Manasi Ganguli

Tragedy Classics Others

4.4  

Manasi Ganguli

Tragedy Classics Others

ত্যাজ্যপুত্র

ত্যাজ্যপুত্র

7 mins
422



    আজ রবিবার। ঘুম থেকে উঠেই নির্মলবাবু খবরের কাগজের জন্য ছটফট করছেন। রোজই করেন,সকালে কাগজ পড়াটা তাঁর নেশা কিন্তু আজ যেন একটু বেশিরকম ছটফট করছেন। এমন সময় কাগজ দিতে ছেলেটি এলে মিথ্যেই তাকে খানিক বকাবকি করলেন। সে তো অবাক,বলল,"আপনি আজ বেশি সকাল সকাল উঠে পড়েছেন নিশ্চয়ই,ঘড়িটা দেখুন,আমি ঠিক সময়েই এসেছি"। তাইতো,নির্মলবাবু একটু অপ্রস্তুত হয়েও নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন,"যা যা,মেলা বকিস না"। ছেলেটি হেসে চলে যায়।কাগজ নিয়েই উনি ড্রয়িংরুমে সোফায় গিয়ে বসলেন,আর সব পাতা বাদ দিয়ে খবরের কাগজের রবিবার স্পেশাল পাত্র চাই কলাম খুলে বসলেন। প্রতি রবিবার এটা তাঁর রুটিন হয়ে গেছে কিন্তু আজ যেন আগ্রহটা একটু বেশি। রুমি চা নিয়ে এল,"এই নিন বাবা,চা খেতে খেতে কাগজ পড়ুন"। নির্মলবাবু নিবিষ্ট মনে কাগজের দিকে তাকিয়ে,সে কথা তাঁর কানে গেল না। শ্বশুরমশাইয়ের দৃষ্টি অনুসরণ করে রুমির চোখ গেল খোলা কাগজের পাতায়। বিস্ফারিত চোখে কাগজের দিকে তাকিয়ে রুমি ভীষণ অবাক হয়ে গেল,কার জন্য পাত্র,নাকি পাত্রী খুঁজছেন উনি? তেমন বিয়ের উপযুক্ত তো কেউ নেই আমাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে। তাহলে? নিজের জন্য? তাই কি হয়? নিজের উত্তর নিজেই খোঁজে, "না না,এ হতে পারে না"। নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বলে,"বাবা,চা"। নির্মলবাবু একটু হেসে চায়ের কাপটা হাতে নিলেন। রুমি প্রায় দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। সেদিকে চোখ যেতে নির্মলবাবুরও কেমন অস্বাভাবিক লাগল। রুমির মনে হাজার প্রশ্ন কিন্তু এসময় ওর বড় হাঁপাহাঁপি, ভাবারও সময় নেই। তিন্নির দুধ গরম করতে হবে। কমপ্লান দিয়ে গুলে তিন্নিকে ঘুম থেকে উঠিয়ে হাতে ধরিয়ে দিলেই চোখ বোজা অবস্থাতেই এক নিঃশ্বাসে দুধের গ্লাস খালি করে দেয় কিন্তু ঘুমটা ভেঙে গিয়ে বিছানা থেকে নেমে পড়লে ঐ দুধের গ্লাস শেষ করাতে রুমিকে একঘন্টা তিন্নির পিছনে ঘুরতে হয়।


দুধটা খেয়ে তিন্নি আবার একটু শুয়ে পড়ে। তখন রুমি ওর পাশে শুয়ে ওকে আদর করলে তবে ওঠে বিছানা থেকে। তিনবছর বয়স হল তিন্নির,রুমি এবার স্কুলে দেবে ওকে,ঠিক সাড়ে তিনবছর বয়স হবে তখন ওর। তাই ওকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে সর্বদা,অবশ্য নির্মলবাবুর যত্নের কোনো ত্রুটি রাখে না ও। কিন্তু মেয়েকে দুধ খাইয়ে জড়িয়ে নিয়ে শুয়েও আজ ওর শান্তি নেই, " বাবা কি আবার বিয়ে করবেন? আর করলেই বা কি? একজন সঙ্গী তো সবাই চায়,তাই না? কপাল গুণে আমি নাহয় সঙ্গীহীন,তাই বলে সবাই তো না থাকতেই পারেন। এ যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আজকাল ৭৫ বছর বয়সেও লোকে বিয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় আর বাবার তো সবে ৬৩,শক্ত সমর্থ মানুষ। দেখা যাক,কি হয়। সময়ই এর উত্তর দেবে,খামোখা আগডুম বাগডুম ভেবে লাভ নেই।" নিজেকে বোঝাবার চেষ্টা করলেও মন স্থির রাখতে পারছে না ও।


    রুমির বিয়ের আগেই নির্মলবাবুর স্ত্রী মারা যান যদিও রুমি তাঁকে দেখেছে বিয়ের আগেই। চারবছর ভালবাসাবাসির পরই রুমি আর সুমন সাত পাকে বাঁধা পড়েছে। শাশুড়িমাও ওকে দেখে গেছেন কেবল এক সাথে ঘর করা হয়নি। সুমন গান পাগল ছেলে,রুমিকে একটা জলসায় গান গাইতে শুনে মুগ্ধ হয়ে আলাপ করে। সেই আলাপ থেকে পরিচয়,বন্ধুত্ব পার হয়ে প্রেম-ভালোবাসা। ভালোবাসা যখন গাঢ় থেকে গাঢ়তর সুমন রুমিকে তাদের বাড়ি নিয়ে এসে মা-বাবাকে দেখায়। রুমি সুশ্রী,নম্র,ওনাদের অপছন্দের কোনও কারণই থাকে না তাই, আর একমাত্র ছেলে যাকে মন দিয়েছে তাকে নিয়ে খুশি থাকুক এটাই তাদের কাম্য আর কী-ই বা চাইবার থাকতে পারে তাদের।


      এরপর দুই বাড়ির মধ্যে কথাবার্তা হয়ে যায়,কেবল রুমির গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলেই হবে বিয়ে। সুমন অপেক্ষা করতে রাজি নয়,সে বলে বিয়ের পর বাকিটুকু পড়াশোনা করতে। রুমির আপত্তি তেমন না থাকলেও ওর বাবার তাতে আপত্তি। নূন্যতম শিক্ষা সমাপ্ত না করে বিয়ে করায় ওনার মত নেই। এই নিয়ে টালবাহানা চলতে চলতে হঠাৎ করেই সুমনের মা বিনাদেবী বিনা নোটিশে সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন রাতারাতি। অপ্রত্যাশিত এই ধাক্কায় বাবা-ছেলে দুজনেই বিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সব সামলে উঠতে উঠতে রুমির পড়াও সমাপ্ত হল।


      একমাত্র ছেলের বিয়ে নিয়ে বিনাদেবী খুব উত্তেজিত ছিলেন। তিনি রুমিকে দেখার পরই একটু একটু করে বিয়ের বাজার শুরু করে দেন। রুমিকে কি দিয়ে আশীর্বাদ করা হবে, কি গয়না দিয়ে মুখ দেখবেন,চিরাচরিত ধারা অনুযায়ী শাশুড়ি হিসাবে বউমাকে দেবার জন্য লোহা বাঁধানো সবই একটু একটু করে গড়িয়ে ফেলেন। ছেলের বিয়েতে মায়েরও তো কিছু পাওনা হয়,তা তিনি পরে বুঝে নেবেন নির্মলবাবুর কাছে,আগে বউয়ের সব হোক। কেবল নিজের জন্য একটা লালপাড় সাদা কোরিয়াল বেনারসী খোদ বেনারসে বেড়াতে গিয়ে পছন্দ করে কিনে রেখে দেন,পরে বউ বরণ করবেন বলে। থৈ থৈ ভরা সংসার রেখেই তিনি যখন হঠাৎ এমন ভাবে সব ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলেন,চিরকাল তার ছত্রচ্ছায়ায় থাকা বাবা-ছেলে চোখে সর্ষেফুল দেখল। অল্পদিনের মধ্যেই সেই সাজানো সংসার বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ল। রুমি এসে মাঝে মাঝে গুছিয়ে দিয়ে যেত। নির্মলবাবু দেখতেন কত যত্ন করে রুমি তার লক্ষীছাড়া সংসারটায় লক্ষ্মীশ্রী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। ভালোবেসে ফেলেন মেয়েটাকে।


    এরপর আর বেশি দেরি করেননি নির্মল বাবু ওদের চার হাত এক করে দিতে। নিজে সঙ্গে করে রুমিকে নিয়ে গিয়ে তার পছন্দমত সব শাড়ি,প্রসাধনী সামগ্রী কিনে দেন। রুমিকে নির্মলবাবুর নিজের মেয়ের মতই মনে হয়। এরপর আত্মীয় পরিজনেরা এসে বিয়ে উদ্ধার করে দেন। নির্মলবাবু আড়ালে চোখের জল ফেলেন,কত আশা ছিল বিনার কোরিয়াল বেনারসী পরে ছেলের বউবরণ করবেন,মুখ দেখে গলায় সীতাহার পরাবেন,হাতে লোহা বাঁধানো পরাবেন,তা কোথা দিয়ে কি হয়ে গেল সব। তাদের সুখের সংসারে কার যে কুনজর পড়েছিল! বিয়েবাড়ি,চারিদিক যখন আলো ঝলমল নির্মলবাবুর বুকের ভেতর গহন অন্ধকার। চোখের নোনা জলে বুক ভেসে যায়,স্ত্রীর ফুলের মালা,চন্দন দিয়ে সাজানো ছবির সামনে দাঁড়িয়ে। খানিক অঝোরধারায় বৃষ্টির পর সে ঘন কালো মেঘ কেটে পরিষ্কার হলে চোখ মুছে সবার সামনে সহজভাবে এসে হাজির হন তিনি। কর্মব্যস্ততায় ঢাকেন বুকের ক্ষত। একমাত্র ছেলের বিয়ে,কত আনন্দ,কিন্তু একাকী সে আনন্দ তিনি উপভোগ করতে পারছেন না,পাশে বিনা থাকলে তবেই হত পরিপূর্ণ আনন্দ। তবু সবার সামনে খুশির অভিনয় করে বিয়ে দিলেন ছেলের। ওনার বৌদি বংশের বড় বউ,সুমনের বউকে বরণ করে ঘরে তুললেন। আচার-অনুষ্ঠান সব পার করে আত্মীয়-স্বজন যে যার মত চলে গেলে সংসারের পুরো দায়িত্ব তখন রুমির ওপর।


    বিয়ের পর রুমির আর নতুন বউ সেজে থাকার উপায় থাকে না,সে তখন ঐ গৃহের গৃহিনী। বিয়ের আগে থেকেই তার এ বাড়িতে যাতায়াত,তাই হাতে ধরে সংসারের খুঁটিনাটি তাকে চেনাতে হয়নি কাউকে। প্রথম থেকেই পাকা গিন্নীর মত সংসার সামলাচ্ছে সে। বাবা-ছেলের ছন্নছাড়া,লক্ষীছাড়া সংসারে আবার লক্ষ্মীশ্রী ফিরে এল। হাসিখুশি উচ্ছ্বল রুমি খুব সহজেই নির্মলবাবুর মেয়ে হয়ে উঠল। তিনজনে খুব আনন্দেই ছিল তখন,রাতে একসাথে খেতে বসে কত গল্প,সারাদিনে নির্মলবাবুর একাকীত্বের সঙ্গী,সাথে নিত্যনতুন পদ রেঁধে খাওয়ানো। নির্মলবাবু রুমিকে তার গান বন্ধ করতে দেননি, সবই চলছিল ঠিকমত। বছর দুই পরে ঘরে এল নতুন সদস্য, ফুটফুটে এক নাতনী। রুমি স্বভাবতই ব্যস্ত হয়ে পড়ল সেই ছোট্ট পুতুলটাকে নিয়ে,রান্নাঘরের দায়িত্বে এল রাঁধুনি। খুব আনন্দ সবার,বাচ্চাকে দেখে দেখে যেন আর আশ মেটে না। আত্মীয়-বন্ধুদের আনাগোনা ভালোই চলছিল কিন্তু রুমির রান্না খেয়ে অভ্যস্ত বাবা-ছেলের মুখে রোচে না,বাবা হাসিমুখে সব সহ্য করে নেন কিন্তু সুমন এ নিয়ে প্রায়ই রাগারাগি করে। ছোটখাটো ব্যাপারেই দু'জনের কথা কাটাকাটিতে বাড়ির পরিবেশ বদলে যেতে লাগল। সুমন প্রায়ই বাইরে খেয়ে বাড়ি ফেরা শুরু করল,আলাদা ঘরে শোয়া শুরু করল। বাচ্চার জন্য নাকি রাতের ঘুমে তার বিঘ্ন হচ্ছিল তাই। রুমি অনুভব করতে লাগল সুমন শুধু ঘরই আলাদা করেনি,ক্রমে যেন তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। রাত করে বাড়ি ফেরে,খেয়ে তো আসেই, কোনোরকমে ফ্রেশ হয়েই গিয়ে শুয়ে পড়ে,মেয়েটাকে একটু দেখতেও যেন তার ইচ্ছা করে না। নির্মলবাবুরও রুমি ও বাচ্চার প্রতি সুমনের এই ঔদাসীন্য নজর এড়ায় না। কিন্তু কী করবেন, কি বলবেন,একটু দিশেহারা হয়ে পড়েন। যদি বিনাদেবী থাকতেন তার সঙ্গে আলোচনা করা যেত এসব কথা আর কার সঙ্গেই বা আলোচনা করবেন না হলে। মাঝেমধ্যে সুমন বাড়ি ফিরলে তার গা থেকে মদের গন্ধ পেয়েছে রুমি,নির্মলবাবু দু'জনেই। সবাই চুপচাপ,এ নিয়ে কেউই কাউকে কিছু বলে না। রুমি এখন ঘরবন্দী বাচ্চা নিয়ে,গান এখন বন্ধ,বাচ্চা নিয়েই সময় কাটে তার। প্রতিটা মুহূর্ত ছোট্ট ছোট্ট হাত-পা নাড়া দেখেই সে মুগ্ধ,তবু দুঃখ হয় তার সুমনের জন্য। নিজের সন্তানের এই তিলতিল করে বেড়ে ওঠা সে দেখতে পাচ্ছে না বলে। নির্মলবাবুও নাতনির হাত-পা ছোঁড়া দেখে আনন্দ পান আর মনে কষ্ট পান ছেলের জন্য। বাইরে বেরোলে,দোকানে বাজারে যাতায়াতে কানাঘুষোয় কিছু উড়ো কথা কানে আসে,প্রথম প্রথম আমল দিতেন না কিন্তু কয়েকদিন ধরে সুমনের ফোনে কোনো মহিলার ফোন আসা শুরু হলে এই নিয়ে রুমির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। দু'জনে কথা বন্ধ। কিছুদিন এভাবে চলার পর একদিন সুমন অফিস ট্যুরে যাচ্ছি বলে আর বাড়ি ফেরে না। নির্মলবাবু নিজে অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সুমন বদলি নিয়ে চলে গেছে কোম্পানির অন্য রাজ্যের অফিসে।


ফোনেও যোগাযোগ করা যায় না তার সঙ্গে, সিম বদল করে নিয়েছে সে। আরো জানতে পারেন অফিসেরই একটি মেয়ের সঙ্গে কিছুদিন যাবৎ তার ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল সে মেয়েটিও একই জায়গায় বদলি হয়েছে।


     পরে বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে জানতে পারেন নির্মলবাবু সুমন সেই মেয়েটিকে বিয়ে করে একত্রে রয়েছে দু'জনে। রুমির কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে কুণ্ঠা বোধ হয় তাঁর আর নিজের ছেলের এরকম কুকর্মে মরমে মরে থাকেন তিনি। রুমির প্রতি তাঁর স্নেহ,ভালোবাসা আরো প্রগাঢ় হয়। এমতাবস্থায়ও রুমি তাঁকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যায়নি,তাঁর কাছে তাঁর মেয়ে হয়েই রয়েছে। নির্মলবাবু মনস্থির করে ফেলেন। অমন কুলাঙ্গার ছেলেকে তিনি ত্যজ্যপুত্র করে দেন আর তাঁর বাড়িঘর, টাকা-পয়সা সমস্ত সম্পত্তি তিনি রুমির নামে করে দেন। কিন্তু ক'দিন থেকে তাঁকে এক ভাবনা আচ্ছন্ন করেছে। এই অল্পবয়সী কচি বউটা তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে একা একা বড় করবে কেমন করে যদি তাঁর কিছু হয়ে যায়? তাই এই কন্যাসমা মেয়েটির একটি ব্যবস্থা না করে তাঁর শান্তি নেই। তিনি মনস্থির করেন রুমির আবার বিয়ে দেবেন,যদি কোনো উদার মানসিকতার পুরুষ তাকে তার শিশুকন্যাসহ গ্রহণ করতে রাজি থাকে তার সঙ্গে। তাতে সে যদি তার বাড়িতে তার ছেলের মত থাকতে চায় তা আরো ভাল রুমির নিরাপত্তার দিক থেকে।


আর তাই সেইদিন থেকে খবরের কাগজের পাত্রী চাই কলামের বিজ্ঞাপনে এমন পাত্রের অনুসন্ধান করে চলেছেন তিনি। তেমন মনের মত পাত্র না পেয়ে অনেক ভেবেচিন্তে তিনি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন পাত্র চাই কলামে,রুমির বিবরণ দিয়ে,যদিও রুমি এর বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানে না। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস তিনি রুমিকে ঠিক রাজি করাতে পারবেন। এ তাঁর দায়িত্ব। তাঁর ছেলে যে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে সে দায়িত্ব তিনি এভাবে পূরণ করবেন। আর তাই আজ রবিবারের কাগজে ওনার দেওয়া সেই বিজ্ঞাপনটি বেরিয়েছে যার জন্য সকাল থেকেই তিনি কাগজের জন্য ছটফট করছিলেন। কাগজ হাতে পেয়েই তিনি খুলে বসেছেন পাত্র চাই কলাম,ঠিকঠাক বেরোল কিনা বিজ্ঞাপনটা। নিজের ফোন নাম্বার দিয়েছেন তিনি সেখানে,আর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ফোনের,যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি তাঁর এই কন্যাটিকে মর্যাদার সঙ্গে গ্রহণ করে।

   


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy