পুরোনো বাড়ি
পুরোনো বাড়ি
একটা বাড়ি খুঁজছিলো বিশ্বজিৎ দা ছবি তৈরি করবার জন্য। গিয়ে দেখলাম প্লাসটার খসা দাঁত গুলো বেড় করা বাড়িটা একটা গল্প বলতে চাইছে। একটা বাড়ি মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন। কিন্তু অট্টালিকা তো অভিজাত্য বৈভব এর প্রমাণ। তাকে ত্যাগ করে যাওয়া মানে , পিছনে কোন গল্প থাকবে সাভাবিক।
খোঁজ খবর নিয়ে জানলাম।নিত্যানন্দ মাষ্টার শিবরামপুর হাই স্কুলের শিক্ষক। বংশ পরম্পরায় তিনি গ্রামের যে বাড়ীটিতে স্ত্রী’কে নিয়ে থাকেন সেটি একটি পুরোন অট্টালিকা। সময় সাথে ওদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। তাই শেষ এর দিকে চাকর বাকর রাখার ক্ষমতা ছিলোনা ওদের । শরিকরা শহরে গেছে উন্নত জীবনের লক্ষ্যে। নিত্যানন্দ বাবা রয়ে গেছিলেন বংশ ভিটা আগলে।
এই বাড়িতে পারমিতা এই বাড়িতে একা থাকতে ভয় পেত। সে মনে করত এই বাড়িতে ভূত প্রেত আছে। যারা ওর সাথে কিছু কথা বলতে চায় বারবার।এরই মধ্যে ভুতুড়ে পরিবেশগত কারণেই হঠাৎ পারমিতার পরে গিয়ে পা ভেঙেছে। এবং সে
সম্ভাব্য সন্তান হারিয়ে শোকে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লো।
নিত্যানন্দ তাকে ডাক্তারও দেখায় কিন্তু প্রতিবেশী মাসীর পরামর্শে চিকিৎসার জন্য এক তান্ত্রিক আনা হয়। যার ভূল চিকিতসায় অবশেষে পারমিতা’র মৃত্যু হয়।
এদিকে এই গল্পটা আমার আগেই শোনা আর সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আজকের এই আধুনিকায়নের যুগে এসে এখনও যে আমাদের মা, মাসিরা সামাজিক কু-সংস্কারে আচ্ছন্ন, যার প্রভাবে আমাদের জীবন, সংসার সব কিছু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে সেইনিয়ে পারমিতা’র গল্প টেলিফিল্মটির নির্মাণ করবে বিশ্বজিৎ দা এটা আমি জানি। বিশ্বজিৎ দা বললো আমদের কাজ রোজ টা একটু দেরি হবে নিত্যানন্দ বাবু যে গল্প বলেছেন সেটা অসম্পূর্ণ। পারমিতার থেকে শুনবো আসল গল্পটা। নিত্যানন্দ বাবু পারমিতাকে হত্যা করেছিলেন তান্ত্রিক এর ষড়যন্ত্রে। করে ভুল বুঝতে পেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। পারমিতা আজো একা আছে এই পুরনো অট্টালিকায়। শুধু আজ সে কোন কিছুকে ভয় করে না।,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
