Amitav Ganguly

Horror Others

4.0  

Amitav Ganguly

Horror Others

মৃতরাও কথা বলে

মৃতরাও কথা বলে

8 mins
367



সে দিন সকালে, Pennsylvania তে একটা শহরে, চার্লি হায়দেন, বয়স 19 বছর, ওর বাবার নির্দেশ অনুসারে ব্যাঙ্ক থেকে একটা বড় অঙ্কের নগদ {ডলার} তুলে কলেজ এলো। নিজের সেফ লকার এ সেই নগদ একটা বাগ এর মধ্যে সামলে রেখে ক্লাস করতে গেল।


ক্লাস এ বসে বুঝতে পারলো একটা দরকারী স্টাডি নোট আনতে ভুলে গেছে। এছাড়া ওর খেয়াল হল, সে বাড়ি থেকে নিজের মোবাইল আনতে ভুলে গেছে।   

শেষ দুপুরে, কলেজ শেষ করে, যখন চার্লি বাইরে এল তখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, মনে হচ্ছে সন্ধ্যার আলো নেবে এসেছে এবং বৃষ্টি আসন্ন। আকাশের দিকে তাকিয়ে একটূ বিরক্ত হল। অনেক লম্বা ড্রাইভ করে ওকে বাড়ি ফিরতে হবে। পথে পাহাড়ী রাস্তা, বিপজ্জনক, ও গাড়ি ছিনতাই এর খবর মাঝে মাঝেই আসে; এছাড়া ক্রিমিনাল রা ঘোরে এবং অনেকবার ডাকাতি হয়ে থাকে।


ওর বাবা, স্টিফেন হায়দেন, বিশেষভাবে সেদিন সকালে বলেছিলেন, দিনের আলো থাকতে থাকতে, তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে। এমন কি, সাধারণ দিন এর জন্যেও বাবা বলতেন যেন কোনভাবেই চার্লি রাতের অন্ধকারে এ রাস্তায়ে না ফেরে, তার চেয়ে ভাল কোনও বন্ধুর বাড়িতে থেকে যায়ে। খুব বিপজ্জনক পরিবেশ!


সেদিন সেটা করা সম্ভব ছিল না। প্রথমত চার্লির কাছে প্রচুর ডলার ছিল যেটা বাবার রাতে দরকার ছিল, তাছাড়া ওর তিন অন্তরঙ্গ বন্ধু শহরের বাইরে গিয়েছিলো। কোথায়ে থাকতো?  


একটু চিন্তা করে চার্লি ঠিক করল শীঘ্র রওনা হলে বৃষ্টি ও ঝড় আসার আগে বাড়ি পৌঁছানো সম্ভব। সবসময়ে রাস্তা এ বিপদ কেন হবে? এটা কিন্তু সত্য ছিল যে চার্লি, সেদিন, খূব একটা উদ্বিগ্ন হয়েনি। সে ভাবতো বাবার বেশি চিন্তা করেন, ঝুঁকি নিতে চান না।

এই সিদ্ধান্ত মাথায় রেখে, এরপর ভেতরে গিয়ে চার্লি লকার থেকে নগদ ডলার ভরা ব্যাগ তুলে নিয়ে, কলেজ এর পার্কিং এ গিয়ে নিজের দামী ফোর্ড গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে এল। প্রথমবার সে নতুন গাড়িটি কলেজে এনেছিল।  

শহর ছাড়িয়ে যখন ড্রাইভ করে বেরিয়ে এল তখন পাহাড়ী রাস্তা সবে শুরু হয়েছে। অন্ধকার আরো ঘনিয়ে এসেছে, বাতাসে ও জমিতে স্পষ্ট বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ, মেঘের কোণে বিদ্যুত্‍ ঝলকাচ্ছে, এছাড়া ওর গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন এর উপর হালকা জলের ফোঁটা দেখা যাচ্ছে।

সেই সময়ে চার্লি দেখল ঘোরানো রাস্তার ধারে আরেকটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। একটু দূর থেকে দেখতে পেল একটি মাঝারী উচ্চতার পুরুষ, মাথায়ে ক্যাপ পরা, চার্লির গাড়ি দেখে হাত নাড়তে লাগলো। নিশ্চয় এই আসন্ন দুর্যোগের সময়ে বিপদে পড়েছে। চার্লির প্রকৃতি সহায়ক, সেটা ও কর্তব্য মনে করে।

অন্য গাড়ির কাছে এসে চার্লি নিজের ফোর্ড গাড়ি থামাল। 

---------------------  

সে রাতে, স্টিফেন হায়দেন খাবার শেষ করে ওদের বাংলোর খোলা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ওর স্ত্রী, মেরী, পাশে; দুজনের চেহারাতে স্পষ্ট চিন্তার ছাপ! চার্লি তখন ও ফেরেনি, রাত প্রায়ে দশটা। সাধারণত চার্লি কখনো কলেজ থেকে ফিরতে এত দেরি করে না। এক দুবার এরকম হবার আগে সে নিশ্চয় খবর পাঠিয়ে দিত, ফোনে কথা বলত। কিন্তূ সেদিন স্টিফেন এর মনে হচ্ছিল, নিশ্চয় কিছু বিপদ হয়েছে! তার উপর অনেক নগদ ডলার ওর সাথে ছিল। নতুন ফোর্ড গাড়ি চালাচ্ছিল। মোবাইল বাড়িতে ছেড়ে যাবার জন্যে চার্লিকে ফোনে কনট্যাক্ট করা সম্ভব হচ্ছিল না।

যখন মেরী, চার্লির তিন বন্ধু কে একে একে ফোন করে কোনও খবর পেল না, ওদের চিন্তা আর বেড়ে গেল, দুজনে বুঝতে পারছিল না কী করবে। একটূ বিবেচনার পর স্টিফেন, পিটার ব্রনসন কে ফোন করল, সে ওদের নিকট প্রতিবেশী, বন্ধু ও বটে।

"পিটার, চার্লি এখনো কলেজ থেকে ফেরেনি। এই বৃষ্টি বাদলের রাতে যদি পাহাড়ী রাস্তা এ ওর গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গিয়ে থাকে ... কিংবা কোনও ক্রিমিনাল এর খপ্পরে পড়ে থাকে ... এতো ভীষণ দুর্ভাগ্য হবে... কী করা যেতে পারে? আমার ভাবার ক্ষমতা চলে যাচ্ছে ...!"


পিটার বুঝতে পারছিল স্টিফেন কাঁদছে, সে আশ্বাস দিল যে ওর স্ত্রী, সোফিয়ার, সাথে তাড়াতাড়ি আসছে।

-------------------------

একটূ পরে দুটো আলাদা গাড়িতে স্টিফেন ও পিটার রওনা হল । স্টিফেন, চার্লির সন্ধানে গেল যে রাস্তা এ সে সাধারণত কলেজ থেকে ফিরতো এবং পিটার লোকাল থানাতে গেল। পুলিশ ইনচার্জ, পিটার এর জানাশোনা।

------------------------------ 

রাত তখন প্রায়ে শেষ হয়ে এসেছে, স্টিফেন সেই রাস্তা দিয়ে চার্লির কলেজ এলাকা এ পৌঁছে গেছে এবং উদ্বেগে মাথা ধরে, গাড়ির ভিতরে বসে আছে। হাথে ওর জলন্ত সিগারেট।   

সারা রাত, পথে অনেক স্থানে স্টিফেন নিজের মরিস মেজর গাড়ি থামিয়ে, নেবে এসে, চার্লির খোঁজ করেছে .... বিশেষ ভাবে পাহাড়ের রাস্তায়; এছাড়া অন্ধকারে, টর্চ এর আলো দিয়ে আসে পাশে উপত্যকা, যতখানি পারে, দেখতে গেছে, জঙ্গলে ঢোকবার চেষ্টা করেছে, এই আশা যদি ওর ছেলে ও গাড়ি দেখতে পায়ে। কিন্তূ নিরাশ হওয়া ছাড়া কিছূ পায়েনি।

ইতিমধ্যে পিটার এর সাথে মোবাইল এ কথা হয়েছে, পুলিস ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। স্ত্রী, মেরীকে সব খবর দিয়েছে, সে খূব কান্নাকাটি করছে।  

এর পর স্টিফেন কী করবে সেটা ভাবছিল, ভোরের আলো এসে গেছে, আকাশ পরিষ্কার, যখন হটাত্‍ মনে হল মাথার মধ্যে কিছূ হচ্ছে ...!

কেউ কথা বলছে! খূব ধীরে কিন্তু স্পষ্ট ।  

ভীষণ চমকে গিয়ে সে চারিদিকে তাকাল, গাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তার কাছেপিঠে দেখল, তারপর চোখ বন্ধ করে মাথা দু হাথে শক্ত করে চেপে রাখল, শেষে কিছূ না বুঝতে পেরে আঙুল দিয়ে দুটো কান বন্ধ করল।

এবার আতঙ্কে ঘামতে শুরু করল। এটা কী হচ্ছে ? কী করবে? ওর বোধ শক্তি যেন বন্ধ!

কণ্ঠস্বর কিন্তু চলছে ....!

এই ঘটনা যখন বেশ কয়েক মিনিট ধরে ঘটছে ... অদ্ভুত ব্যাপারটা তখন ও থামছে না, স্টিফেন নিজেকে সামলাতে শুরু করল । ভয়ে একটূ কম মনে হচ্ছিলো ... ও চেষ্টা করল কণ্ঠস্বরটা বুঝতে...!  

এবার স্টিফেন এর আরও আশ্চর্যান্বিত হওয়া বাকি ছিল !

বুঝতে পারলো - এটা তো চার্লির আত্তয়াজ!! কী করে সম্ভব? ছেলে এখন কোথায়? বেঁচে আছে তো ?

এসব নানা প্রশ্ন মনের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুত্‍ বেগে এসে গেল! উত্তর নেই!

একটূ ঢোঁক গিলে, গাড়িতে রাখা জলের বোতল থেকে জল পান করে স্টিফেন নিজেকে স্থির করল।

কী বলছে চার্লি? কথা কিন্তু অনর্গল চলছে। 

"বাবা, ভয়ে পেওনা, আমার কথা শোনো! আমার উপর হামলা হয়েছিল কাল শেষ দুপুরে, যখন বাড়ি ফিরছিলাম। আক্রমণকারী ক্রিমিনাল এবং আমার নতুন গাড়ি ছিনতাই করেছে। তোমার ডলার এর ব্যাগ ও লুটে নিয়েছে । সে বদমাশ একটু পরেই আমাদের চোরাই গাড়ি নিয়ে হাইওয়ে-25 নেবে .... তুমি এখন ওকে অনুসরণ করো ... ওকে ধরো। আমার ঠিকানা পরে পাবে ... এখন দেরি করো না .....!"  

এই অলৌকিক কণ্ঠস্বর শুনে স্টিফেন এর শরীর নিস্পন্দ হয়ে গেল কয়েক মুহূর্ত এর জন্যে, কিন্তূ বিভ্রান্তিতে থাকা চলবে না ... সে পিটারকে ফোন করলো এবং এই আশ্চর্য ঘটনা, থেমে থেমে, বিস্তারিত ভাবে বলল। শেষে তার কণ্ঠস্বর বসে গেল।

স্টিফেন তখন দ্রুত কিছু ভাবতে কিংবা করতে পারছিল না।  

পিটার চুপ করে তার কথা শুনল, সে সব বুঝতে পারলো কিন্তূ অবাক হল না। "এরকম অজানা ব্যপারে আমার বিশ্বাস আছে! হয়েত এই পরিস্থিতির একটা সমাধান হবে, অপরাধী ধরা পড়বে; ঈশ্বরের আশীর্বাদ আছে, বেশি চিন্তা না করে তুমি তোমার চোরাই গাড়ি খুঁজে বের করো এবং অনুসরণ করো। তারপর কিছু অজুহাতে সেটা আটকাও ... আমাকে খবর দিতে থাকো ... আমি পুলিস নিয়ে আসছি। আশা করি আমাদের দেরি হয়ে যায়নি।"                     

-----------------    

স্টিফেন হায়দেন, নিজের মরিস মেজর গাড়ি নিয়ে যখন হাইওয়ে-25 এ এলো তখন প্রথমে ওর চোরাই ফোর্ড গাড়ি দেখতে পায়েনি । একটু হতাশ হয়ে রাস্তার এক ধারে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করছিল, যখন দেখল খুব দ্রুত বেগে ওর ফোর্ড গাড়ি রাস্তার অন্য পাস থেকে বেরিয়ে গেল।

ছুটে গিয়ে স্টিফেন, নিজের গাড়িতে উঠে সেই গাড়িকে অনুসরণ করতে শুরু করল, যদিও বেশ কিছুটা দূরে থেকে। এতিমধ্যে পিটার কে ফোন করেছে এবং খবর পেল সে পুলিস নিয়ে আসছে যেখানে হাইওয়ে -25 পরের শহর কে যুক্ত করবে।

প্রায় 45 মিনিটে সেখানে পৌঁছানোর পর ফোর্ড গাড়ি একটি সুপারমার্কেট এর সামনে এসে দাঁড়াল। একজন মাঝারী উচ্চতার পুরুষ, প্রশস্ত কাঁধযুক্ত, মাথায়ে ক্যাপ পরা, গাড়ি থেকে নেবে মার্কেট এ ক্ষিপ্রবেগে ঢুকে গেল ।

একটু দূরে স্টিফেন নিজের গাড়ি থামিয়ে, ভিতরে বসে লক্ষ রাখতে শুরু করল। মোবাইল এ খবর দিল এবং জানতে পারলো, পুলিস এর সাথে পিটার খূব শিগ্গির সেখানে এসে যাবে।

ততক্ষণে স্টিফেন নিজেকে পুরোপুরি সামলেছে, চার্লির জন্যে সে সবকিছ করতে পারে !

প্রায় দশ মিনিট পরে যখন লোকটি বেরিয়ে এল, তখন স্টিফেন নিজের প্লান তৈরী করে নিয়েছে। সে নেবে, এগিয়ে এসে, ফোর্ড গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গেল তারপর সিগারেটের আগুন চাইল। লোকটার চেহারা ক্রূর প্রকৃতির ও হাবভাব ও সেরকম; একটু উত্ত্যক্ত ভাবে, নিঃশব্দে, পকেট থেকে লাইটার বার করে তাকে দিল।

এরপর, স্টিফেন, ধীরভাবে নিজের পকেট থেকে সিগারেট প্যাকেট বার করল ও শেষ ভাঙা সিগারেট লক্ষ্য করে, দেখালো যেন বিরক্তে মাথা নাড়ল। ওকে সময়ে কাটাতে হবে, এই লোকটা কে আটকে রাখতে হবে, পুলিস আসতে তখনও একটু সময়ে আছে ...।

তারপর, হটাত্‍ কাশির অজুহাত দিয়ে, পাশে পার্ক করা নিজের গাড়িতে গিয়ে জলের বোতল বার করে পান করে, নতুন সিগারেট প্যাকেট নিয়ে, ফিরে এসে, স্টিফেন জিগেস করল, "আপনার ফোর্ড গাড়ি দেখে মনে হচ্ছে আপনি এই শহরে থাকেন না। কোথা থেকে আসছেন?"

এরমধ্যে স্টিফেন চোরাই ফোর্ড গাড়ির সামনে আবার দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো। 

এরপর ধীরেসুস্থে সিগারেটে ধরালো, লাইটার কিন্তু তখন ও ফেরত দেয়নি। উত্তর এর জন্যে সেই লোকটার দিকে তাকিয়ে থাকলো।   

এই ঘটনা, তার সাথে ধীর গতিবিধি দেখে লোকটা হটাত্‍ ভীষণ রেগে গিয়ে নিজের লাইটার ছিনিয়ে ফেরত নিয়ে বলল, "তোমার কী ? সরে যাও, আমাকে যেতে দাও ... যত্ত সব বেহুদা লোক আমার কাছে আসে ... কোনও কাজ নেই কর্ম নেই ... idiot!"

স্টিফেন কিন্তু একগুঁয়ে ভাবে সরলো না, পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকলো। তা দেখে লোকটা আক্রমণাত্মকভাবে এগিয়ে এসে স্টিফেন কে একটা ধাক্কা মারলো; স্টিফেন নিজেকে সামলাল কিন্তু তবুও সরল না দেখে এবার চড় মারার জন্যে হাথ তুলতেই, আশেপাসে কয়েজন মানুষ, যারা সব দেখছিলেন, এগিয়ে এসে লোকটা কে নিরস্ত করলেন। "আরে ... আরে কী হচ্ছে কী? কোন কারণ ছাড়াই আপনি রাগারাগি করছেন কেন? ছাড়ুন তো ...!"

ব্যাপারটা তখন গুরুতর হয়ে যাচ্ছে ও সময়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ... এটা স্টিফেন চেয়েছিল। অনেক লোক একত্রিত হয়েছে।  

তখন বহু অপেক্ষিত পুলিশ সাইরেন শুনা গেল...!

------------------

লোকটা, যার নাম ছিল ডিক নরমান্ডী, একটা জ্ঞাত অপরাধী , জামিন এ ছাড়া ছিল এবং চোরাই ফোর্ড গাড়ি ও নগদ {ডলার} সমেত হাথেনাথে ধরা পড়ল!

পরবর্তীকালে, প্রচণ্ড পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর সে অনিচ্ছা ভাবে তার অপরাধ স্বীকার করল! এছাড়া ব্যাঙ্ক এর দুজন সাক্ষী ডিক নরমান্ডী কে দেখে সনাক্ত করল। হত্যার-দিন সকালে যখন চার্লি ব্যাঙ্ক এ ডলার তুলতে গিয়েছিলো তখন ডীক, চার্লির অজান্তে, কিছু সন্দেহজনক আচরণ করেছিল।  অনেকেই ব্যাঙ্কে লক্ষ্য করেছিলেন ।  

তার আগে, শীঘ্রই, ডিক নরমান্ডী, পুলিস, স্টিফেন এবং পিটার কে চার্লির মৃতদেহের কাছে নিয়ে গিয়েছিলো। অন্যথায় পাহাড় জঙ্গলের মধ্যে ওকে খোঁজা মুশকিল হতো! ওকে একটা ছুরি দ্বারা নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল! 

পরে সেই শহরে অনেকেই বলেছেন যে চার্লির মৃতু হয়েত রহস্য থেকে যেত যদি মারা যাবার পরও চার্লি ওর বাবাকে, বিস্ময়কর ভাবে, অপরাধীর হদিস না দিত। অসম্ভাব্য সত্য!

এর পর স্টিফেন হায়দেন কখনো ছেলের কণ্ঠস্বর শোনেনি!তবে উনি বলেছেন এবার ছেলের আত্মা শান্তি পেয়েছে।   

কিন্তু এই অলৌকিক ঘটনার কোনও উত্তর নেই       

Author's comment: Inspired by a true event!


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror