শুভারম্ভ
শুভারম্ভ


প্রিয় ডায়েরি,
বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে আজ পরিবেশ খুব ভারাক্রান্ত হয়ে আছে,তার সঙ্গে ভারাক্রান্ত আমাদের মন। বাঙালি কে বৈশাখ যা শেখায় তা হলো,সংগ্ৰাম করার সংকল্প। বাংলা সংস্কৃতির ওপর কালো থাবা বিস্তার করতে, তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পাকিস্তান সরকারের এই অন্যায় আচরণের জবাব দিতে, "ছায়ানট"১৯৬৫ সালের ১৪ই এপ্রিল (১লা বৈশাখ, বাংলা ১৩৭২ সন) রমনার বটমূলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের,"এসো হে বৈশাখ এসো এসো" গানটির মধ্যে দিয়ে সর্ব প্রথম যাত্রা শুরু করে। বস্তুত এই দিনটি থেকেই "পয়লা বৈশাখ" বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম এক পরিচায়ক রূপ ধারণ করে।১৯৭২ সালে(বাংলা ১৩৭৯ সাল) "পয়লা বৈশাখ" বা "পহেলা বৈশাখ" জাতীয় পার্বন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
ইতিহাস অনুযায়ী বাংলা নববর্ষের গোড়াপত্তন হয়েছিল যার হাত ধরে, তিনি মুসলিম বিশ্বে একজন নামকরা উদারপন্থী শাসক হিসাবে আজও পরিচিত। তিনি হচ্ছেন জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর। আমাদের দেশে প্রচলিত বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন মূলত ইসলামি হিজরি সনের ই একটি রূপ।আগে বৈশাখের অনুষ্ঠানের চেয়ে চৈত্র সংক্রান্তির অনুষ্ঠান ছিল বেশি আকর্ষণীয়।এর রেশ ধরেই বৈশাখের পদার্পণ ঘটেছিল। মোঘল সময় থেকেই পয়লা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠান হতো। প্রজারা চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে দিতো। আর পয়লা বৈশাখে জমিদাররা প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন, আনন্দ উৎসব হতো। এছাড়া বাংলায় ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা পয়লা বৈশাখে "হালখাতা" করতেন। যা এখনও প্রচলিত আছে।
দুর্যোগের কালো মেঘ কেটে, নতুন বছরের সূর্য সবার জীবন আলোকিত করুক, সবার জীবনে সুসময় নিয়ে আসুক এই কামনায় শেষ করছি।