Riya Roy

Abstract Romance

2  

Riya Roy

Abstract Romance

কথা প্রেম গল্প

কথা প্রেম গল্প

8 mins
521


পার্কের চেয়ারে বসে অতীন মোবাইলে মধুছন্দার নম্বরটা ডায়াল করলো। ওপাস থেকে বিজি টোন এলো ।দু মিনিট পর আবার করলো একিই...

অতীন বিরক্তি প্রকাশ করে বলে উঠলো," ধুর...

সবসময় বিজি... কার সঙ্গে কথা বলে কে জানে..!"

একটা হাঁটু একটা পা উপরে তুলে বসে রইল। এদিক ওদিক  তাকাচ্ছে 


কিছুক্ষন পর.....


 মধুছন্দা এলো হাপতে হাপতে

 তারপর অতীনের পাশে বসলো তারপর  জলটা বার করে খেতে খেতে বললো, 

"অনেক ক্ষন এসেছো ..?আমার দেরি হয়ে গেলো"

অতীন মধুছন্দার দিকে তাকিয়ে

"কেন এত দেরি..?"

মধুছন্দা- --"কাজ ছিলো.."

অতীন এবার বললো, "ফোনটা তো বিজি ছিল ..! যত বার করলা..ম।"


মধুছন্দা বললো, "অতীন.... তুমি কি সন্দেহ করছো আমাকে..?"


অতীন--"তুমি তো বললে কাজ ছিলো তাহলে ফোনটা বিজি হচ্ছে কিভাবে..? "


মধুছন্দা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো, "ওই ফোনগুলো না কাজের ফোন । আর এত সন্দেহ করলে তো কোনো কিছু করাই যাবে না... আশ্চর্য....। বিশ্বাসটা না খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার ...।"


অতীন এবার বলে উঠলো, "এই তোমার ফালতু কথা বন্ধ করো.. আমি যদি কোনো মহিলা কলিগ এর সাথে কন্টিনিউ কথা বলি তোমার সন্দেহ হবে না ..! জেলাস হবে না..! তুমি এটা বলতে চাইছো..?"


মধুছন্দা  জোর দিয়ে বললো, " না হবে না... 

আচ্ছা... অতীন..আমি কি সেই স্কুলের মেয়ে নাকি ..!

যে প্রেম পড়ার পর ভয়ে ভয়ে থাকে।

তাছাড়া আমার একবারই জেলাস হয়েছিল ।

আমি আর গীতালি তখন ছিলাম কিন্তু তুমি আমার দিকেই এসেছিলে।" 


মধুছন্দা এবার তাকলো অতীনের দিকে।


 অতীন বললো, "আইসক্রিম খাবে..?"


মধুছন্দা এবার বললো, "কেন বলছো..! জানোইতো আমার ঠান্ডা .... তবে গীতালির সাথে প্রেম করলে কিন্তু তুমি আইসক্রিমটা খেতে পারতে।"


অতীন এবার বললো," তুমি না সত্যি, আমি ঝালমুড়ি আনছি বলেই উঠে গেলো।"


মধুছন্দার মৃদু হাসি..


ঝালমুড়ি খেতে খেতে কিছু ক্ষন পরে....


মধুছন্দা --"তোমার শিবুদা কোথায় গেল কখন আসবে..?


অতীন---" আজ আসতে পারবে না ওনার একটু অসুবিধা আছে..।কাল শিবুদা কি সুন্দর বাড়িটা দেখালো তোমার তো পছন্দই হলো না। একটার পর একটা তুমি রিজেক্ট করছো।

 

মধুছন্দা ---"শোনা ওটা তে ওই বিশাল একটা আর্চ মতো ওতটা খোলা..ফালতু।"


অতীন---"ভালোই তো হতো হাওয়া আসতো.. আলো আসতো.."


মধুছন্দা--"অতীন প্লীজ.! ওতো আলো না ভালো লাগতো না।তাছাড়া ঝড় হলে ধুলো আসতো..।"


অতীন বলে উঠলো, "কি বোকা বোকা কথা ..!

ঝড় হলে ধুলোতো হবেই । ধুলো হবে না..

ছোট বারন্দায়তেও তো ধুলো আসে।"


মধুছন্দা এবার বললো, "কে পরিস্কার করবে ...তুমি..?

আমার জানা আছে তোমরা ছেলেরা কত কাজ করো..।"


অতীন বলে উঠলো, "এই ...একদম বাজে কথা বলবে না..। সব ছেলেরা এক নয় সেটা বুঝতে হবে তোমাকে।"


মধুছন্দা--- "ঠিক আছে ঠিক আছে। রাগটা কমাও

আচ্ছা তোমার নাইট ডিউটি এখন কদিন হবে।"


অতীন বললো,"এখন চলবে ..। কবে আবার চেঞ্জ হবে জানি না।"


মধুছন্দা বললো,"এই আমাদের বিয়ের পর ও তোমার নাইট ডিউটি থাকবে..? ইস্ ...! উচিত না কিন্তু.."


অতীন এবার হেসে, "কেন ভালোই তো ..!

তুমি সকাল বেলা চাকরিতে বেরবে ।

তারপর আমি ঢুকবো , 

আমি সারাদিন তোমাকে মিস করবো, তোমার গায়ের গন্ধটা অনুভব করে কাটিয়ে দেবো।

 ঠিক তুমি যখন সন্ধে বেলা ফিরবে আমি তার আগেই ডিউটিতে বেরিয়ে যাব তুমি সন্ধ্যে থেকে আমায় ভাববে আর পাশের বাড়ির রেডিও থেকে গান আসবে..." তুমি যে আমার ..."


কথাটা বলতে বলতে অতীন মধুছন্দার কাঁধে হাত 


দিয়ে দুজনে 

খুব কাছাকাছি আবেগঘন মুহূর্তে দুটো ঠোঁট মিশতে যাবে ।

হঠাৎ মধুছন্দা তার তর্জনী দিয়ে অতীনের ঠোঁট থামিয়ে দিলো।


 অতীন তর্জনী ঠোঁটে চেপে নিজের মুঠোতে ধরে " কি হলো.."

মুঠো থেকে ছাড়িয়ে মধুছন্দা দেখালো...


অতীন বললো" কুকুর ...?


মধুছন্দা---"ও আমাদের দেখছে..!"অতীন --"ধ্যাত. ..যাতা...


মধুছন্দার হাসি..তারপর "আচ্ছা আবার ..."


অতীন --"না যাও ভাললাগছে না।

 

বাড়ি যেতে হবে চলো...।


মধুছন্দা---"আরে রাগ করছো.. কেন.?"


অতীন----"কুকুর দেখছে ...! আজব তুমি...!"


মধুছন্দা--"আচ্ছা শোন না ... ও কিন্তু সত্যি..." 


ধীরে ধীরে ওরা এগিয়ে গেলো।

রাস্তায় ভীড় , স্ট্রিটে আলো ছড়িয়ে গেছে ...।


তিন চার দিন পরে ....


পার্কের চেয়ারে বসে দুজনে।


মধুছন্দা বললো, " মার ওষুধটা না পাচ্ছি না ...জানো.."


অতীন-- "কেন .? আউট ওফ স্টক..?


মধুছন্দা --- "বোধহয়..


অতীন বললো, "আচ্ছা আমাকে প্রেসক্রিপশনটা দিয়ো আমি একবার দেখে নেবো।

 বাবার কয়েকটা ওষুধ গতমাসে এরকম আমারাও...

আচ্ছা, শোনো... শিবুদা আজ আসবে না। 

আর আগের দিন যে দুটো বাড়ি দেখালো তোমার তো পছন্দই হলো না কি খারাপ ছিলো...?"


মধুছন্দা ---"ওপেন কিচেন.. আমার ভালো লাগে না।"


অতীন--"হ্যাঁ এটাই লেটেস্ট চলছে এখন..

কি অসুবিধে..!"


মধুছন্দা বললো, "না মানে কোনো সারপ্রাইজ দেওয়ার হলে সব দেখা যাবে।"


অতীন ---"রান্না ঘর থেকে সারপ্রাইজ । ঘর থাকতে ... তোমার মাথা ঠিক আছে?"


মধুছন্দা--"না .. ধরো আমি কোনো বিশেষ ডিস তোমাকে খাওয়াবো ..তো তুমি সব দেখে ফেলবে.. সারপ্রাইজ থাকবে না।"


অতীন--"কি আশ্চর্য...বাজার তো...

 বাজার সেই আমাকেই করতে হবে তা এমনিতেই আমি বুঝে যাব । তাছাড়া তুমি কি রাঁধবে আমি জানি।"


মধুছন্দা-- "মানে টা কি ... কি বলতে চাইছো তুমি ..

আমি বাজে করি ...

বাজে রান্না করে তোমাকে খাওবো , 

যাও আমি আর কথাই বলবো না।"


অতীন ---"আরে না না , ইয়ার্কি ইয়ার্কি , আমি মজা করছিলাম তুমি আজকাল না.. কি হয়ে গেছো।

 ইয়ার্কি টাও বোঝো না। 

এই ভাবে বাড়ি পছন্দ না হলে বিয়েটাও তো পিছিয়ে যাচ্ছে বলো.... তাই বলছিলাম...."


মধুছন্দা অতীনের দিকে তাকিয়ে,,,"কোন সময় বিয়ে করা যায় বলতো..?

শ্রাবণ..."


অতীন----"ধুস .পাগ..ল ...."


মধুছন্দা-- "কেন ..?কী খারাপ.."


অতীন --"কল কল করে বৃষ্টি , প্যাচ প্যাচে কাদা.."


মধুছন্দা--"কেন কি সুন্দর...

 হালকা মেঘ ...ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি... কি দারুন ..!


অতীন--"না দারুন নয়


মধুছন্দা বলে উঠলো, " কেন নয় কি খারাপ ...

তুমি বললেই হলো দারুন না ...

সমস্ত রোমান্টিক ব্যাপার বৃষ্টি তে থাকে।

কত কাব্য কত কবিতা।


অতীন---"তাতে কি..? বৃষ্টির মধ্যে ভালো করে কথায়ই শোনা যাবে না। তার উপর বাজ পড়লে তো কথাই নেই... পুরো বিয়ের রাতটাই মাটি।

তার চেয়ে বৈশাখ ভালো, কি সুন্দর রাতের দিকে দক্ষিণ হাওয়া দেবে।"


মধুছন্দা বলে উঠলো, ইস... কি পছন্দ ....তোমার ?

ঘেমে একাকার হবে সবাই। আর যদি দক্ষিন হাওয়া না আসে, যদি লোর্ডসেডিং হয় তখন

আর সাজগোজ সব গলে যাবে..।"


মধুছন্দা আবার বললো ,,,"এই যাও তো ।

তোমায় বিয়ে করতে হবে না।"


অতীন বললো, " আরে শোনা রাগ করার কি আছে.?.. সে পরে ভাবা যাবে।

 চলো না আজ...ক্লোড কফি... 

 ও... সরি সরি তোমার তো...

 ঠিক আছে আমরা কাটলেট খেতে পারি ।

চলো হ....।"


মধুছন্দা বলে উঠলো, 

"না... পরি না। 

কাটলেট খেতে।

বাড়িতে বানিয়ে খেয়ে নিও ।

অনেক দেরি হয়ে গেছে।

 এবার ফিরতে দেরি হয়ে যাবে। মাকে গিয়ে হেল্প করতে হবে।

 তোমাকেও তো ডিউটিতে যেতে হবে।"


অতীন মুখ নীচু করে বললো,, "হমমম ...চলো...বাড়িই চলো..."


কয়েকটা মাস পর আবার শিবুদার সাথে বাড়ি দেখে ফিরে।


দুজনে পার্কে ঢুকলো মধুছন্দার গলা

"এই চুপকরোতো ..

রাস্তায় গায়ে বাড়ি ।

ওই খোলা জায়গায় লোকে হা করে তাকিয়ে থাকবে ।"

অতীন--- "তো ওখানে কাঁচের পাল্লা দিয়ে দিলেই তো হয়ে যাবে।"

মধুছন্দা ---"খুলতেই তো পারা যাবে না তাহলে আলো বাতাস আসবে কোথা থেকে। "


দুজনে কথা হওয়াতে ভাসছে । বিকেলের সূর্য ... পার্কে অন্য লোকজনের চলাচল , দোলনায় বাচ্চার শব্দ , খিলখিল হাসি। আর সন্ধ্যে নেমে এলো।

 

কয়েক দিন পরে...


মধুছন্দা পার্কে বসে অতীন এর দিকে তাকিয়ে, 

"আচ্ছা অতীন... জীবন সাথী ...মানেই কি...

 সবসময় কাছে কাছেই থাকতে হবে, অনেক দূরে থেকে ও তো ভালোবাসা যায় , যায় না বলো..?"


অতীন---"হঠাৎ এ প্রশ্ন... কেন যাবে না,

 ভালোবাসা থাকলে যত দূরেই থাকুক না মানুষ প্রেমটা ঠিক বেঁচে থাকে। এই যে তোমার সাথে আমার অনেক সময় দেখা হয় না । তখন কি আমি তোমার কথা ভাবি না। কাছে থাকলেই শুধু প্রেম তা নয় ,দূরে থাকলেও মন ঠিক খুঁজে বেড়াবে।


মধুছন্দা অতীনের গা ঘেঁষে বললো, "সে তো আমিও তোমার কথা ভাবি। তোমাকে মিস করি।"


কিছু টা সময় ধরে দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে ।


তারপর মুখ নীচু করে মধুছন্দা বলে উঠলো,

"এই শোনো

তোমার বিনীতা দির কথা মনে আছে..?


অতীন--"কে বিনীতা..?


মধুছন্দা--"ভুলে গেলে সেই যে আমার অফিসের..."


অতীন বলে উঠলো, "ও হ্যাঁ ...হ্যাঁ ...তোমার কাজের দোষ বার করতো। আগে তো অফিস থেকে ফিরলেই বিরক্ত থাকতে ওনার জন্যে।"

  

মধুছন্দা--- "সে উনি এখনো আমাদের জুনিয়র স্টাফেদের দোষ বার করে। তবে ওনার লাইফটা খুব ইন্টারেস্টিং।"


অতীন-- "কিরকম."


মধুছন্দা--"উনি না বিয়ে করেনি..জানো।


অতীন--"তো এটা আর এমনকি ব্যপার.."


মধুছন্দা বললো,"আরে না না ...ওর একজন বয়ফ্রেন্ড আছে তার সাথে ঘুরতে যায় বছরে এক দুবার করে।"


অতীন বললো, "মানে এই বয়ফ্রেন্ডটা আবার কে..?"


মধুছন্দা --"বিনীতাদির সাথে কলেজ লাইফ থেকে এনার সম্পর্ক ; বিনীতাদির চেয়ে বয়সে বড়।"


অতীন বলে উঠলো, "ও ..বুঝেছি নিশ্চিত বিয়েটা বাড়িতে মত ছিলো না লোকটা অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। কিন্তু লোকটা তার প্রেমিকাকে ভুলতে পারেননি তাই ... বছরে হয়তো...এ তো সহজ ব্যপার।

 আমার সাথে হলে আমার ও ব্যাথা লাগতো ।

এই তুমি যদি অন্য একজন কে বিয়ে করে চলে..."


মধুছন্দা সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলো, " এই তুমি

আলফাল বকা বন্ধ করবে।

ওরকম নয় ... তাহলে আর বলছি কি।

লোকটার বিয়ে হয়নি।

লোকটা জাপানে থাকে যখন যখন দেশে ফেরে তখন তখন ওরা বেড়াতে যায়।"


অতীন একটু হেসে 

"এ আবার কি ...!

তাহলে বিয়ে করেনি কেন..?


মধুছন্দা বলে উঠলো,

"সেটাই তো রহস্য... তাই তো তোমায় বলছি কি হতে পারে বলোতো..?"


অতীন বলে উঠলো, 

"বিয়ে করে কোথায় জাপানে চলে যাবে তা না এখানে তোমাদের দোষ বার করছে.. আজব কোনো গোলমাল তো আছে নিশ্চিত।


মধুছন্দা--"আরকেটা ব্যপার আছে...

 উনি ওনার বাবা কে খুব ভালোবাসতেন নাকি তাই জন্য ওনার বাবা সব সম্পত্তি ওনাকে লিখে দিয়ে গেছেন।

ওনারা তিন বোন এক ভাই 

কেউ পেলো না শুধু উনি।"


অতীন--"ও বাবা... তোমার বিনীতাদি তো বড়ো ধরনের পলিটিশিয়ান।

 সব সম্পত্তি বাবা কে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে।

আচ্ছা , 

ওনার এই প্রেমটা বাড়িতে সবাই জানে?"


মধুছন্দা--"কি জানি ..!

তবে বছরে তো দুবার করে ছুটি নেয়, অবশ্য কোনো কোনো বার আসে না, মাঝেমধ্যে ওর মেজাজ খুব খারাপ থাকে, তখন আমাদের দোষ বার করেন। এবার গেছিলো কোথায় একটা ঘুরতে।

কিন্তু ওনার বয়ফ্রেন্ড এর কথাটা বাকিদের কাছে চেপে গেলো।

শুধু আমাকেই একবার অফিসে বলে ফেলেছিলো জানো।"

অতীন বলে উঠলো মৃদু হেসে-,"তোমাকে তারমানে বিশ্বাস করে। আর এদিকে তুমি গোয়েন্দা গিরি চালাছো।"

মধুছন্দা হেসে ফেললো তারপর বললো,

"জানোতো ওখানে গিয়ে না বিনীতাদিকে বাঁদরে কামড়ে ছিলো হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে অফিসে এসছিলো আর ওই রক্তমাখা শাড়িটা দাগ গুলো দেখালো আমায়।

 কি রোমান্টিক ব্যাপার ... ভাবো উনি ওনার বয়ফ্রেন্ড এর জন্য খাবার আনতে গেলো।

 আর ফেরার সময় বানরদের আক্রমন তারপর লড়াই করে রক্তাক্ত হয়ে গেলেন তারপর লোকটা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল রাত্তির ধরে সেবা করলো কি ভালো না..."


অতীন অন্যদিকে তাকিয়ে---- "হমমম..

তারপর উনি ওই রক্ত মাখা শাড়ি না কেচে ওটাই পরে অফিস চলে এলেন। ইস্... জঘন্য ব্যপার ।"


মধুছন্দা---"এই ঠিক বলেছো তো..!

ওই শাড়িটা লন্ড্রি তে কাচাতে না দিয়ে পরে চলে এলো।

অতীন--"তোমার বিনীতাদির মাথায় গন্ডোগোল আছে। ওদের প্রেমটায় না গোন্ডোগোল আছে আমি বলছি।"


মধুছন্দা বলে উঠলো,

"কিন্তু যাই বলো তুমি, আসলে বয়ফ্রেন্ড এর অ্যবসেন্স টাই অনুভব করছিলো তাই তো শাড়িটা পরে এলো বেড়াতে যাওয়ার দিন গুলো যাতে মনে করতে পারে।

 আসলে কিন্তু ওরা খুবই রোমান্টিক কিন্তু কেমন যেনো দূরে দূরে সেই জাপান আবার কবে আসবে তারপর । কোনো কোনো বার আসেও না। 

এই দেখো 

 তুমি কিন্তু আমার থেকে দূরে যাবে না কখনো। আমার কথা ভাবা বন্ধ করবে না।আর আমি রেগে গেলেও তুমি কিন্তু ছেড়ে যাবে না আমাকে।


অতীন-- --"শোনো আমাকে লাক্ষ টাকা দিলেও না... আমি ওই জাপান টাপান যাবো না। আর কোনো ঝামেলা হলে তোমার সঙ্গে টানা ঝগড়া করবো। যখনই দেখা হবে তোমাকে বকাবকি করবো।"

মধুছন্দা-- "আমি কেঁদেই ফেলবো তাহলে, শুধু বকবে।"

অতীন ---" না না তাহলে তো একঘেয়ে হয়ে যাবে ।ভালোবাসা ও থাকবে।"

মধুছন্দা হাসতে হাসতে অতীনের হাত ধরে কাঁধে মাথা রেখে ।

পার্কে লোকজন , গাছের পাতাগুলোর শিরশির, সূর্য এর আভায় প্রজ্জ্বলিত চারিদিক। 


অতীন হাসতে হাসতে কিছু ক্ষন পর বলে উঠলো, "এই দেখো সেই সেদিনের কুকুরটা আবার দেখতে এসছে আমাদের"

মধুছন্দা-- ধ্যাত এরকম হয় নাকি..! কোথায় ওর গায়ে কালো দাগ ছিলো এটা অন্য।"

অতীন-- " মোটেই না এই সেই ...


এভাবেই কথার পরে কথা আর প্রেম চলতে থাকলো দুজনের। 






Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract