Amitav Ganguly

Drama Fantasy

4.5  

Amitav Ganguly

Drama Fantasy

এর কী কোনও উত্তর নেই?

এর কী কোনও উত্তর নেই?

7 mins
268


যাদব কেন এসব পূর্বনির্দেশ পায়ে? এটা কী তার অন্তর্দৃষ্টি? 

ছোট বেলা থেকেই সে এই অনুভুতি পাচ্ছে । প্রথমবার যখন পেল তখন তার বয়েস প্রায় আট বছর, সেই সময় এই অদ্ভূত চেতনা বুঝতে পারত না। এই ব্যাপারটা বুঝতে শুরু করেছিল যখন তেরো বছর বয়েস।

একদিন রাতে শোবার সময়ে হঠাৎ যাদবের মনে হল চেন্নাইয়ের তার এক দূরবর্তী আত্মীয়, উনি হয়েত মারা যাবেন, ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট হবে। 'মনের চোখে' যাদব এই দৃশ্য দেখছিল : এক ভদ্রলোক – অবচেতন বলছে, সে এক মামা - পরের দিন ট্রেন এ উঠলেন , ট্রেন চলছে পূর্ণদমে - হটাত্‍ লাইনচ্যুত হল – অনেক কামরা উল্টে গেল – চারিদিকে হাহাকার – মামা কে কামরা থেকে বাইরে আনা হল – স্ট্রেচরে শুয়ে আছেন, কপাল ভয়ানক আহত, পাশে অনেকে লোকের সাথে বালক যাদব দাঁড়িয়ে আছে – এই ঘটনা সে দেখছিল... ।  

যাদব, এই দৃশ্য মা কে বলাতে, তিনি অবিশ্বাসে ছেলের দিকে তাকিয়েছিলেন, এটাকে একটা অপরিণত বালকের খামখেয়ালিপনা ভেবেছিলেন। তবুও সেই সময় যখন চেন্নাই ফোন করা হল তখন জানা গেল পরের দিন বিকেলে মামা, বাস্তবেই ট্রেন নিতেন বাঙ্গালোর যাবার জন্য।  

পরের দিন তারা খবর পেল মামা বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, যাদবের ভবিষ্যদ্বাণী জেনে, কিংবা কোনও অন্য কারণে ওনার ভ্রমণ স্থগিত করেছিলেন। এটি একটি সত্য ছিল সেই ট্রেন বাঙ্গালোর যাবার পথে লাইনচ্যুত হয়ে ও অনেক যাত্রী আহত এবং মারা যায়ে ।

এরপর যাদবের পরিবার এই পূর্বাভাস উপেক্ষা করতে পারছিল না কিন্তু তাহলেই বা কী হবে ? এর কোনও ব্যাখ্যা ছিল না, এবং অনেকে বলেছিলেন এটা কাকতালীয় ঘটনা।

সেই দূর সম্পর্ক মামা র সাথে যাদবের কখনো আলাপ হয়েনি, চেহারা চিনতো না, ছবি ও দেখেনি, এছাড়া বাড়ির সাথে কোনও সম্পর্ক ছিল না। মা ও বোধ হয়ে আত্মীয়তা তেমন ভাবে রাখেন নি ।

--------------

তারপর অনেক বছর ঘুরে গেছে। যাদব এখন পূর্ণ যুবক, সেকন্ড ইযার কলেজে পড়ে, এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওর এই অজানা ক্ষমতা যেন কম হয়ে গেছে। এরমধ্যে সে কোনও ভাবে এটার গুরুত্ত দিত না, উপেক্ষা করত, কারও সাথে সম্প্রতি কথা বলেনি। যেন পুরো ব্যাপারটা ভুলে গেছে। 

বর্তমানে কিন্তু এই ক্ষমতা ওর জীবনে আবার পদার্পণ করল এবং পুরোনো স্মৃতি ও অনুভব, ব্যাপকভাবে মনের মাঝে এগিয়ে এল !   

-------------

সেদিন যাদব কলেজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। তার মনে একটাই চিন্তা ছিল, সে কী ভাবে ক্লাসের সামনে 'presentation' ভালভাবে দেবে। 

এই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ মনে একটা অস্বাভাবিক দৃশ্য ফুটে উঠল, প্রাণমন চমকে দেবার মত ! 

সে 'মনের চোখে' দেখছে তার প্রেমের বান্ধবী, লিলির দেহ স্ট্রেচরে  একটা জ্বলন্ত চিতার একটু দূরে রাখা আছে, জমির উপর ! চিতার উপর দেখা যাচ্ছে একটা মানুষ, একজন বয়স্ক পুরুষ, সে কেশহীন ও অতি সাধারণ চেহারা। সাদা আচ্ছাদনে শরীর ঢাকা, আগুন দাউ দাউ করে জলছে, শিখা আরো ও আরো উঁচুতে যেন উঠছে, চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়াচ্ছন্ন... । একটু দূরে যাদব নিজেকে দেখতে পাচ্ছে, দাঁড়িয়ে আছে, এই ঘটনা দেখছে, আসে পাশে কেউ নেই ! ও একদৃষ্টিতে সেই মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে । লিলির দিকে কিন্তু নয়। এটা আশ্চর্য। লোকটা কে ?

যাদব সামান্য আতঙ্কিত হয়ে এই মানসিক দৃষ্টিকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ল্যাপটপ তুলে নিয়ে সে প্রাতঃরাশ করবার জন্যে ডাইনিং রুম চলে এল। আজ ও একা, বাবা ও মা মুম্বাই গেছেন, পরশু ফিরবেন। নিঃশব্দে খাবার শেষ করে কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে দ্রুত মারুতি গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে গেল।

ক্লাসের পরে যাদব এবং লিলি কলেজের ক্যাফেটেরিয়ায় বসেছে, তাদের সামনে কফি কাপ নিয়ে, ক্লাস নিয়ে আলোচনা করছে। কিছু মুহুর্তের পরে, যাদব চুপ হয়ে গেল, গভীর চিন্তা মধ্যে মনে হচ্ছিল। লিলি তার দিকে তাকিয়ে বলল, "সমস্যা কি যাদু? তুমি কথা বলা বন্ধ করলে কেন? কি এত ভাবছো?"

যাদব দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল , "তুমি আমার কথা শুনে অবিশ্বাস করতে পারো, কিন্ত আমার ভীষণ ভাবে মনে হচ্ছে তোমার কিছু বিপদ হবে...!"

লিলির চোখ সংকীর্ণ করে ভ্রূকুটি করে বলল, "তুমি কি বলছ? এ কিরকম রসিকতা?"

যাদব মাথা নাড়ল, এটা ঠাট্টা নয়, তারপর একটু আগে যে 'মনের চোখে' দেখেছিল তা বর্ণনা দিল। নিজের পুরানো অভিজ্ঞতার ইতিহাস বলল।

"লিলি তুমি জানোনা, ভবিষ্যতের অনেক ঘটনা আমার আগে থেকে বোঝবার ক্ষমতা আছে; বলতে পারো, আমার তৃতীয় চক্ষু বা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আছে, যাই হোক আমার কথা শুন ...।"

অবাক-লিলির দিকে তাকিয়ে সে তখন বলতে শুরু করেছে, "যুগে যুগে এ জাতীয় অন্তর্দৃষ্টি ক্ষমতা, মনস্তাত্ত্বিক অভিজ্ঞতা বিদ্যমান অনেক মানুষের ভিতরে ছিল এবং আছে, অনেক সময় এটাকে 'clairvoyance' বা আলোকদর্শন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়ে … এই নিয়ে অনেক গবেষণা হয়ে গেছে ও এখনো চলে।

"আমি বহু বছর আগে আমার মামার আসন্ন মৃত্যুর বিপদ বুঝতে পেরেছিলাম, তখন অনেকে আমাকে বিশ্বাস করতে চাননি। তবে মামা বেঁচে গিয়েছিলেন, হয়েত আমার ভবিষ্যদ্বাণী জেনে।

"তার পরেও নানা ভাবে আমি বিভিন্ন জায়গায় অনেক ঘটনার পূর্বাভাস পেতাম । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তুচ্ছ, আমি অগ্রাহ্য করতাম, তবে আজকের তোমার বিপদের ব্যাপারটা উপেক্ষা করা যায় না।"

লিলি ও গভীরভাবে ভাবছিল। সে এই ধরনের স্বজ্ঞা বা 'intuition' এর কথা আগে শুনেছিল এবং বিশ্বাস করেছিল। এখনো করে ।

সেই জন্য যাদবের কতগুলো খুবই গুরুতর। খুব চিন্তার বিষয়ে বটে! ঝুঁকি নিতে পারে না।

লিলি, যাদবের হাত শক্ত করে ধরল, "আমাদের কি করা উচিত? আমি মরতে পারব না .... আমার ভীষণ ভয়ে করছে ..!"

তার উদ্বেগের মাত্রা বাড়তে শুরু করছিল, "আমাদের কী করা উচিত ... কী করা উচিত...?" যাদব হতাশ হয়ে চারদিকে তাকিয়ে বলল, "আমাদের খুব সাবধানে থাকতে হবে .... লিলি।"

দুজনে অনেকক্ষণ অশান্ত হয়ে থাকলো, কিছু ভাল লাগছে না .... তারপর যাদব উঠে পড়ল। হাত ধরে লিলি কে তুলল, কিছু ভাবতে হবে । 

---------------------------

এরমধ্যে তিন মাস কেটে গেছে। সামান্য জীবনযাত্রা চলছিল, কোনও বিপদ আসেনি।

সেদিন দুপুরে কলেজ শেষ হয়ে গেছে। যাদব, নিজের মারুতি গাড়িতে লিলি কে নিয়ে শহরের অন্য প্রান্তে, লিলির বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। 

ট্র্যাফিক প্রচণ্ড বেশি, ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালানো সবসময় বিরক্তিকর ব্যাপার। তাছাড়া যাদব ও লিলি দু'জনই নানা চিন্তায় ডুবে ছিল। সম্ভবত যাদব যান্ত্রিকভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল, তাই কয়েক মূহুর্তের জন্য একাগ্রতা হারালো; বাজারের চৌরাস্তার লাল ট্রাফিক আলো যখন সবুজ হল তার মারুতি এগিয়ে গেল, আর কোনদিকে নজর ছিল না । যদিও মোড়ের কাছে কোনও ট্রাফিক পুলিশ ছিল না কিন্তু চলাচল সুশৃঙ্খল ছিল, সে জন্যে এই ভুল হবে সেটা ছিল স্বাভাবিক। 

ঠিক সেই সময় একটা সান্ত্রো গাড়ি, অন্য রাস্তার প্রান্ত থেকে, লাল আলো উপেক্ষা করে বেপরোয়া গতিতে চৌরাস্তা পার হতে গেল, সে সোজা মারুতির দিকে এগিয়ে গেল; হয়েত সান্ত্রো সময়ে ব্রেক দিতে পারবে না। সব শেষ হয়ে যাবে ! 

যাদব মুহূর্তের মধ্যে বুঝতে পারলো মারাত্মক বিপদ তাদের পথে তীর বেগে আসছে, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে মনে হচ্ছে, এবং সে সামলাবার আগেই সান্ত্রো মারুতিকে প্রায় টক্কর দিতে যাচ্ছে ...!

লিলি আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠল, "দেখো, সামলাও!"

সে মূহুর্তে ওদের মনে হল পৃথিবী উল্টে পাল্টে যাচ্ছে, দু'জনেই চোখ বন্ধ করে, এবার সব শেষ!

তারপরে টায়ার এর কর্কশ শব্দ এবং পথচারীদের চিৎকার শোনা গেল।

ততক্ষণে যাদব শক্তভাবে ব্রেক করে থেমে গিয়েছিলো। তারা নিরাপদে ছিল !

অলৌকিকভাবে বেঁচে যাবার পর যাদব জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখে; রাস্তায়, চিত হয়ে পড়ে আছে এক কেশহীন, বয়স্ক পুরুষ, শেষ নিঃশ্বাস ফেলছে, চারিদিকে রক্ত ! সান্ত্রোর সামনের, বাম টায়ার, তার বুকে চড়ে গেছে - পথচারীরা দৌড়ে ঘটনাস্থলের দিকে আসে! ড্রাইভার পালিয়েছে। 

যাদব, গাড়ির দরজা খুলে দৌড়ে গেল লোকটার দিকে, সঙ্গে লিলি। মানুষটার মুখমন্ডল দেখা যাচ্ছে, সেখানে আঁচড় নেই, চোখ নিমীলিত, প্রশান্ত চেহারা, কিন্তু অদ্ভুতভাবে পরিচিত। যাদব, 'মনের চোখে', এই চেহারা দেখেছিল, বোধ হয়ে । 

অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে; দেহ স্ট্রেচরে তুলে নিয়ে যাওয়া হল।

আশেপাশের পথচারীর আলোচনায় বোঝা গেল এই মানুষ, হটাত্‍ চৌরাস্তার ভেতরে ঢুকে পড়াতে একেবারে মারুতি ও সান্ত্রোর টক্কর এর পথে এসে যায়ে, এই জন্যে সান্ত্রোর ড্রাইভারকে আগেভাগে ব্রেক দিতে হয়ে। এতে মারুতি বেঁচে গেল কিন্তু মানুষটা প্রচণ্ড আঘাত পেল।     

যাদব হাসপাতালে গিয়ে দেখল লোকটা মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। কেন জানেনা, সে খবর শুনে নিজের অশ্রু সামলাতে পারলো না , মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেল । 

পরে হাসপাতালে পুলিশ জানালো মৃত তখনও সনাক্তযোগ্য নয়, তাঁর পার্সে কিছুই ছিল না; সেটা সচরাচর দেখা যায় না। 

------------

কয়েকদিন বাদে , যথাযথ প্রক্রিয়া পরে, যখন পুলিস সেই মানুষকে জ্বলন্ত ঘাটে নিয়ে গেল তখন যাদব উপস্থিত ছিল।

সেখানে, যেভাবে যাদব এই ঘটনা 'মনের চোখে' দেখেছিল, সেটাই আবার দেখল। এটি আশ্চর্যজনক নয়; তবে লিলির দেহ স্ট্রেচরে, মানুষটার জ্বলন্ত চিতা থেকে একটু দূরে রাখা ছিল না ... সব জায়গা ছিল একেবারে খালি ! তার অর্থ হল লিলির বিপদ কেটেছে।   

আর লিলি, সে বাড়িতে ছিল, জীবন্ত ও প্রাণবন্ত ! তার জন্য অপেক্ষা করেছে। 

যাদব ও লিলি কিন্তু এই ঘটনা ভুলতে পারলো না ! অনেক ব্যাপার অস্বাভাবিক ... !

--------------

এরপর প্রায়ে ছয় মাস কেটে গেছে, সেই রাতে লিলি, যাদবের বাড়িতে এল, ক্লাসের নোট্স নেবার জন্য।

দুজনে ড্রয়িংরুমে আলোচনা করছিল। পাশের টেবিলে যাদব পরিবারের বড় অ্যালবাম রাখা ছিল। লিলি, অন্যমনস্ক ভাবে এটিকে তুলে একটার পর একটা পাতা উল্টানো শুরু করেছে, যখন একজন অল্পবয়স্ক কেশহীন মানুষের ছবি দেখে থেমে গেল। খুব চেনা লাগছিল।

"ইনি কে? চেনা চেনা লাগছে … আমি কি দেখেছি? লিলি যাদবকে জিজ্ঞাসা করল। যাদব এগিয়ে এসে একটু লক্ষ করে বলে উঠল, "হে ভগবান ! এই তো সেই ভদ্রলোক যাঁর মৃত্যুর সাথে আমাদের প্রাণ বাঁচলো। এই ছবি আমাদের অ্যালবাম এ কি করে এল ? কখনো চোখে পড়েনি, চিনতে পারছি না ....। " 

লিলি উত্তর দিল, "তোমাদের কোনও বন্ধু কিংবা আত্মীয় হতে পারে, বাড়ির কাউকে জিজ্ঞেস কর।"

যাদব একটু ভেবে বলল, "আমি মার সাথে কথা বলে আসছি, হয়েত উনি চিনতে পারবেন।"   

খানিক্ষণ পর যখন যাদব ঘরে ঢুকল, লিলি দেখে অবাক হয়ে গেল; যাদবের মুখ ঘামে ঢাকা ছিল, অতি ধীর গতিতে হাঁটছে, থেমে থেমে বলল, "এই ভদ্রলোক আমার দূর সম্পর্কের মামা ছিলেন যাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা আমি বহু বছর  আগেই  করেছিলাম, যিনি বেঁচে গিয়েছিলেন আমার ভবিষ্যদ্বাণী জেনে...তোমাকে বলেছি....। মা এই খবর পেয়ে ভীষণ মর্মাহত হয়েছেন। এখন, চেন্নাই ফোন করছেন...। "

তারপর দীর্ঘক্ষণ চুপ করে থাকার পরে যাদব বলল "এটা মনে হচ্ছে, আমি যেহেতু মামা কে বাঁচিয়েছিলাম, এত বছর বাদে নিজের জীবন দিয়ে তোমাকে রক্ষা করলেন। কিন্তু সবটাই অবর্ণনীয়।" 

একটু পরে যাদবের মা এলেন, চোখে জল, কিন্তু নিজেকে সামলেছেন, ধরা কণ্ঠস্বর, বললেন, "মামি এখন ফোনে খবর দিলেন , তোমার মামা বেশ কিছুদিন চেন্নাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন, উনি একটা কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন, তাঁর জীবন ছিল শেষ পর্যায়, ওনার, এই শহরে, অজ্ঞাত মৃত্যু মামিকে পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে। ছেলের সাথে কাল চেন্নাই থেকে আসছেন, এখানে পুলিশের সাথে কথা বলবেন...।"  

মা চলে যাবার পর যাদব, লিলির হাত নিজের হাতে নিয়ে বলল, "মামা নিজের শেষ আসছে বুঝতে পেরেছিলেন। প্রশ্ন হল: উনি কী তোমার অ্যাক্সিডেন্টের মৃত্যু ব্যাপার জানতেন আর এটাও, আমার ভালোবাসার পাত্রী হচ্ছ তুমি? কী করে বুঝলেন? আমাদের সাথে তো ওনার কোনও সম্পর্ক ছিল না? যাই হোক, এই ঘটনাটা কি তোমার জীবন বাঁচানোর ভবিতব্য ছিল, লিলি?"

যাদব আর লিলি একে অপরের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইল। কোন উত্তর ছিল না। এর উত্তর কে দিতে পারে?       


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama