প্রিয় কৈশোর
প্রিয় কৈশোর
_______________________________
প্রিয় কৈশোর
তোর স্মৃতি আজও রঙিন হয়ে আছে আমার স্মৃতিপটে। সেই উদ্যাম, চঞ্চল, দুরন্ত, প্রানবন্ত, প্রানচ্ছল যাই বলি না.... কেন তোকে, তাই কম হবে!!! তুই.... সত্যি দুর্নিবার, অসীম তোর ব্যাপ্তি। হাজার হাজার সুখ স্মৃতির ভীরে আজও তুই ছড়িয়ে আছিস। সময়ের তালে তোর উজ্জ্বলতা কমেনি, রঙ হয়নি বিবর্ন, ফ্যাকাসে বরং রোজ রোজ নব উদ্যমে সেই স্মৃতি হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল, মনকে করেছে আনন্দে পুলকিত। মন বারবার ফিরে যেতে যায় ফেলে আসা সেই তোর কৈশোরের বাঁকে। এত স্মৃতির ভীরে আজও তোর মাঝেই সুখ খুঁজে ফেরে।
নির্জন দুপুরে গাছ থেকে আম, পেয়ারা,কুল চুরি করে খাওয়া বা.... বৃষ্টি ভেজা বিকেলে কাদা জলে দাপাদাপি, বা.... কখনও কাগজের নৌকা ভাসানো বন্ধুদের সাথে মিলে। সন্ধ্যা বেলায় বুক ভরে ধূনোর গন্ধ নিয়ে জোরে জোরে সুর করে ছড়া পাঠ। আর রাত্রি বেলায় দাদু-ঠাম্মার সাথে রাজপুত্রর গল্প শুনে কল্পনার জগতে হারিয়ে যাওয়া। সত্যি জীবনটা তখন খুশির চাদরে ছিল মোড়া। কোথাও ছিলনা কোন রকম মানসিক চাপ, সংসারের কঠিন যাঁতাকল, দায়িত্ব, কর্তব্য, অভিযোগ, মান, অভিমান, আবেগ, কান্না। পাখি না.... হয়েও কৈশোর মন ছিল পাখির মত মুক্ত, কিছুতেই করা যেতনা তাকে খাঁচায় বন্দী। চারিদিকে ছিল তার অবাধ বিচরণ। তাইতো মন বারবার ফিরে যেতে চায় তোর কাছে। কেন যে.... তুই এত তাড়াতাড়ি চলে গেলি জীবনের অধ্যায় থেকে। কিন্তু যে... দিন একবার চলে যায় তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না...!!! তাই কৈশোর তোর স্মৃতিকে মনের মাঝে বহন করে এগিয়ে চলেছি জীবন পথের বাকি অধ্যায় গুলো সাজাতে। জীবন খাতার সাদা পাতা উজ্জ্বল আলোয় ভর্তি করতে। কিন্তু হাজার উজ্জ্বলতার ভীরে তুই সবসময় হয়ে থাকবি ধ্রুবতারা, যার উজ্জ্বলতা শ্রেষ্ঠ। ভালো থাকিস কৈশোর। আর এইভাবেই ভরিয়ে তুলিস মনকে আনন্দে তোর ফেলা আসা অনুভূতির চাদরে মুড়িয়ে।
ইতি........বার্ধক্য