Amitav Ganguly

Horror Fantasy Thriller

1.5  

Amitav Ganguly

Horror Fantasy Thriller

অতীতে যাওয়া { GOING INTO PAST}

অতীতে যাওয়া { GOING INTO PAST}

7 mins
185



প্রভাত মোহাতো তার অলঙ্কৃত অফিসের টেবিলে উপর রাখা 'ইলেকট্রনিক' ক্যালেণ্ডারে তারিখ দেখল, এরপর প্রশস্ত 'কর্নার' অফিসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। তার অফিস ছিল শহরের 'সেন্ট্রাল বিজনেস ডিসট্রিক্টের' এগারো তলায়ে। সেসময়ে বাইরে তার চোখের সামনে ছিল বিন্দু বিন্দু সাদা মেঘ ছড়ান পরিষ্কার রৌদ্রোজ্জ্বল নীল আকাশ ।

সে ভাবছিল, "আমাকে অবশ্যই আগামী সপ্তাহে 'মেসার্স বয়েড' এর সাথে দেখা করতে হবে। খুব শীঘ্রই তাদের সাথে আলোচনা চূড়ান্ত করব নাহলে আমরা বাজারের আধিপত্য হারাব , সেটি ব্যবসার জন্য খুব খারাপ হবে।"

প্রভাত মোহাতো একটি অপরিসীম সুনাম ও আর্থিক অবস্থানের একজন ব্যবসায়ী। তার কোম্পানী বাজারে একটি বিশিষ্ট অবস্থান দখল করেছে।

সেদিন সকালে সে বিশেষ করে তারিখটি মনে করল। ঠিক দশ বছর আগে সে এবং তার সঙ্গী সুবোধ দান্তে স্বল্প সম্পদ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছিল; উভয়েই পরিশ্রমী এবং প্রচুর শক্তি এবং অধ্যবসায় দ্বারা সমৃদ্ধ ছিল। এরপর দশ বছরের সফল আর্থিক ফলাফল সবার সামনে ছিল। এই 'বিজনেস' তাকে প্রচুর সন্তুষ্টি দিয়েছিল তবে সমস্যাটি ছিল অন্যরকম; কয়েক মাস ধরে তাদের দুজনের মধ্যে অনেক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। যে কোনো ব্যবসায়িক প্রচেষ্টায় মতামতের পার্থক্য হতে পারে, এটি স্বাভাবিক, কিন্তু এটি গুরুতর অনুপাতে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

সেই সকালে প্রভাত ভাবছিল, " যেদিন থেকে রমনক লালের সঙ্গে সুবোধ দান্তের বন্ধুত্ব হয়েছে, সেদিন থেকেই সব কিছু গণ্ডগোল হতে শুরু করেছে। এই রমনক লোকটি পাজী ও অপরাধী এবং ওর হস্তক্ষেপ মানা যাবেনা। ব্যবসার জন্য অপরাধ ব্যবহার করার জন্য সুবোধের পরিবর্তনশীল মনোভাব মেনে নিতে পারছি না … সে কিছু বুঝতে চায়না। আমি এই ভাগীদারী কতদিন ধরে রাখতে পারব, বলা মুশকিল। সম্ভবত শেষ অবলম্বন হিসাবে আমি তাকে আমার বিজনেস থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করতে পারি, তাকে কোম্পানীর ব্যবসা ছাড়ার জন্যে সেরা মূল্য দিতে পারি, ওর লোকসান করাবার ইচ্ছা নেই।"

প্রভাত তার 'সেক্রেটারি' কে ডেকে আগামী সপ্তাহে সুবোধ দান্তের সাথে মিটিং ঠিক করার নির্দেশনা দিল ।

সেদিন ১৯ জানুয়ারির ২০১২ রাতে ডিনার সেরে প্রভাত পাশের ঘরে তার 'ডেস্কে' গেল। তার স্ত্রী ইতিমধ্যেই বিছানায় অবসর নিয়েছে। প্রভাতের কিছু অসমাপ্ত অফিসের কাজ ছিল। এরপর সে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি কাজ শেষ করতে করতে তন্দ্রাচ্ছন্ন বোধ করে, তখন উঠে সে বেডরুমে ফিরে যেতে চাইল, রাত তখন ১২.১৫ এর কাছাকাছি, হঠাৎ সে এক অদ্ভুত অনুভূতি উপলব্ধি করল। এক আকস্মিক নিবিড় নীরবতা তার সামনে নেমে এসেছে ... তার মাথা ঘুরতে শুরু করছে ... চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ! এবার প্রভাত মোহাতো শান্তিতে ঘুমাতে চাইল কিন্তু সে জানত তার 'ডেস্কে' বসে আছে , বিছানায় শুতে যেতে হবে অনেক রাত হয়ে গেছে ... গভীর ঘুম ভেসে আসছে...সে জোর করে চোখ খোলা রাখার চেষ্টা করল, উঠতে হবে...।

কিন্তু এরপর যা হল, একেবারে ধারণাতীত, তার চোখ খুলে গেল, সামনে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন আবছা দৃশ্য ভেসে উঠল। সে তার নিজের অফিস কক্ষে একটু দূরের সোফাতে বসে আছে, নিজের চেয়ার খালি, কিন্তু তার টেবিলের বিপরীতে দর্শনার্থীদের চেয়ারে দু'জন ব্যক্তি বসা । তারা কিছু আলোচনায় ব্যস্ত । আবার মনে হল পুরো দৃশ্যটাই কেমন যেন ধোঁয়ায়ে ঢাকা । এসব দেখে সে হতবাক হয়ে গেল! কেন এবং কীভাবে এই ঘটনাগুলি উন্মোচিত হচ্ছে তা বুঝতে না পেরে সে মাথা ঝাঁকানি দিয়ে চেয়ার থেকে উঠার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। চিৎকার করার চেষ্টা করল কিন্তু আওয়াজ বেরল না। সে তখন ঘামতে শুরু করেছে কিন্তু শীঘ্রই তার ভয় ক্রমশ দূর হয়ে গেল, যখন দর্শনার্থীদের চেয়ার থেকে একটি ভেসে আসা কন্ঠস্বর তাকে বুঝিয়ে দিল সেখানে দু'জন বসা ব্যক্তির মধ্যে একজন তার সঙ্গী সুবোধ দান্তে । এবার ভালভাবে লক্ষ করতে বোঝা গেল সুবোধের পাশের চেয়ারে বসে আছে আরেকটি লোক, সে হল রমনক লাল। এবার প্রভাত মনোযোগ সহকারে শুনবার চেষ্টা করতে তাদের কথা বেশ স্পষ্টভাবে বুঝতে পারল।

"প্রভাত কখনই তার ব্যবসার অংশীদারিত্ব আমার কাছে ছেড়ে দেবে না, আমি তাকে খুব ভাল করেই চিনি... সে তার তৈরি করা সমস্ত কিছু ছেড়ে দেওয়ার চেয়ে মরে যাবে...প্রাণ দেবে!" সুবোধ বলছিল।

রমনক লালের কন্ঠস্বর ভেসে উঠল, "তাহলে প্রভাতকে মরতে দাও নইলে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছান যাবে না।"

সুবোধ মাথা নাড়ল, "বাজে কথা বলবে না যা সম্ভব নয় ... আমার সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগে আমি ধরা পড়তে চাই না।"

"একদম হবে না আমরা যদি ভালো পরিকল্পনা করি... শোন মন দিয়ে আমার প্ল্যান...।" সুবোধের কানের কাছে মুখ আনলে রমনক লাল, আস্তে করে কথা বলল অনেকক্ষণ ধরে । প্রভাতের কানে কিন্তু সেই কথাগুলি অনেকখানি ভেসে আসছিল; ওরা দুজন কোনো মারাত্মক গুপ্ত হত্যাকারীকে দিয়ে প্রভাতের খুনের কাজটি করাবে। যদিও সেই লোকটির সাথে রমনক লালের কিছু লেনদেনের ও বিভিন্ন অবৈধ ঝগড়া আছে, সেটি সামলাতে হবে অন্যথায় এরা দুজনেই চূড়ান্ত বিপদে পড়তে পারে। তবে এসব কাজে এরকম ঝুঁকি নিতে হয়ে। কিছুক্ষণ আলোচনার পর রমনক লাল মুচকি হেসে চেয়ার ছেড়ে উঠল। বলল, "সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, চিন্তা করবে না।" উত্তরে সুবোধ তার হাত চেপে ধরল, "আমি এখন নিশ্চিত তোমার প্ল্যান ভাল - আমি তোমার সাথে একমত - আগামী সাত দিনের ভিতরে একটি উপযুক্ত দিনে প্রভাতের অ্যাক্সিডেন্ট হবে … হত্যার মতো মনে হবে না। পরে চরম ক্ষেত্রে যদি খুন মনে হয়ে - পুলিশের সামনে আমাদের দুজনের 'আলিবি' হবে এরকম, এক: অপরাধের সময়ে আমরা অন্য শহরে ছিলাম আর দুই: আমাদের 'মোটিভ' নেই।"

প্রভাত, এসব দেখে ও শুনে, ভয় আর অবিশ্বাসের এক অদ্ভুত মিশ্রণ অনুভব করল । সে বুঝতে পেরেছিল তার জীবন ভীষণ বিপদের মধ্যে রয়েছে, কিন্তু ঘটনাগুলি সম্পূর্ণ অবিশ্বাস এবং অদ্ভুত; সে এখন কি করবে? একটি অসহায় কাঁপুনি শরীরের ভেতরে চলছে, সাথে সে অনুভব করল আবার গভীর ঘুম ভেসে আসছে … কিন্তু আগেই সে অফিস কক্ষের টেবিলে 'ইলেকট্রনিক' ক্যালেণ্ডারে তারিখ দেখছে, সকাল ১০.৪৫ , ০৩ জানুয়ারী ২০১২, এর অর্থ হল সেটি ছিল ১৬ দিনের আগের ঘটনা ! প্রভাতের স্পষ্ট মনে আছে সে তখন শহরের বাইরে ছিল, এর মানে তার অনুপস্থিতিতে, অতীতে, তার খালি অফিস কক্ষে যা ঘটেছিল সেটি আজ দেখতে পেয়েছে! কি জানি কেন, এই বিপদ জেনেও এর পর ভাবতে পারে না, গভীর ঘুম নেমে আসে তার চোখে। যখন প্রভাত ঘুম থেকে উঠল, প্রায় তখনই, দেখল সে তার বাড়িতে ডেস্কে বসে আছে। তখন রাত বারোটার পর, সময় ছিল ১২.২৫, তারিখ হয়েছিল ২০ জানুয়ারী ২০১২।

সেদিন ২০ জানুয়ারী ২০১২ সকালে, অফিসে পৌঁছে প্রভাত সুবোধের সাথে দেখা করতে চাইল তার চেম্বার একই তলায়। তার 'পি. এ.' খবর দিল সুবোধ ভোরের ফ্লাইটে মুম্বাই গিয়েছিল, তার সঙ্গে ছিলেন রমনক লাল। তারা সাত দিন পর ফিরবে।  

+++++++++++++++

গত রাতের ঘটনা প্রভাতকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। সে বুঝতে পারছে না কিভাবে গত ০৩ জানুয়ারী ২০১২ রাতে অফিস কক্ষে ফিরে গিয়েছিল। তবে তার মনে আছে তার এক বন্ধু 'রেট্রোকগনিশন' নামক একটি বিরল ধরণের 'হন্টিং' সম্পর্কে বর্ণনা করেছিল। বলেছিল যুগে যুগে পৃথিবীতে অনেক লোক অতীতের ঘটনা এবং পরিবেশকে অনুভব করেছে যেন সেই সময় ও স্থানে ফিরে গেছে । এটি কে কল্পনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না । সেদিন সেই বন্ধুর কথা গ্রাহ্য করেনি, যদিও গত রাতে যা দেখল তা কি বিশ্বাসযোগ্য ছিল?

এছাড়া কিন্তু প্রভাত, সুবোধের হত্যার পরিকল্পনায় তীব্র ভাবে চিন্তিত ছিল। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল নিজেকে বাঁচানোর জন্য তার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া । কিন্তু কি করবে ও তাকে কে বিশ্বাস করবে? স্ত্রীকে ও বলা যায় না, ভীষণ ভয়ে পেয়ে যাবে । 

দিনটি যথেষ্ট চিন্তাতে কেটে যায় এবং প্রভাত তার পরবর্তী পদক্ষেপের উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। সে অবশ্যই নিজেকে রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত 'বডি গার্ড' এর ব্যবস্থা করবে কিন্তু তাতেও কি বিপদের স্থায়ী সমাধান হবে ?

+++++++++++++++

সেদিন রাতে প্রভাত ঘুমাতে পারেনি। সে তার ডেস্কে বসেছিল, গভীর রাত পর্যন্ত মন অশান্ত ছিল। স্ত্রী তাকে বিছানায় যেতে অনুরোধ করতে দুবার এসেছিল কিন্তু অজুহাত করে গেল না ।

দেয়াল ঘড়ির ঘণ্টা বাজল, সময় রাত ৪.৩০ - ২১ জানুয়ারী ২০১২, পরের দিন এসে গেছে।

প্রভাত গত রাতের মতো হঠাৎ একই অদ্ভুত অনুভূতি উপলব্ধি করল, তার চোখ বন্ধ হয়ে যেতে লাগল। যখন চোখ খুলল, দেখল সে আবার ফিরে গেছে, কিন্তু এবার অন্য জায়গায়। সে একটি ঘরের ভেতরে দাঁড়িয়ে, মনে হচ্ছে হোটেল, যেখানে দুজনের জন্য বিছানাতে দুটি ঘুমন্ত মানুষ কে দেখা গেল ; একজন সুবোধ দান্তে এবং অন্য জন, রমনক লাল। ঘরটি তখন আধা অন্ধকারে, পর্দা টানা। এবার প্রভাত ভয় পায়েনি অথবা আশ্চর্য হয়নি । সে এই অভিজ্ঞতা আশা করছিল, দেখতে চেয়েছিল কি উদঘাটিত হবে। সেই মুহূর্তে তার চোখ ঘরের দরজার দিকে গেল যেখান থেকে কিছু শব্দ শুনতে পেল। সেটি ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে এবং একটি কালো পোশাকে ও মুখোশ পরা মূর্তি সাবধানে ভিতরে ঢুকে এলো ... ডান হাতে লম্বা 'সাইলেন্সার' যুক্ত একটি রিভলবার। প্রভাত অবিলম্বে পর্দার পিছনে সরে গেল । বিছানার পাশে 'রেডিয়াম' ঘড়িটি সময় দেখাচ্ছে রাত, ১২.30 - ২১ জানুয়ারী ২০১২। এর মানে প্রভাত 0৪ ঘণ্টা পিছিয়ে গেছে, স্থান মুম্বাই হোটেল ।  

সেই অজানা লোকটি বিছানার কাছে এসে, রিভলবার দু হাতে নিজের বুক অবধি তুলে দ্রুত ভাবে পর পর দুটি গুলি চালাল ; একটি সুবোধের মাথার দিকে লক্ষ করে এবং অন্যটি রমনক লালের হার্ট এর দিকে তাগ করে ! সাইলেন্সার' জন্যে শব্দ প্রায় হল না বললেই চলে । ক্ষতগুলি থেকে রক্ত ছিটকে বেরল, মিলিত অদ্ভুত গোঙানির শব্দ শোনা গেল, বিছানা রক্তে ভিজে যায়! 

এর সাথে ক্রমশ প্রভাতের চোখ বন্ধ হয়ে এলো, সে তার পরিচিত ঘুমের মধ্যে ভেসে গেল, তখন কিন্তু ফিরে আসছিল বর্তমান সময়ে আর স্থানে, রাত ৪.৩৫ - ২১ জানুয়ারী ২০১২, নিজের বাড়ির ডেস্কে। প্রায় তখনই চোখ খুলে গেল, সময়ে দেখল, বোঝা গেল পুরো ঘটনা 0৫ মিনিট সময়ে নিয়েছে। এরপর প্রভাতের মানসিক অবস্থা বর্ণনা করা মুশকিল ছিল কিন্তু এটি সত্য সব অনুভূতি ছাপিয়ে সে যেন শান্তি অনুভব করছিল। 

+++++++++++++++

সেদিন সকালে প্রভাত তার অফিস কক্ষে পৌঁছে গিয়েছিল, একটু পরে সে পুলিশের কাছ থেকে একটি ফোন পেল। তারা বলছে খারাপ খবর। গতকাল মধ্য রাতের কাছাকাছি তার 'বিজনেস' সঙ্গী সুবোধ দান্তে এবং আরেক জন, নাম রমনক লাল, এক নামী মুম্বাইের হোটেল রুমে নির্মম ভাবে গুলি খেয়ে খুন হয়েছে। সম্ভবত কোনো অপরাধী দলের কাজ; পুরানো শত্রুর প্রতিশোধ। পোস্টমর্টেম হবার পর দুটি 'বডি' ছাড়া হবে। পুলিশের অনুরোধ, প্রভাত কি এই ব্যাপারে সহায়তা করতে পারবেন, তদন্তে যোগ দেবেন?

পুলিশ নিজের কাজ করুক, ঘাতক কে সন্ধান করুক, প্রভাত কিন্তু অপরাধীর পরিচয় মনে হয়ে বুঝতে পারছিল। এটি সেই মারাত্মক গুপ্ত হত্যাকারীর কাজ যার সাথে রমনক লালের লেনদেনের ও বিভিন্ন ঝগড়া ছিল? এটি কি সেই ঝগড়ার চূড়ান্ত পরিণতি ?     

এরকম অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা ও ঐশ্বরিক বিচার প্রভাতকে স্তব্ধ করে দেয় ! 


লেখকের মন্তব্য : এটি পৃথিবীর অজানা রহস্য থেকে অনুপ্রাণিত।

SAMPLE STORY OF My POPULAR BENGALI BOOK- "BISWAS KORA JAE NA!" - available on Amazon/Flipkart 

 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror