হাসি পেলে হাসুন, কিম্বা...১১
হাসি পেলে হাসুন, কিম্বা...১১
★ যা জানেন, বলে ফেলুন! ★
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প অনেকেই নিশ্চয় পড়েছেন। এখানে এই গল্পটি যারা আগে পড়েননি তাদের ভালো লাগার কথা। বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সত্যজিত রায় নাসিরুদ্দিনের অনেকগুলি গল্প নিয়ে একটি বই সংকলন করছিলেন। এতে নিজের হাতে ছবিও এঁকেছিলেন। এগুলো অনেকটা গোপাল ভাঁড়ের হাসির গল্পের মতো বলা যায়। অবশ্য চরিত্রটি পৃথক হওয়ায় গল্পের ধরনে কিছু পার্থক্য আছে। 'মোল্লা' শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো— নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, পরিপূর্ণ জ্ঞানবিশিষ্ট ব্যক্তি, সম্মানিত ব্যক্তি ইত্যাদি।
অনেকদিন হয়ে গেলো এলাকার মানুষের কোনো জ্ঞানের কথা শোনা হচ্ছে না। ভালো জ্ঞানের কথা শুনবে বলে মোল্লা নাসিরুদ্দিনকে আমন্ত্রণের কথা ভাবলো তারা। সবাই দলবেঁধে গেলো মোল্লার কাছে। নাসিরুদ্দিন কথা দিলেন আমন্ত্রণ তিনি রাখবেন। দিনক্ষণ ঠিক করে, একদিন সবাই জড়ো হলো স্থানীয় স্কুলে, নাসিরুদ্দিনের কাছ থেকে জ্ঞানের কথা শুনবে। যথারীতি সময়মতো উপস্থিত হয়ে নাসিরুদ্দিন সকলের উদ্দেশ্যে বললেন,
— 'আজ আমি কী নিয়ে কথা বলবো, তোমরা সবাই কি তা জানো?'
উপস্থিত সবাই এ ওর মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। তারপর সমস্বরে জানালো,
— 'আমরা কিছুই জানি না।'
— 'এই মূর্খের সমাজে আমার থাকা চলে না।'
এই বলে মোল্লা সাহেব সবাইকে ফেলে গটগট করে বাড়ির দিকে চলে গেলেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় লোকেরা অবাক। ঠিক এর পরের সপ্তাহে আবার তাকে একইভাবে ধরে আনা হলো জ্ঞানের কথা শোনার জন্য। সেখানে সেদিন নাসিরুদ্দিন আবার একই প্রশ্ন করলেন,
— 'আজ আমি কী নিয়ে বলতে যাচ্ছি, তোমরা কি তা জানো?' গেল সপ্তাহে লোকগুলো দারুন ঠকা ঠকে গিয়েছে। তাই সবাই একসাথে বলে উঠলো,
— 'হ্যাঁ আমরা জানি।'
— 'সকলে যখন জেনে গেছে আমি কী বলতে চাই, তাহলে আর বলে লাভ কি!'
এই বলে মোল্লা সাহেব আবার একবার গটগট করে বাড়ির দিকে রওনা দিলেন। শ্রোতারা পড়লো মহা চিন্তায়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পরের সপ্তাহে আবার একই উদ্দেশ্যে তাকে ধরে আনা হলো। লোকেরা দেখলো তাদের আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে। আগের দুটো সপ্তাহে মোল্লা তাদের ভালোরকম ঠকিয়েছে। সুতরাং এবার তারা সবাই তৈরি হয়ে সভায় গেলো।
মোল্লা সাহেব আবার ঠিক একই প্রশ্ন রাখলেন,
— 'আজ আমি কোন্ বিষয় নিয়ে কথা বলবো, তোমরা সবাই কি তা জানো?'
গত দুই খেপের ঘটনা থেকে লোকেরা বেশ চালাক হয়ে গেছে। পরিকল্পনা মতো এবার তাদের অর্ধেক লোক বললো,
— 'হ্যাঁ আমরা জানি।’
আর তাদের বাকি অর্ধেক বললো,
—'আমাদের ঠিক জানা নেই। শুনতে চাই।’
কিন্তু মোল্লা সাহেবকে কাবু করা অত সহজ কাজ নয়। এই চালে তাকে মোটেও দমানো গেলো না। গা ঝাড়া দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন,
— 'সমাধান তো দেখছি হয়েই গেলো। এবার তাহলে তোমাদের মধ্য হতে যারা স্বীকার করেছো কথাটা জানো, আমার এই জায়গায় এসে দাঁড়াও এবং যাকিছু জানো তা ওদের বলো। বাকি যারা বলেছো কিছুই জানোনা, তারা এদের কথা মন দিয়ে শোনো এরা কী বলে।'
এই বলে তিনি আবারও গটগট করে নিজ বাড়ি অভিমুখে দ্রুত অগ্রসর হলেন।
সম্ভবত এরপর ঐ লোকগুলো পুনরায় তাকে ঘাঁটাতে সাহস করে নি।
«»«»
জানা যায়, এই নাসিরুদ্দিন ছিলেন একজন উইঘুর তুর্কি। তাকে মোল্লা বা হোজ্জা নামে অনেকেই তাদের লেখায় অভিহিত করে থাকেন। তিনি ছিলেন বেশ বিজ্ঞ মানুষ কিন্তু তার কার্যপ্রনালী ছিলো হাস্যরস উদ্রেককারী। যাইহোক, আজকের বিষয়টি এইভাবে স্থির করলাম। বিষয়টি হলো, অন্যকে জানানো বা নিজে জানা... এইটা নিয়ে।
★★
ঘন ঘন টক-শো বসাতে দড় ও ঝানু একটি টিভি চ্যানেল একবার দু’জন পারদর্শী টক-শোবিদকে বিতর্কের জন্য নিয়ে এলো। যেমন চিন্তাবিদ, ক্রীড়াবিদ, অর্থনীতিবিদ, রসায়নবিদ ইত্যাদি এখানে তেমনি টক-শোবিদ।
তো, যিনি বেশি কথা বলেন এবং বলতে বলতে মুখের লাগাম খুলে ফেলেন এমন সেই টক-শোবিদ প্রথমে বক্তব্য রাখা শুরু করলেন,
— আপনারা তো শুধুমাত্র মুখের হম্বিতম্বি করে রাজনীতি করেন কিন্তু মানুষের পালস কিছু বোঝেন না, আমার দেশের কৃতি সন্তান জীবনানন্দ দাশ কী বলেছিলেন জানেন? ... তিনি বলেছিলেন, “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে—”
— আপনার বক্তব্যের ঝাঁঝ দেখে মনে হচ্ছে, দুধ আর ভাত জিনিসটা শুধু আপনারাই পেটেন্ট নিয়ে বসে আছেন। আর যাকে পাচ্ছেন তার ঝোলায় ভরে দিচ্ছেন! শুনুন মশাই, এই মুহূর্তে টিভিতে অনেকেই আপনার ভাষণ দেখছেন ও শুনছেন। ওটা জীবনানন্দ দাশ হবে না... ওটা লিখেছিলেন কবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র।
— ঠিক আছে ঐ হলো, আমি তো একজন বিখ্যাত বাঙালির নাম উচ্চারণ করেছি, কোনো ইংরেজের নাম তো বলিনি। বাঙালির প্রতিভার কোনো অভাব আছে নাকি! দেখুন না, বিদ্যাসাগরের ন্যায় বাঙালি কি সুন্দর করে সহজপাঠ লিখলেন, পড়লে মন জুড়িয়ে যায়, আহা! ... ছোটরা সবাই সুর করে দুলতে থাকে,
“খিদে পায় খুকি ঞ
শুয়ে কাঁদে কিঁয়ো কিঁয়ো।”
আবার দেখুন...
“ট ঠ ড ঢ করে গোল
কাঁধে নিয়ে ঢাক ঢোল।”
আরো আছে...
— থাক এবার, বুঝেছি। আপনি মারাত্মক তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন কিন্তু, সহজপাঠ যে বিদ্যাসাগর লিখেছিলাম এটা আপনি কোথায় পড়েছেন আমি বুঝলাম না... বিদ্যাসাগর নিজে বেঁচে থাকলে একথা শুনে হেসে ফেলতেন। তিনি লিখেছিলেন বর্ণ পরিচয়। আমরা কিন্তু জানি সহজপাঠ বইটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অবশ্য আপনার জানা আর আমার জানার মধ্যে পার্থক্য থাকতে বাধা নেই। তাহলে এই কি আপনার বাঙালি নিয়ে গর্ব!
— আরে বাবা, ঠিক আছে মানছি... তবে আমাকে আপনি বাঙালিয়ানা শেখাতে আসবেন না! যে বাঙালি শান্তিনিকেতনে জন্মেছিলেন তিনি কিন্তু যে সে বাঙালি নন আর তার পরিচয় আমি আদৌ রাখিনি একথা ভাবলেন কি করে! আমার আপন মামার বাড়ি ঐ শান্তিনিকেতনের একেবারে গায়েই। বলতে পারেন খালের এপার আর ওপার। একটা সাইজ মতো ঢিল নিয়ে মামাবাড়ি থেকে আম বাগানে ছুঁড়ে মারলে শান্তিনিকেতনে যত আমগাছ আছে সেগুলো থেকে সবকটা আম একসাথে লাইন দিয়ে ঝুরঝুর করে পড়ে যাবে। আপনি আমাকে শান্তিনিকেতন চেনাচ্ছেন!
— মহা মুস্কিল! তা হবে কেন। আমি শান্তিনিকেতনের কথা কখন তুললাম, আপনি নিজেই তো শান্তিনিকেতন শান্তিনিকেতন বলে লাফাচ্ছেন। মামাবাড়ি বলেই বোধহয় এমনটা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ব্যাপার হলো, কবিগুরুর জন্ম হয়েছিলো কলকাতার জোড়াসাঁকোয় ঠাকুর পরিবারে। তার জন্মস্থান নিয়ে রবীন্দ্রনাথ নিজে এই বাড়াবাড়ি সহ্য করতেন কিনা ঘোর সন্দেহ।
— বাংলার মাটি সম্পর্কে আমাকে মোটেও বেশি জ্ঞানদান করবেন না। আপনি থাকুন আপনার ক্ষুদ্র বাঙালি রাজনীতি নিয়ে। আমি গর্বিত সমগ্র দেশ নিয়ে, দেশের কথা নিয়ে। দেশের জাতীয় সংগীত ‘জনগনমন’ লিখলেন আরেক বাঙালি বীর বঙ্কিমচন্দ্র। তিনি লিখেছেন, “চিত্ত হলো ভয়শূণ্য উচ্চ হলো শির—”, “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা হেঁটে চলো—”
— বাঃ, কি অদ্ভুত সব কথা বলছেন মশাই! মনে হচ্ছে এই বাংলা থেকে নয় সুদূর দিল্লি থেকে অমৃতবাণীর ফোয়ারা বেরুচ্ছে।... তখন থেকে দেখছি আগডুম বাগডুম তথ্য হাজির করছেন। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো নিখাদ বাঙালি বলে আবেগের আতিশয্যে কথাগুলো বলে ফেলেছেন। কিন্তু এখন তো দেখছি বাংলা সাহিত্যের পিণ্ডিটা শেষে চটকে না দেন। আসলে কি জানেন, বাংলা সাহিত্য, বাংলার ইতিহাস নিয়ে অল্পবিস্তর পড়াশোনার প্রয়োজন হয়। দেশের জাতীয় সংগীত ‘জনগনমন’ আর ভুলভাল যে গানগুলোর উল্লেখ করলেন সেসব রবীন্দ্রনাথই লিখেছেন। কথাগুলো হবে, “চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য উচ্চ যেথা শির” এবং “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে”। তাই আপনাকে বলবো, বাংলাকে ভালো করে জানুন।
— আর আপনি দেখছি জ্ঞানের ধুকড়ি! অনেকদিন আগে ঐ গানগুলো আমি সঞ্চিতা কাব্যগ্রন্থে পড়েছিলাম, তাই একটু কম স্মরণে ছিলো। এটা কি হয়না?
— আপনি আমাকে ধুকড়ি বা ঝুড়ি যাই বলে ডাকুন না কেন, আরও একবার ভুল করে ফেললেন যে! রবীন্দ্রনাথ যে কাব্যগ্রন্থ লিখেছেন তার নাম সঞ্চয়িতা, সঞ্চিতা নয়। সঞ্চিতা কাব্যগ্রন্থ কবি নজরুল ইসলামের লেখা। আর একটা কথা, এই গানগুলো আছে গীতবিতান নামক একটি বইতে।
— দূর মশাই... নিজেকে আপনি সবজান্তা ভাবেন আর আমরা বুঝি এ বাংলার কেউ নই, বানের জলে ভেসে এসেছি! থামুন এবার, মেলা ভকভক করবেন না!
এদের বিতর্ক এই পর্যন্ত তুলে ধরার পর মনে হচ্ছে এই কাল্পনিক টক-শো আর বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। এর অন্যতম কারণ হলো পাঠক পাঠিকাকূলের কাছে বাঙালি আলোচকদের অন্তিম গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে বলে আমার বিশ্বাস। সুতরাং বিতর্ক সভায় এরপর কোন্ কোন্ শব্দের প্রয়োগ হতে পারে তা উল্লেখ না করলেও কিছুটা আন্দাজ আমরা বাঙালিরা করতে পারি। তাই নিজে বাঙালি হয়ে অন্য কোনো বাঙালির ঘাড়ে কুটুস করে কামড়ানোর সাহস আমার নেই বলে ধরে নেবেন।
«»«»
প্রকৃতপক্ষে কোনোকিছু সঠিকভাবে জানার মধ্যে একপ্রকার সৌন্দর্য নিহিত থাকে। ফুটফাট করে আলটপকা বক্তব্যের মধ্যে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়। শুধুমাত্র মুখফটকা কথাবার্তা আর স্টান্টবাজি প্রদর্শন করে না-জানা বা আধা-জানার মধ্যে আটকে থাকায় কোনো কৃতিত্ব নেই বরং ভুল হলে তা তৎক্ষণাৎ স্বীকার করে নেওয়া মানবিক দায়িত্ব। ওটাই একমাত্র সঠিক কাজ। ধামা চাপা দেওয়ার কৌশল বিফলে যায়, তাতে করে অন্যের দৃষ্টিতে খাটো হতে হয়। নিজের ভুল স্বীকারে একপ্রকার ঔদার্য প্রস্ফুটিত হয়। যিনি ভুল ধরিয়ে দেবেন তাকেও বিনয়ী হওয়া দরকার।
★★
হঠাৎ কোনো বিপদ এসে পড়লে মানুষ বিহ্বল হয়ে পড়ে। যেমন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি বা পরিবার পালনকারী কর্তার যদি কিছু হয়ে যায়, তবে গোটা পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এছাড়া অর্থনৈতিক ভাঙন, আক্রোশের শিকার অথবা প্রিয়জন বিয়োগ প্রভৃতি নানারকম বিপদ আসতে পারে। কিছু জেনে রাখা বা না-রাখা তখন যেন সমান হয়ে দাঁড়ায়।
«»«»
তখন রাত আটটা হবে, শহরের একটি সেলুনে একটি অপরিচিত ফোনকল এলো। ওপার থেকে একজন আনুমানিক মধ্যবয়স্ক নারীকন্ঠের চিৎকার ও আবেদন শোনা গেলো,
— হ্যালো, এটা কি ফায়ার স্টেশন? এইমাত্র আমার মেয়ে স্নান সেরে চুলে হিট দিচ্ছিলো কিন্তু শর্ট সার্কিট হয়ে তার চুলে আগুন লেগে গেছে...
— মাফ করবেন, আমার এটা একটা সেলুন! তবে এখনই তার চুলের গোড়া থেকে কেটে ফেলতে হবে, সে কি রাজি হবে? যাই হোক, আমি দ্রুত আসছি _
— কিন্তু ততক্ষণে আগুন যে অন্যত্র ছড়িয়ে যাবে...
— চিন্তা করবেন না, তার আগে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিচ্ছি, আমিও শীঘ্রই পৌঁছে যাবো...
....এখানে আমরা দেখছি ভদ্রমহিলা সঠিক ফোন নম্বর নিজের কাছে রাখেননি। তাছাড়া তিনি জানেন না এই বিপর্যয়ে ঠিক কী করা উচিত। তিনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তবে আশা করবো বর্তমান এই সংকট তিনি কাটিয়ে উঠবেন।
একই ধরনের আরেকটি ঘটনার কথা এখানে বলি। কোনো এক ভদ্রলোক পুলিশ স্টেশনে ফোন করলেন,
— হ্যালো, এটি কি পুলিশ ফাঁড়ি?
— না স্যার, এটা একটা সেলুন, কি ব্যাপার বলুন_
— কিন্তু যে লোকটা এই নম্বর আমাকে দিয়েছে সে যে খুব বিশ্বাসী! আপনারা কি পুলিশ ফাঁড়ি তুলে দিয়ে এখন সেলুনের ব্যবসা করছেন নাকি?
— কি যে বলেন! হয়তো কোথাও ভুল হয়েছে ঐ লোকটির...
— হয়েছে কী, ছোট একটি বছর দশেকের মেয়ে তিন তলার ব্যালকনি থেকে গলে গেছে। কিন্তু অলৌকিকভাবে রেলিঙের একটি খাঁজে তার চুল আটকে গিয়ে ঝুলছে...
— আপনি এক কাজ করুন, খুব দ্রুত দমকল কর্মীদের খবর দিন। সেইসাথে আমিও আসছি...চুল কেটে দিয়ে ওকে নিচে ফেলতে হবে।...
এই কাহিনীর একেবারে শেষের দিকে আমরা চলে এসেছি। এমন অনেক বিষয় আছে যা ঠিক ঠিক জেনে না রাখলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সবাই সবকিছু জানবে তা তো হয়না। না-জানার মধ্যে লজ্জা নেই। তবে জানার ভান করার মধ্যে অবশ্যই অসততা আছে।
এমন না হয়, যেমন করে একটি প্রবাদবাক্য আমাদের দাঁত খিঁচুনি দেয়— “হায়রে হায় আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া” অর্থাৎ বাইরে চাকচিক্য ভরা আর ভিতরে ভিতরে শূণ্যতার বাতাস!
© দেখা হবে পরবর্তী ১২ নং পর্বে। আবার হয়তো একসপ্তাহ পরে।
