Rima Goswami

Tragedy Crime

3  

Rima Goswami

Tragedy Crime

পাপের ভাগীদার

পাপের ভাগীদার

4 mins
231


প্লিজ রমিত ছেড়ে দে আমাকে প্লিজ আমি আর পারছি না.... উফ আমাকে মুক্তি দে... আরেকটু সোনা... মুনি আর একটু ওয়েট কর প্লিজ.... আহ আহ.... পর্ন মুভি দেখতে দেখতে রমিত মুনি কে উপভোগ করছিলো..... হট করে বেল বেজে ওঠায় বাধ্য হয়ে তখন কার মত সব কিছু বন্ধ করে দরজা খুলে দিল রমিত..... সামনে মা দাড়িয়ে আছে.... কমলা রায় কলকাতার একটি নামী স্কুল শিক্ষিকা.... কি হল রমিত এত দেরি করে দরজা খোলা হল কেন? মুনি কই...? মুনি ততক্ষণে সামনে এসে হাজির হয়েছে.... কি হলো মুনি কিছু হয়েছে? কাঁপছে কেন ও রমিত? রমিত কমলা র এক মাত্র ছেলে উনিশ বছরের হল.... আর মুনি কমলার মামা র মেয়ে মানে রমিত এর মাসি.... মামা মামী র অভাবের সংসারে মুনির পড়া হচ্ছিল না বলে কমলা ওকে কলকাতা থেকে পড়াশোনা করিয়ে দিচ্ছেন.... মুনির ষোল বছর বয়স.... কমলার বাড়ির কাজ ও কিছু করে দেয় ও

সরল মনে কমলা রমিত কে বিশ্বাস করে ভাবে বয়সে ছোট হলেও মুনি কে রমিত মাসি বলে মানে ও ভালোবাসে.... কিন্ত এই কলি যুগের শেষে এসে মানুষের মধ্যে সম্মান ভালবাসা সমর্পণ কিছু নেই আছে শুধু কাম ক্রোধ আর লোভ


স্কুলের মধ্যে আদর্শ বিলি করা শিক্ষিকা কমলা নিজের বাড়ির মধ্যে হওয়া অপকর্ম র বিষয়ে অবগত নন..... মুনি ভয় পেয়ে চুপ থাকে.... রমিত বলে... যে মুনি বাথরুম থেকে বের হতে গিয়ে পড়ে গেছে.... কমলা তাড়াতাড়ি মুনি কে জড়িয়ে ধরে রুমে নিয়ে গিয়ে শুয়ে দেয়.... কিছুক্ষন আগে পাওয়া ব্যথা যন্ত্রণা তে ও গুটিয়ে যায়.... কিন্ত দিদি র ছেলের অপকর্মের বিষয়ে কিছু বলতে পারে না... ভাবে যদি আবার ওকে ফিরে যেতে হয় মা বাবার কাছে... যদি দিদি ভুল বোঝে... চুপ থাকা টাই ঠিক মনে হয় ওর..... রাত দুটোর সময়ে মা এর ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে রমিত আবার আসে মুনির ঘরে.... সকালে র রাগ টা ওর মাথায় উঠে এসেছে.... চরম সীমা অতিক্রম করার সময়েই মা হাজির হল.... তাই মা এর খাবারে ঘুমের ওষুধ দিয়ে মা কে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে ও এসেছে মুনির কাছে.... বন্ধুর কাছ থেকে একটা কুকুরের পাট্টা এনে ঘুমন্ত মুনির গলায় পড়িয়ে দেয় ও.... ভয়ে এক ঝটকা তে ঘুম ভেঙে যায় মুনির..... গলায় লাগানো পাট্টা টা টেনে মাটিতে ফেলে দেয় মুনি কে রমিত..... গায়ে সুতো পর্যন্ত রাখে না ওর তার পর দরজা খুলে ওর আরো চার বন্ধু কে ডেকে নিয়ে আসে... ওদের আগেই ফোনে যোগাযোগ করে বলে রেখেছিলো রমিত... সবাই মিলে ঘিরে ধরে মুনি কে ও চিৎকার করতে থাকে কিন্তু কমলা ঘুমের ওষুধের কারণে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন..... রমিত হিস হিস করে বলে ওঠে.... আমি একা ভোগ করছিলাম তো তোর ভালো লাগছিল না.... তাই আজ আমার আরো চার বন্ধু কে নিয়ে তোকে ছিড়ে খাব..... সবাই মিলে ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে.... এক জন গলায় পড়ানো কুকুরের পাট্টা টা টেনে ধরে একজন ওর বুকে নখ বসাতে থাকে.... একজন ওর ঠোঁট টা দাঁতে করে চেপে ধরে.... বাকি দুজন ওকে রেপ করতে শুরু করে দেয়.... এই ভাবে এক এক করে সাড়া রাত সবাই ওকে পশুর মত অত্যাচার করে ভোর বেলা অবধি.... মুনি র মৃত্যুর পরেও ওরা আর এক দফা ওর সাথে ধর্ষণ করে..... তার পর ওর লাশ টা একটা ব্যাগ এ করে নিয়ে গিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে আসে......

সকাল বেলায় ঘুম ভেঙ্গে কমলা মুনি কে খুঁজে না পেয়ে চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়.... রমিত সারা রাত পাশবিক অত্যাচার করে মুনি কে মেরে ওর লাশ গায়েব করে শান্তি তে ঘুম দিচ্ছিল.......

রমিত কে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠেনো নেক্সট টু impossible জেনেও কমলা ওকে ডাকতে শুরু করলো... রমিত খুব ভালো ভাবেই জানতো মা ওকে কি জন্য ডাকছে তাই ও ঘুমানোর ভান করে পড়ে রইল..... বেলা বেড়ে যায় কিন্তু মুনি ফিরছে না দেখে কমলা চিন্তা করে.... রমিত ঘুম থেকে উঠতে ই কমলা ওকে মুনির মিসিং এর ব্যাপারে বলে.... মনে হাসি চেপে রেখে রমিত গল্প ফাঁদে এই যে কিছু দিন ধরেই মুনি কারোর সাথে লুকিয়ে দেখা করে এবং কাল ও বাথরুমে গিয়ে ফোনে কারো সাথে যোগাযোগ করছিল.... আর রমিত সেটা শুনে নেওয়া মুনি হরবরি তে বাথরুমে পড়ে যায়..... ও নিশ্চয় ওর নতুন প্রেমিক এর সাথে পালিয়েছে... কমলা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে..... ও ভাবতে থাকে যে মামা কে কি জবাব দেবে.... রমিত কে কমলা বলে যে রমিত সব জেনেও কেন কমলা কে কিছু বলে নি.... রমিত কান্না কান্না মুখে বলে মুনি র প্রেমিক ওকে কাউকে কিছু না বলার ধমক দিয়ে ছিলো.... কমলা ছেলে কে বিশ্বাস করে নেয়.... মামা কে ফোন করে সব কিছু বলে..... মামা ও সব বিশ্বাস করে নেয় আর মেয়ে কে দোষী সাব্যস্ত করে..... চুপ করে যায়...

এই ভাবেই গরীব মা বাবা মেয়ের দায় থেকে অব্যাহতি পায়....

আর কমলার মত অন্ধ মা এ রা ছেলের ওপর অন্ধ বিশ্বাস করে প্রতি মুহুর্তে পাপের ভাগী হয় l



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy