Sharmistha Mukherjee

Tragedy Others

4  

Sharmistha Mukherjee

Tragedy Others

শ্যামাঙ্গিনীর আখ্যান 💔 পর্ব ৬

শ্যামাঙ্গিনীর আখ্যান 💔 পর্ব ৬

4 mins
436



অন্যদিকে মিঃ জোতানিয়া গুজরাট গেছেন এক সপ্তাহের জন্য কিন্তু প্রত্যহ ফোন করে ওনার প্রিয় এলিসার খবর নিতে

 ভোলেন না । তিনি একদিন ফোনে শ্যামাকে বলেন , " এলিসা এক আচ্ছি খবর হ্যায়। "


শ্যামা : ( ঠাট্টার সুরে ) " আচ্ছা ! কৌনসা আচ্ছি খবর , ক্যায়া আপ শাদি কর রহে হ্যায় ? " 


মিঃ জোতানিয়া : ( হো হো করে হেসে ) 

" ম্যায় অউর শাদি ? তুমহারি ডিমাগতো ঠিক হ্যায় না ? আরে মেরা বাইডি ( পত্নঈ ) তো তুম হো এলিসা ডার্লিং । "


শ্যামা : ( একটু ছলনার হাসি হেসে )

 " আচ্ছা, আচ্ছা ঠিক হ্যায় জনাব , হুঁ সামাঝেয়ো । অব বাতাইয়ে good news ক্যায়া হ্যায় ? "


মিঃ জোতানিয়া : ( আনন্দে উত্তেজিত হয়ে ) " মারা জিগনেশকা শাদি ত্যায় হো গ্যায়া হ্যায় । "


শ্যামা : ( অবাক স্বরে ) " জিগনেশ ? ইয়ে কৌন হ্যায় ? "


মিঃ জোতানিয়া : " আরে ! ক্যায়া এলিসা , তুম ভি না... জিগনেশ মারা বেটা । একহি তো বেটা হ্যায় মারা , উসকা শাদি ত্যায় হো গ্যায়া হ্যায় । আজসে দো মাহিনে বাদ শাদি হ্যায় । শাদি কা সারা শপিং ম্যায় অউর তুম মিল কর কলকাত্তাসে করেঙ্গে, ঠিক হ্যায় ? "


শ্যামা : ( একটু হেসে ) " বিলকুল বিলকুল, লেকিন আপ কলকাত্তা কব আ রহে হ্যায় ? "


মিঃ জোতানিয়া : ( একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে ) " হুম , অউর দো - চারদিন লগ যায়েগা আনেমে । তুম আপনা খ্যায়াল রাখ্ না । " 


এই বলে ফোন কেটে দেন মিঃ জোতানিয়া ।

আরো দুই - চারদিনের জন্য যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো শ্যামা তাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ঠিক করলো রমাদি আর সোনালীকে নিয়ে শপিংয়ে যাবে । 


যা ভাবা তাই কাজ , প্ল্যান অনুযায়ী যথারীতি রমাদি আর সোনালীকে নিয়ে প্রচুর শপিং করে শ্যামা । মায়ের জন্য, ছেলের জন্য , রমাদি আর সোনালীর জন্য অনেক কিছু কেনে কিন্তু নিজের জন্য কিছুই কেনে না । রমাদি ও সোনালীর অনেক জোড়াজুড়ি করার দরুন নিজের জন্য একটা মখমলের নাইট গাউন কেনে শুধু । মিঃ জোতানিয়া না থাকাতে সেই কয়েকদিন অনেক আনন্দে হৈ-চৈ করে কাটায় শ্যামা , রমাদি আর সোনালী ।


প্রায় বারো দিন পর কলকাতায় শ্যামার ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন মিঃ জোতানিয়া । আবার সেই নিয়মমাফিক চলে শ্যামাভোগ ।

শরীরের বিভিন্ন অংশে জমাট বাঁধা নীল ছোপ নাকি love bites , সারা শরীর জুড়ে নাকি ' প্যায়ার কা নিশানি ' ছড়িয়ে দেন মিঃ জোতানিয়া । পরের দিন শ্যামা শরীরের নীল ছোপ নিয়ে মিঃ জোতানিয়াকে কিছু বললে উনি ঐ কথাই বলেন । শ্যামার গলায় - ঘাড়ে - বুকে - পিঠে - ঊরুতে জমাট বাঁধা নীল ছোপ দেখে প্রত্যেকবারই শিউরে ওঠে রমাদি, অনেক গালমন্দ করে মিঃ জোতানিয়াকে কিন্তু ওদের কারোও কিছুই করার উপায় নেই তাই বোবা সেজে থাকতে হয় । মিঃ জোতানিয়ার সাথে ওদের সম্পর্ক কেমন যেন জীবনবিজ্ঞান বইতে পড়া সেই খাদ্যশৃঙ্খলের মতো , একে অপরের উপর নির্ভরশীল । যেমন -

 

 ১ / মিঃ জোতানিয়ার উপর নির্ভরশীল শ্যামা ।


২ / শ্যামার উপর নির্ভরশীল রমাদি আর সোনালী ।


৩ / রমাদি ও সোনালীর উপর নির্ভরশীল অটোচালক


এই শৃঙ্খলের বাঁধন ভাঙার সাধ্য

ওদের নেই । তবুও মিঃ জোতানিয়াকে ওনার পিছনে মারাত্মক গালমন্দ - শাপশাপান্তর করতে পিছপা হয় না শ্যামার প্রিয় রমাদি ।



যাইহোক পূর্ব কথামতো শ্যামাকে সাথে নিয়ে ছেলের বিয়ের সব কেনাকাটা করেন মিঃ জোতানিয়া তার সাথে শ্যামা ও শ্যামার ছেলে নব্যাংশের জন্যেও কেনেন নানারকম

 গিফট । এই কেনাকাটা ও অন্যান্য জরুরি কাজ সারতে সারতে কেটে যায় এক মাস । 


জিগনেশের বিয়ের আর মাত্র এক মাস বাকি তাই কলকাতার পাট চুকিয়ে প্রায় মাস দুয়েকের মতো গুজরাটে থাকবেন মিঃ জোতানিয়া তাই আগে থেকেই শ্যামাকে জানিয়ে রেখেছেন । ফ্লাইটয়ের টিকিট কাটা থেকে শুরু করে সমস্ত প্যাকিং সবটাই আগে থেকেই করে রাখে শ্যামা যাতে মিঃ জোতানিয়ার কোনো সমস্যা না হয় । বিয়ের সপ্তাহ দুয়েক আগেই চলে যাবেন তিনি । 


বিয়ের ঠিক সপ্তাহ তিনেক আগে হঠাৎ করেই রাত একটা নাগাদ শ্যামার বেডরুমে সশব্দে বেজে ওঠে মিঃ জোতানিয়ার মোবাইল । মিঃ জোতানিয়া তখন ব্যস্ত শ্যামাভোগে তাই খুব বিরক্ত হয়েই ফোনটা রিসিভ করেন ।


মিঃ জোতানিয়া : ( বিরক্তির সুরে ) " কৌন হ্যায় ইতনে রাতকো ? "


অপরদিক থেকে ভেসে আসে মিঃ জোতানিয়ার ছেলে জিগনেশের উৎকণ্ঠিত কন্ঠস্বর ।


জিগনেশ : ( উৎকণ্ঠিত স্বরে ) " পাপ্পা, হুঁ জিগনেশ ছু , পাপ্পা । "


মিঃ জোতানিয়া : " বোল বেটা ক্যায়া হুয়া, ইতনে রাতকো কিউ ফোন কিয়া ? Is everything ok ? "


জিগনেশ কোনো উত্তর না দিয়ে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করে ।




   ******** To Be Continued 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy