মহুয়া মদির স্বপ্ন মনে,
পা মেলাব তাদের দেখে, কাজ কি বৃথা ঘুমনয়নে।