বিগ মাউথ কার্টুন
বিগ মাউথ কার্টুন
আমার প্রিয় কার্টুন চরিত্রের নাম শোনেননি এমন খুব কম ব্যক্তিই আপনাদের মাঝে আছেন। তিনি স্বয়ং একটি বর্ণময় চরিত্র আর যথেষ্ট বিতর্কিত বটে। তার মতো কার্টুন সৃষ্টি না হলে রাজনীতি পানসে হয়ে যেতো। যে চরিত্র একইসাথে মুচমুচে খবরের শিরোনাম হতে পারেন আবার হাস্যরস ছড়িয়ে জনতাকে নির্মল বিনোদন যোগাতে পারেন। তার হঠকারিতায় সভা পারিষদ থেকে আরম্ভ করে আপামর জনসাধারণ সদা শঙ্কায় থাকতেন। এমন হঠকারী রাজনৈতিক চরিত্রের ইতিহাস নেই প্রায়।
আমার সবচেয়ে প্রিয় কার্টুন চরিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নাম অন্য একটি কার্টুন চরিত্র বিখ্যাত ‘ডোনাল্ড ডাক’-এর মতো শোনায়। ট্রাম্প হলেন একমেবাদ্বিতীয়ম্।
হিস্টোরিক পার্ট :—
“হোয়াইট হাউসে পা রাখার পর থেকে শুরু করে ক্ষমতার চার বছরে ট্রাম্প মিথ্যার ‘সুনামি’ বইয়ে দেন। ট্রাম্পের মিথ্যার একটা হিসাব ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার ‘ফ্যাক্ট চেক’ থেকে পাওয়া যায়। পত্রিকাটি জানায়, ২০২০ সালের ৯ জুলাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ২০ হাজার মিথ্যার ‘মাইলফলক’ স্পর্শ করেন। আর ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রাম্প ২৯ হাজার ৫০৮টি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর কথা বলেন।
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি দৈনিক মিথ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েন। ২৪ ঘণ্টায় ট্রাম্প পাঁচ শতাধিক মিথ্যা বলেন।” [প্রথম আলো পত্রিকা ২০২১]
“তেলেঙ্গানার জনগাঁওয়ের বাসিন্দা বুসা কৃষ্ণ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঈশ্বরজ্ঞানে পুজো করেন।
বুসা কৃষ্ণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ বড়মাত্রার অনুরাগী। নিজের বাড়ির বাইরে তিনি ট্রাম্পের ৬ ফুটের একটি প্রতিমা বানিয়েছেন এবং রোজ ট্রাম্পপুজোও করেন তিনি।” [NDTV 2020]
“ট্রাম্পের ভাইঝি মেরি ট্রাম্প। কয়েকদিন আগেই মেরি ট্রাম্প "টু মাচ অ্যান্ড নেভার এনাফ: হাউ মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান" বইটি প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনেক বিচিত্র চরিত্রের পর্দাফাঁস করে দিয়েছিলেন।”
“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ভালো চরিত্রের অধিকারী’ নন। তাঁর বিরুদ্ধে অসংখ্য যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে। ‘অনেক বর্ণবাদী মন্তব্য’ও করেছেন তিনি। তা ছাড়া নিজের সম্পদ ও পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি অনেক দিন ধরে মিথ্যাচার করে আসছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে আছেন সাবেক বিচারক জোয়ান গোল্ডফ্রাংক, হেনরি কেনেডি জুনিয়র, ইহুদি ধর্মযাজক জ্যাক মলিন, আরন পোটেক, খ্রিস্টান ধর্মযাজক টিমোথি টি বডি, জেনিফার বাটলার ও চতুর্থ উইলিয়াম লামার।” [উদ্ধৃত করা হয়েছে]
কমিক পার্ট :—
দুই বন্ধুর কথাবার্তা হচ্ছে।
বন্ধু নং ১ : Donald Trump আর flying pig এর মধ্যে পার্থক্য কোথায় বলতে পারবি?
বন্ধু নং ২ : পারবো। শুধু একটিমাত্র F_ ওই F অক্ষর তুলে দিলে দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।
একবার প্লেনে করে চারজন আটলান্টিক মহাসাগর পার হচ্ছিলো। ডোনাল্ড ট্রাম্প, বারাক ওবামা, এক বৃদ্ধ ও এক বালক। মাঝপথে হঠাৎই প্লেনটার ইঞ্জিনে আগুন লাগলো।
চারজন মানুষের জন্য তিনটি প্যারাসুট রয়েছে। এটা ম্যানেজমেন্টের ভুলে হয়ে গেছে। সবার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা প্যারাসুট ছিনিয়ে নিলেন। প্লেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার মুহূর্তে চিৎকার করে বললেন, “আমাকে আগে যেতে হবে, দেশের মানুষ আমাকে প্রেসিডেন্ট দেখতে চায়।”
এরপর ওবামা একটি প্যারাসুট নিয়ে ঝাঁপ দেওয়ার আগে বলে গেলেন, “আমি গেলাম, পৃথিবীকে সাহায্য করার জন্য আমাকে প্রয়োজন।”
এবার সেই বৃদ্ধ বালকটিকে বললেন, “আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি, কয়দিন আর বাঁচবো! বাকি প্যারাসুটটা তুমি নাও এবং নেমে যাও।”
বালকটি উত্তর করলো, “চিন্তা করবেন না। এই দেখুন, দুটো প্যারাসুট এখনও পড়ে রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাড়াহুড়ো করে আমার পিঠব্যাগটা নিয়ে লাফ দিয়েছেন।”
আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ্য করতে পারতেন না। ওবামা যা যা করে গিয়েছেন তিনি করতেন ঠিক তার উল্টো। ওবামা যে জানালায় পর্দা টাঙিয়ে রেখে গেছেন, ট্রাম্প সেই জানালা থেকে পর্দা খুলে রাখতেন। ওবামা যেসব টয়লেট পরিষ্কার রেখে গেছেন, ট্রাম্প করেছেন ঠিক তার বিপরীত। ট্রাম্প যখন শুনেছেন ওবামা আন্ডার ওয়্যার পরে অফিস করেছেন, ট্রাম্পের ইচ্ছা হলো ঠিক এর বিপরীত কী করা যায়!
ট্রাম্পের নিজ উপদেষ্টা জন বোল্টনের সাথে তার খুব ঝামেলা হয়েছিলো। বোল্টন পদত্যাগ করে চলে যান। ট্রাম্পের কাছে তিনি হয়ে যান শত্রু। একবার ট্রাম্পের পেটে খুব যন্ত্রণা শুরু হলো। তিনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার এন্ডোস্কোপি করে বললেন, “আপনার পাকস্থলীর গায়ে একটা lump (পিন্ড) লক্ষ্য করছি যেটা অনেকটা বোল্টনের নাকের মতো দেখাচ্ছে।”
ট্রাম্প শত্রুকে সহ্য করতে পারেন না। তিনি লাফ দিয়ে উঠে বললেন, “ডাক্তার, আমার পাকস্থলী এখনই বাদ দিয়ে দিন।”
ট্রাম্প একবার একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশে সফর করছেন। হঠাৎ ট্রাম্পের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তার দিকে আঙুল বাড়িয়ে "মিকি মাউস" বলে জোরে চিৎকার করে উঠলো। এই ঘটনায় সেখানে লুকিয়ে থাকা এক ঘাতক চমকে যায় এবং সে সেখান থেকে অন্য দিকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর ট্রাম্প তার দেহরক্ষীর দিকে ফিরে বললেন, "ধন্যবাদ নাও, কিন্তু তুমি কেন ‘মিকি মাউস’ বলে চিৎকার করে উঠলে?" দেহরক্ষী উত্তর দিলো, "দুঃখিত স্যার, আমার ভীষণ ভুল হয়ে গেছে। স্যার, আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম Donald...duck" (duck শব্দের একটি বাংলা অর্থ ‘হঠাৎ মাথা নিচু করা)।
||দি এন্ড||