Sanghamitra Roychowdhury

Abstract Tragedy Classics

4  

Sanghamitra Roychowdhury

Abstract Tragedy Classics

লণ্ড্রি থেকে বলছি

লণ্ড্রি থেকে বলছি

7 mins
279



কলেজ স্ট্রিট মোড়ের সবকটা দোকান ঘুরে বিপাশা ফেরার পথে একবার শ্যামবাজারেও ঢুঁ মারলো। হাতিবাগানটা ছেড়ে আসার পরই ওর মনে হলো, "ইস্, হাতিবাগান মার্কেটে নামলেই হতো। এখন ট্যাক্সি ঘোরানো অসম্ভব। আর এই ট্যাক্সিটা যদি এখানে ছেড়ে দিয়ে আবার উজিয়ে হাতিবাগানে যেতে চাই তাহলে... এক নম্বর হলো এই এতোগুলো প্যাকেট দু'হাতে ঝুলিয়ে হাঁটতে পারবো না... কাজেই আবার ট্যাক্সি। আর এখান থেকে এইটুকু পথের জন্য ট্যাক্সি ধরা আর ভগবানের সাক্ষাৎ পাওয়া একই ব্যাপার। আর দুই নম্বর কারণ হলো সঙ্গের এই মূর্তিমান জয়... কী ভুলটাই না করেছি! এরকম এক পিস স্যাম্পেল নিয়ে কেউ শপিংএ যায়? ভেবেছিলাম ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে হাতেহাতে একটু হেল্প করবে... তা না বাবু ঠোঁটে সিগারেট ঝুলিয়ে সারাসময় ধরে শুধু টীকা-টিপ্পনি কেটে গেলো। এখন যদি আবার হাতিবাগানে যাবার কথা বলি তবে তো... থাক গে, আমি একলাই একদিন আসবো বরং... শনিবার দেখে স্কুল থেকে ফেরার পথে।" এবারে ট্যাক্সিটা শ্যামবাজারে ঠিক পৌঁছোবো পৌঁছোবো, এমনসময়ে জয় যথারীতি দাঁত বার করে টিপ্পনি কাটে, "কীগো কোন কোন শাড়িগুলোর জন্য এরকম বিড়বিড় করে শোকপ্রস্তাব পাঠ করছো? অ্যাঁ?" বিপাশাও দেঁতো হেসে মুখে বলে, "আরে না না, হিসেবটা একটু চেক করে নিলাম মনে মনে!" তবে মনে মনে বলে, "সব দিকে নজর! উঃ!"


ট্যাক্সির সিটের পেছন থেকে শপিং ব্যাগগুলো গুনেগুনে একটা একটা করে হাতে গলিয়ে নামার সময়ে বিপাশার পায়ে জড়িয়ে গেলো শাড়ির কুঁচি। জয় হাত বাড়িয়ে খপাত করে বিপাশার হাতের ওপরদিকটা ধরে না ফেললে আজ বিপাশা মুখ থুবড়ে পড়েই যেতো শ্যামবাজারের ফুটপাতে। ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়ে দিয়েই জয় আবার টিপ্পনি কাটলো, "পড়লে বেশ হতো... হাসপাতালে অনেক কম খরচে ব্যাপারটা মিটতো। মানিব্যাগ বেঁচে যেতো। এখন কত যে খসবে কে জানে?" দাঁত কিড়মিড় করলো বিপাশা, "হাড় কিপটে একটা! লোকে দু-চারটে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আজকাল। তা না কোথাকার এক আদ‌্যিকালের বদ্যি বুড়ো... এখনো উনি ক্যাশ ক্যারি করবেন আর মিনিটে মিনিটে গুনবেন।"


বৌ বিপাশাকে খেপিয়ে দিয়ে জয় খুব মজা পায়। বিপাশার তখন তীক্ষ্ণ নজর উল্টো ফুটপাতের ওপারে পাশাপাশি গোটা চারেক দোকানের ঝলমলে শোকেসের দিকে। ফুটপাতেই গড়ে ওঠা কয়েকটা ছোট স্টলের ফাঁক দিয়ে নজর চালিয়ে বিপাশা মাপামাপি করে রাস্তা পেরিয়ে একটা দোকানের সামনে চলে যায় হনহন করে। পেছন থেকে জয় চেঁচায়, "আরে দেখে দেখে... গাড়ি আসছে তো!" বিপাশার কানে জয়ের সাবধানবাণী ঢুকেছে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। একটা শাড়ি কায়দা করে কুঁচি আর আঁচলের জায়গাটা সুন্দর করে মেলে শোকেসে রাখা। দোকানের ভেতরে ঠাসা ভিড়। বিপাশা কাঁচের দরজা ঠেলে হুড়মুড় করে দোকানে ঢুকে পড়ে...যাতে ঐ শাড়িটা আগেভাগেই কেউ পছন্দ করে নিয়ে নিতে না পারে। জয় মুচকি হেসে বিপাশাকে অনুসরণ করে। মুখে যাই বলুক না কেন... আসলে জয়ও বিপাশার এই শাড়ি কেনা নিয়ে পাগলামিকে প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ই দেয়। বিপাশার খাওয়াদাওয়া, ঘোরাফেরা বা গয়না... এর কোনোটারই শখ নেই। একমাত্র শাড়ি নিয়েই এই বাড়াবাড়ি রকমের শৌখিনতার কারণে টুকটাক অশান্তি পর্যন্ত হয় সংসারে। দোকানের ভেতর দিকটায় মহিলাকুলের বিরাট ঠেলাঠেলি ভিড়। জয় দরজার পাশের শোকেসটার সামনেই দাঁড়ালো এসি দোকানের ভেতরে ঢুকে।


বিপাশা ব্যাগগুলো জয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ভিড় ঠেলে কাউন্টারের দিকে এগিয়ে গেলো। লকারে ব্যাগ রেখে জয় ভাবছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, "মেয়েদের বেশিরভাগেরই বোধহয় এমন শাড়িপ্রীতি! কেমন করছে দেখো... যেন পছন্দের শাড়িটা না নিতে পারলে কী বিরাট একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে! বিপাশাটাও শাড়ি দেখলে আর মাথার ঠিক রাখতে পারে না। পুরো আদেখলাপনা করে।"


বিপাশা আঙুল দিয়ে কাউন্টারের ভদ্রলোককে শোকেসের শাড়িটা দেখায়। জয় শাড়ির বিশেষ কিছু বোঝে না বটে, তবে দেখতে ভালোমন্দটা বিলক্ষণ বোঝে। শাড়ির ব্যাপারে বিপাশার একেবারে জহুরির চোখ! সত্যিই শোকেসের এই শাড়িটা ভীষণই সুন্দর। কুড়ি বছরের দাম্পত্যে... এবং আজও এই এতোক্ষণ ধরে নানান দোকানে নানান শাড়ি দেখা হচ্ছে তো, তার মধ্যে কিন্তু এই শাড়িটা সত্যিই সেরা। পছন্দ আছে বিপাশার! তারিফের চোখে শাড়িটার দিকে তাকিয়ে জয় বিপাশার দিকে তাকাতে গিয়ে দেখে যে বিপাশা কাউন্টারে কথা বলে উল্টোদিকে দাঁড়ানো সেলসবয়টাকে কিছু বলে আবার অন্যদিকে চলে গেলো। অন্য শাড়ি দেখতে আরম্ভ করেছে। কী ব্যাপার? হলোটা কী? শাড়িটা নিয়ে কি কোনো সমস্যা হলো নাকি? জয় শোকেসের সামনে গিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকে... অসুবিধাটা কোথায় হলো? শাড়িটার এপাশ ওপাশ ভালো করে দেখতে দেখতে জয়ের চোখ আটকালো শাড়িটাতে লটকানো দামের ট্যাগটাতে... সাড়ে তেরো হাজার। হ্যাঁ, ঠিকই দেখেছে... সাড়ে তেরো হাজার। অর্থাৎ এই দাম দেখেই বিপাশা মত পরিবর্তন করেছে। তবে শাড়িটা খুব সুন্দর!


পায়েপায়ে কাউন্টারের দিকে এগোলো জয়, "শোকেসে রাখা ঐ শাড়িটা একটু প্যাক করে দেবেন।" কয়েক মিনিটেই শাড়িটা শোকেস থেকে বেরিয়ে প্যাকিং হয়ে ব্যাগে ঢুকে জয়ের হাতে চলে এলো। জয় দাম মিটিয়ে বিল আর প্যাকেটটাকে লকারে ওদের একটা ব্যাগের পেটের ভেতর চালান করে দিলো। প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ সময় নিয়ে বিপাশা একটা শাড়ি নিলো পছন্দ করে... তিন হাজার নশো নিরানব্বই। বিল পেমেন্ট করে শাড়ির প্যাকেট নিয়ে দোকান থেকে বেরোবার সময় বিপাশা জয়ের বাহুটা খামচে ধরে, "দেখেছো, শোকেসের শাড়িটা আর নেই? বিক্রি হয়ে গেছে!" জয়, "হুঁ", বলে বিপাশাকে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে এলো। "চলো, এবার ফেরা যাক। অন্য আরেকদিন নাহয় আসবো আবার। পুজোর তো মাস খানেক দেরি আছে এখনো।" বরের মুখে এহেন কথা শুনে গদগদ বিপাশা লম্বা করে হেসে ঘাড় দোলায়।


তারপর বাড়ি ফিরে বিশ্রাম। তারপর খাওয়াদাওয়া। ছেলে মেয়ে আর শাশুড়ির শোবার ব্যবস্থার তদারকি করে এসে নিজের নৈশ প্রসাধন সেরে বিপাশা একটু ফুরসৎ পেলো। শাড়ির প্যাকেট খুলেখুলে দেখেশুনে আলমারিতে তুলতে গিয়ে ঐ শাড়ির প্যাকেটটা দেখে বিপাশা হতবাক। জয় সোফায় বসে পায়ের ওপর পা তুলে মিটিমিটি হাসছে। বিপাশা ততক্ষণে প্যাকেট থেকে টেনে শাড়িটা বার করে ফেলেছে। দুহাতে ধরে বিছানার ওপর রেখেছে শাড়িটা। তারপর হাত বুলিয়ে গন্ধ শুঁকে গালে ছুঁইয়ে যত্ন করে শাড়িটা আলমারিতে তুলতে তুলতে বলে, "কী দরকার ছিলো এতো দাম দিয়ে শাড়িটা কেনার? যেই আমি একটু অন্যদিকে গেছি, অমনি কতগুলো টাকা বাজে খরচ!" বিপাশার গলায় এসে দুনিয়ার সোহাগ জড়ো হয়েছে। জয় সোফা ছেড়ে উঠে এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে বিপাশাকে। তারপর নিজের ঠোঁট দিয়ে বিপাশার ঠোঁট স্পর্শ করেছে। দীর্ঘ চুম্বনে বিপাশার কথা বন্ধ করে দিয়েছে জয়। হাত বাড়িয়ে লাইট নিভিয়ে বিপাশাকে আদর করতে করতে জয় গভীর স্বরে বলেছে, "মাঝেমাঝে বৌয়ের শখ একটুআধটু মেটাতে হয় ম্যাডাম... নইলে নিজের কাছেই নিজের প্রেস্টিজ পাংচার।" প্রত্যুত্তরে বিপাশা আরো গভীর আশ্লেষে জড়িয়ে ধরেছে জয়কে। এভাবেই চলছে গত কুড়িটা বছর... মেঘ রোদ্দুরে, হাসি কান্নায়, ঝগড়া সোহাগে।


তারপর কোথা দিয়ে পুজো এসে গেছে। বিপাশা নিজেই আর সময় বার করতে পারেনি কেনাকাটার জন্য আরেকদিন বেরোনোর। ছেলের পরীক্ষা, মেয়ের পরীক্ষা, নিজের স্কুলে পরীক্ষা... এইসব সামলাতে সামলাতেই ঝপ করে পুজো এসে গেলো। একেবারে সেপ্টেম্বরের শেষেই পুজো। কী প্যাচপেচে গরম! তার মধ্যেই মেয়ে বায়না করে বিপাশার ঐ অতি প্রিয় শাড়িটা অষ্টমীর দিনে পরে বন্ধুদের সাথে বেরোলো। জয় অনেকবার বারণ করেছিলো... বিপাশাই থামালো জয়কে, "থাক না, পরুক না... মায়ের শাড়ি পরবে নাতো কার শাড়ি পরবে?" নিজেই গুছিয়ে সুন্দর করে মেয়েকে পরিয়ে দিলো শাড়িটা। বিপাশা আর জয়ের আজকাল আর আলাদা করে ঠাকুর দেখতে বেরোনোই হয় না। ছেলে মেয়ে তো নিজের নিজের বন্ধুদের সাথেই বেরোয়। বড়ো হয়েছে তো! বিপাশা ভালোমন্দ রান্নাবান্না করে জয়কে খাওয়ায়। বয়স্ক শাশুড়িকে রেখে আর বেরোনো হয়ে ওঠে না বিপাশার বরের সাথে। এভাবেই দেখতে দেখতে পুজো পার। পুজোর পরে নভেম্বরের শেষের দিকে একটা বিয়েবাড়ি আছে। বিপাশা ঐ ভীষণ পছন্দের শাড়িটা বার করলো আলমারি থেকে। পরবে বিয়েবাড়িতে। ভাঁজ খুলে পরতে গিয়ে আঁচল কাঁধে ফেলতেই দেখে ঠিক বুকের কাছ বরাবর ছোপছোপ দাগ। কিছু খাবার জিনিস পড়েই এমন দাগ। মেয়ে পুজোর সময় পরেছিলো শাড়িটা। তখনই এই বিপত্তি। জয় তো মেয়েকে খুব খানিকটা বকাবকি করলো। বিপাশাই থামালো। হাজার হোক ছেলেমানুষ... নিজের পেটের মেয়ে বৈতো নয়! ও ঠিক সময় করে নিজে একবার রিঠা দিয়ে বা লেবুর রস দিয়ে দাগটা তোলার চেষ্টা করবে। নাহলে লণ্ড্রিতে ড্রাই ক্লিনিং এ দিয়ে দেবে। অত পছন্দের শাড়িটা... জয়ের নিজের হাতে করে লুকিয়ে কিনে আনা। খুব অন্যরকম একটা আবেগ জড়িয়ে আছে শাড়িটার ভাঁজে ভাঁজে... সুতোয় সুতোয়।


******


কাল থেকে বেশ ক'বার ফোন পেলো বিপাশা ওদের পরিচিত লণ্ড্রি থেকে। তারপর সন্ধ্যেবেলায় নিজের সময়মতো জয়ের বাইকে চেপে গিয়ে লণ্ড্রি থেকে কাপড় নিলো বিল দেখিয়ে। তারপর হাঁ করে তাকিয়ে আছে বিপাশা, ভাবছে এগুলো কি সবই ওর শাড়ি? কবে কিনেছিলো? লণ্ড্রিওয়ালা বিকাশ... তখন বিপাশাকে বোঝাচ্ছে, "হ্যাঁ বৌদি আপনারই, এই দেখুন সবগুলো শাড়ির কোণেই আপনার নামের আর আপনার বিল নম্বরের ট্যাগ আটকানো।" আর বিপাশা তখনও চোখ কুঁচকে প্রবলভাবে মনে করার চেষ্টা করছে, "সত্যিইতো, কিন্তু কবে কিনেছিলাম শাড়িগুলো?" লণ্ড্রিওয়ালা বিকাশ আর বিপাশার বর জয় তখন ফ্যাকফ্যাক করে হাসছে। দেখেই বিপাশার গাটা রাগে জ্বলে যায়, একেই মনে পড়ছে না! বিলের তারিখ তো দু'বছর আগেকার! কোনো সূত্রই তো নেই বিপাশার কাছে যে শাড়িগুলো চিনতে পারবে! জয় মনে করায়, "এইযে, এই শাড়িটা... সেই শ্যামবাজারে দোকানের শোকেসে দেখে পছন্দ হয়েছিলো... মনে পড়ছে না?" বিপাশা স্মৃতি হাতড়াতে থাকে, "সত্যিই মনে পড়ছে না শাড়িটা এটাই কিনা!" অবশ্য ঘটনাটা মনে আছে বিপাশার একেবারে জ্বলজ্বলে হয়ে, কিন্তু শাড়িটা মনে পড়ছে না কিছুতেই। এদিকে জয় প্রাণপণে চেষ্টা করছে বিপাশাকে মনে করানোর, বিকাশও বারবার বলছে যে বিপাশা নিজেই এসে দিয়ে গেছে সব ক'টা শাড়ি। ঐ শাড়িটাতো নাকি বিকাশের বিশেষ করে মনে আছে দাগ তোলার কথার জন্যই। অগত্যা বিপাশা হেসেই বলে, "ওও, হ্যাঁ হ্যাঁ!" জয় কিন্তু বুঝেছে যে বিপাশার ঠিকঠাক মনে পড়েনি।


লণ্ড্রি থেকে শাড়িগুলো নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময়ে বিপাশা জয়কে পেছন থেকে জোর করে জড়িয়ে ধরেই বাইকে বসেছে। জয় খুব আস্তেআস্তে বাইক চালাচ্ছে। সেদিনও লণ্ড্রি থেকে ফেরার সময় খুব আস্তেআস্তেই চালাচ্ছিলো... তাও কী করে যে বিপাশা হড়কে পড়ে গেলো বাইক থেকে! মাথায় বিরাট চোটে টানা তিনমাস হাসপাতালে। তারপর বাড়িতে এলো ঠিকই কিন্তু মাঝখান থেকে মাঝখান থেকে অনেকটা করে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছে। এখনো ট্রিটমেন্ট চলছে। ডাক্তারবাবুর পরামর্শে জয় লণ্ড্রিওয়ালা বিকাশকে দিয়ে ফোনটা করিয়েছিলো... যদি পুরোনো পরিস্থিতি মনে করালে, পুরোনো জায়গা দেখলে আরো কিছু কিছু কথা মনে পড়ে বিপাশার। বাড়িতে ফিরে রাতের বিছানায় বিপাশাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে জয় ভাবে, "কাল সারাদিন বিপাশাকে নিয়ে ওর প্রিয় চেনাশোনা দোকানগুলোতে ঘুরবো... যদি আরো কিছু মনে পড়ে!" আজকাল তো বিপাশা আর একবারও নিজে থেকে বলে না... শপিং-এ যাবার কথা... শাড়ি কিনতে যাবার কথা। ওষুধ খেয়ে ঘুমোচ্ছে বিপাশা। বিপাশার কপালে চুমো খেয়ে মনে মনে জয় জীবনে প্রথমবার ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলে, "আমার শাড়ি-পাগল বৌটাকে ফিরিয়ে দাও ঈশ্বর।"








Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract