Riya Roy

Drama Tragedy Others

3  

Riya Roy

Drama Tragedy Others

ত্রুটিপূর্ণ

ত্রুটিপূর্ণ

8 mins
252


ছাদের চিলেকোঠায়, 

ঝিনুকের চারিদিকে ছড়িয়ে পুতুলের সংসার

ঝিনুক সেদিন একটা লালচে হলুদ রঙের ফ্রক পরে আপন মনে পুতুল নিয়ে খেলে চলছে।। 

ঝিনুকের বন্ধু রিতু একিই পাড়ায় থাকে ছুটতে ছুটতে এসে বললো, "এই ঝিনুক জানিস ছন্দা দিদিকে দেখতে কত্ত লোক এসেছে !!" 

ঝিনুক বলে উঠলো, "ছন্দা দিদিকে দেখতে লোক এসেছে কেন? 

রিতু বললো, "ছন্দা দিদির বিয়ে হবে তাই তো এসেছে, 

ঝিনুক -- "ছন্দা দিদির বিয়ে হবে!! তুই ওর বর কে হবে দেখেছিস।"

রিতু-- "না রে বুঝতে পারিনি.."


রিতু , "চল আমরা পুতুল খেলি."


ঝিনুক--" এই শোন তুই বলেছিলিস আমার এই পুতুলের সাথে তোর পুতুলের বিয়ে দিবি!!"


রিতু-- "হ্যাঁ দেবো তো, তবে কথা বলতে হয়, অনেক দিন সময় লাগে তারপর পাকা দেখা হয়, আর্শীবাদ হয় তারপর বিয়ে।" 

ঝিনুক -- "বাব্বা কত কিছুই না তুই জানিস এই মোনালিসা, বর্ষা আসবে না আজ খেলতে।"


রিতু-- "কি জানি তবে ওদের ও বলতে হবে আমাদের পুতুলের বিয়ে দিচ্ছি।।"


ঝিনুক -- "দারুন মজা হবে.."


দুজনে মিলে খুব হেসে উঠলো।।

ঝিনুক রিতু দুজনেই তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।। 


মোনালিসা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী আর বর্ষা ও ।।ওরা সবাই একসাথে প্রায় পুতুল নিয়ে খেলে , ঝিনুকের বাড়িতে ই বেশি সময় ওরা খেলে।।


একদিন সেই ঝিনুকের পুতুলের সঙ্গে রিতু র পুতুলের বিয়ের দিনটা চলে এলো, ওদের সঙ্গে মোনালিসা, বর্ষা ছিলো।। 


বর্ষা বললো, " ও মেয়ে পক্ষের হবে আর মোনালিসা ছেলে এর পক্ষে।।"


শুরু হয়ে গেলো ওদের পুতুলের বিয়ে।। 

ঝিনুকের মেয়ে পুতুলকে কত গুছিয়ে সাজানো চলছে, এদিকে রিতুর ছেলে পুতুল।।


মোনালিসা গাছের ফুল দিয়ে মালা গেঁথে ফেললো।।

দিনটা ছিল রবিবার।।


ঝিনুক এর মা খুবই ভালো মানুষ উনি বললেন," কি খুব তো বিয়ে বিয়ে হচ্ছে তো সারাদিন শুধু পুতুল পুতুল ।খাওয়া দাওয়া ও তো করতে হবে নাকি শুধু বিয়ে দিলেই হবে!! তা বরপক্ষ কনেপক্ষের খাবার কি?

মোনালিসা বললো, "কাকিমা ওসব কিছু আমরা জানি ই না।।"

রিতু বললো, "হ্যাঁ আমরা তো ভাবিনি।।"


ঝিনুকের মা-- "আজ তবে সবাই এখানে খেয়ে যাস।। "


বর্ষা বললো, "তুমি কি রান্না করবে আজ?"

ঝিনুকের মা--"খাবার সময় দেখতে পাবি?

ঝিনুক--- "উহঃ কত দেরি হচ্ছে বিয়েটা কখন হবে নে নে তোরা শুরু কর ।"

মোনালিসা উলু দিতে শুরু করলো।। দেখতে দেখতে ওদের পুতুল খেলার বিয়ে ও হয়ে গেলো।।


কিন্তু পুতুল বর আর পুতুল কনে কে যখন ঝিনুক একসাথে নিতে গেলো তখন সে খেয়াল করলো পুতুল বরের হাতটা যেনো কেমন একটু ভাঙা ।। 


এতদিন এসব কিছুই বুঝতে পারেনি ঝিনুক।। ঝিনুকের ভীষণ বিরক্তি শুরু হলো। 

রিতুর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়ে গেল ঝিনুকের।।


 বর্ষা বলল, "রিতু এটা তুই ঠিক করিস নি তোর পুতুলের হাত ভাঙা জানালি না কেন?"

মোনালিসা --"এখন আর ভেবে কি হবে!! তোরা ঝগড়া করছিস কেন?"


ঝিনুক--" আমি আর খেলবো না আর তোর পুতুল নিয়ে চলে যা।"

রিতুর -- "তাতে কি হয়েছে একটু হাতাটা ভাঙা তো।

যাদের শরীরে সমস্যা বা ত্রুটি থাকে তাদের কি বিয়ে হয় না??

ওই তো ও পাড়ায় থাকে তৃপ্তি কাকিমা তার বরের তো পায়ে একটা কি আছে , পা টাকে টেনে হাঁটে।। তারপর মোড়ের কাছে চায়ের দোকানে র কাকু টা কানে কম শোনে তার ও কি বিয়ে হয়নি।। ওর ও তো বউ ছিল আমি দেখেছি।। ত্রুটিপূর্ণ লোকজন কি জীবনের পথে বাঁচবে না, ওদের কি অধিকার নেই ? ওরা কি ...


মোনালিসা বললো, "ছাড়না ঝিনুক !!

রিতু ওত ভাবেনি।"


ঝিনুক ভীষণ রাগ দেখিয়ে উঠে চলে যাচ্ছে

তখন ,

রিতু বলে উঠলো--"আচ্ছা তুই এই যে ঝগড়া করছিস যদি তোর সঙ্গে এরকম হয় কখনো তখন কি করবি।।"


বর্ষা-- "এ আবার কি!! রিতু... তুই এসব কি বলছিস।।"


মোনালিসা--" তোরা চুপ কর এবার।"


শেষপর্যন্ত সেদিন সব কিছু ফেলে ছড়িয়ে ঝিনুক চিলেকোঠা থেকে এসে ঘরে চলে গেলো ।। 


তারপর থেকে ও আর কোনো দিন পুতুল খেলে না।। সবাই কত বলছে কিন্তু ও কারোর কথাই শোনেনি।। আর রিতুর সাথে একেবারে কথা বলতো না ঝিনুক ।।

মোনালিসা বর্ষা কত বার বলেছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।।

দেখতে দেখতে কতগুলো বছর পেরিয়ে গেলো ওরা সবাই বড়ো হলো।।


মোনালিসা র বিয়ে হলো ।।

বর্ষা চাকরি করতে দূরে গেলো।। 


রিতু বিয়ের দিন ঝিনুক দের নিমন্ত্রণ ছিল।। 

কিন্তু ঝিনুক গেলো না।। 

মোনালিসা বর্ষা কত বার বললো, সেই ছোট বেলার রাগ নিয়ে এখন ও থাকবি ।ছাড় রিতুর বিয়েতে চল।। কিন্তু ঝিনুক এর সেই জেদ।।


বছর ঘুরে গেল ....


এরপরে ঝিনুক এর বিয়ে ঠিক হলো।। 

ঝিনুকের বাবা অসুস্থ ছিলো তাই ঝিনুকের বিয়েটা তড়িঘড়ি করে ঠিক হলো , বেশ বড় বাড়ি, অনেক লোকজন, ঝিনুক দের থেকে অনেক বড়লোক পরিবার।। তাই তো ঝিনুক এর মা বাবা নিশ্চিন্তে রাজি হয়ে গেল।  ঝিনুক ও অত কিছু না ভেবেই বাবার মায়ের কথা মতো বিয়েটা করলো।। 


এখন ঝিনুক শ্বশুর বাড়ির নিজের ঘরের জানালায় মাথা ঠেকিয়ে এই পুরনো কথাই ভাবছিলো, সেই রিতু, বর্ষা, মোনালিসা ওর ছোট বেলার বন্ধু , 


ছোটোবেলার পুতুল খেলা থেকে আজ।।


ঝিনুকের চোখ দুটো জলে ভিজে।। মনে মনে বলছে, রিতু তো ঠিকই বলেছিলো।। কোনো শরীরের সমস্যা থাকলে কি তার বিয়ে হবে না। !! সেদিন পুতুলের বিয়ে তে যেটা মানতে পারেনি আজ সেই রকমই একটা জীবন ঝিনুকের।। 


ফুলশয্যার রাতে ঝিনুক যখন অপেক্ষা করছে তার জীবনসঙ্গী র জন্য ঠিক সেই মুহূর্তে ঘরে ঢুকলো ঝিনুকের বর।। বেশ সুঠাম চেহারা, সুন্দর দেখতে ঝিনুক এর বরকে দেখে কিন্তু ঝিনুক বেশ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে, ভাবছে তার কাছাকাছি আসছে।। 


কিন্তু একি ঝিনুক এর বর নিশীথ ঘরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জোরে জোর এ পায়চারি করছে।। ঝিনুকে র সাথে নিশীথ এর বিয়ের আগে কথা হয়নি।।


খুব তাড়াতাড়ি দেখাশোনা আর বিয়ের প্রস্তুতি হয়েছে।।


 বিয়ের দিন নিশীথের সুন্দর চেহারা দেখে সবাই প্রশংসা করছিল।। নিশীথ চুপচাপ ছিল সেদিন।। 

আজ এরকম দেখে ঝিনুক পুরো হতভম্ব।


ঝিনুকের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নীশিথ এমন করছে কেন?

ঝিনুকে বললো," তুমি এরকম করছ কেন?

কি হয়েছে , ? কিছু হয়েছে, ?তোমার কি কিছু হয়েছে ?"।


নিশীথ বললো, "চলে যাও, তুমি চলে যাও, এসেছো কেন এখানে?

আমার সঙ্গে থাকতে, !!তুমি পারবে না থাকাতে পারবে না !!"

নিশীথে র চোখ মুখ কেমন রাগ রাগ অদ্ভুত।।



ঝিনুকে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো।।


যখন চোখ মেলে দেখলো তখন দেখলো ওর পিসি শাশুড়ি এসেছে ওকে ডাকছে ।।


তিনি বললো, "তুমি জানো না নীশিথ কেমন ছেলে ?"

ঝিনুক উঠে বসলো, চারিদিকে দেখলো, দেখলো নীশিথ কোথাও নেই।। 


ঝিনুক জিগ্গেস করলো , "এত রাতে উনি কোথায়?" 


পিসি শাশুড়ি, ---"নীশিথ কে ছোটাছুটি করতে দেখেই বুঝতে পারলাম কিছু গোলমাল হয়েছে।। নীশিথ ঘর থেকে বেরিয়ে হয়তো চিলেকোঠায় চলে গেছে।।"


ঝিনুক --"কিন্তু কেন আর ওনার অদ্ভুত আচরণের কারন কি?"


পিসি শাশুড়ি -- "তার মানে তুমি কিছুই জানো না।। আর কিছু বুঝতে পারনি তাই বিয়ে করছো।। নীশিথ এর নার্ভের অসুখ আছে, মাথার সমস্যা আছে।। আর ওর মা ওকে ওষুধ খেতে না দিয়ে দিয়ে ওকে পাগল করে তুলছে।। নীশিথের এটা নিজের মা নয়।। ওর ছোট বেলায় পড়ে গিয়ে আঘাত লাগে তখন ওর মা বেঁচে ছিল তখন।।  সেই সময় লোলিতা আসে নীশিথ এর মায়ের জ্যেঠুর মেয়ে আর এখান থেকে কলেজ করতো লোলিতা‌‌।। ধীরে ধীরে সব বদলে গেলো লোলিতা সব কিছু কে নিজের মতো সাজাতে থাকলো।। এদিকে নীশিথ কে নিয়ে ব্যস্ত থাকতো ওর মা আর, ওই লোলিতা নীশিথ এর মাকে মেরে ফেললো খাবারে বিষ দিয়ে।। কিন্তু কেউ কিছু প্রমান করতে পারেনি।।


ঝিনুক জিগ্গেস করলো, "নীশিথ এর বাবা কেন এসবের প্রতিবাদ করেনি।।"


পিসি--, " দাদা তখন বেশি সময় ব্যবসার

কাজ এ বাইরে থাকে তাই সবকিছু ওত বোঝেনি আর আমি সব জানলেও সবকিছু প্রমান করতে পারিনি শেষে তো আমার বিয়ে ঠিক হয় গেল ওই লোলিতা ই তড়িঘড়িই দাদাকে বলে আমার বিয়েটা দিলো।। তারপর নিজেও দাদাকে বিয়ে করলো আর ধীরে ধীরে লোলিতা সব কিছু ওলোট পালোট করে দিলো, 

এই সম্পত্তি, টাকার লোভেই লোলিতা নীশিথ কে সুস্থ হতে দেয়নি, ওর নিজের ছেলে মেয়ে যদিও ভালো, তবে ও কাউকে ই কোনো কথা বলতে দেয় না, নিজের হুকুম চালায়।।"


সব কিছু শুনে ঝিনুক কান্নায় ভেঙে পড়লো বললো, তাহলে উনিতো আমাকে ও সেই একই ভাবে চালাতে চেষ্টা করবেন আমি কি কিছু করতে পারবো, আমার কথা শুনবে না তো উনি, যেখানে উনি বাবাকেই মানেন, অনেক বছর আগে ওনার মাকে খুন করেছে , ।


পিসি ঝিনুক কে বোঝাতে চেষ্টা করলো বললো, ঝিনুক.. তুমিই পারবে নীশিথ কে একটা সুস্থ জীবন দিতে, তুমি তো ওর স্ত্রী, লোলিতা আর কিছু করতে পারবে না, ওর চিকিৎসা করাও তুমি, দেখবে ও ভালো হয়ে যাবে, তোমার নিজের অধিকার এ তুমি চেষ্টা করো , এই সম্পত্তি তো আমার বাবার ছিল তাই এই সম্পত্তি র বেশি অংশ বাবা তার নাতি নীশিথ কে দিয়ে গেছিলেন, তারপর তো বাবাও চলে গেলো আর নীশিথের মা ও, আর লোলিতা সব কিছু কে গ্রাস করলো।।  


আমি বুঝতে পারছি তোমার এখন খুব অসহায় লাগছে হয়তো এখান থেকে চলে ও যেতে পারো কিন্তু আমি তোমাকে ভরসা করি, তুমি কথা দাও ওর পাশে থাকবে, নীশিথ কে তার ন্যায্য জীবন পেতে তুমি তার স্ত্রী হিসেবে সাহায্য করো ।।"



দেড় বছর পর....


ঝিনুক আজ তার বাপের বাড়ি এসেছে।। 

ঝিনুক এর এই ঘটনাটা এখন সবাই ধীরে ধীরে জেনেছে।

ঝিনুক এসেছে শুনে রিতু আজ ছুটে এলো ওদের বাড়ি সঙ্গে মোনালিসা বর্ষা ও আছে।। 


মোনালিসা রিতুকে নিয়ে এলো ঝিনুকের সামনে।।

রিতু কাঁদতে কাঁদতে বললো, "বিশ্বাস কর ঝিনুক...!! ছোট বেলার তোকে বলেছিলাম যে কথা সেই টা ছোট ছিলাম বলেই বলেছি আসলে আমি ভাবতে পারছিনা তোর বিয়ে যার সাথে হয়েছে তার এরকম মাথার অসুখ। আমি কিন্তু ওটা এমনি বলেছিলাম যে তোর সাথে এরকম কারুর যদি.... সরি রে সরি.. জানি না তুই আমায় ক্ষমা করবি কিনা..., ছোট ছিলাম তাই কি বলতে কি বলেছিলাম , তারপর তুই সেই যে রাগ করলি আর ....।।

বর্ষা বলে উঠলো-- "এই ঘটনা শোনার পর থেকেই আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছি রে ঝিনুক।"


মোনালিসা --" হ্যাঁ তুই কি ভাবে আছিস তাই নিয়েই আমরা ভাবছি, এতদিন বাদে তোকে দেখছি ।।"


রিতুর দিকে তাকিয়ে ঝিনুক ও কেঁদেই ফেললো, তারপর বললো--" নারে আমি সত্যি ই বুঝেছি আমি ভুল ছিলাম, আমি মিথ্যে তোর উপর রাগ দেখিয়েছি সেদিন তুই ঠিক বলেছিলিস।।  

 সত্যি ই তো কারো কোনো শরীরের ত্রুটি 

থাকলে , সমস্যা হলে সে কি তার জীবনে পাশে কোনো সঙ্গী পাবে না।। তার পাশে কি কেউ থাকবেনা ??

আমি আজ বুঝি ।। তোর বলা কথাগুলো খুব সত্যি।। তুই ছোট হয়ে ও সেদিন অনেক জ্ঞানী কথা বলেছিলিস আমার বুঝতে দেরি হলো বলেই আমি মিথ্যে রাগ করেছি, ত্রুটি বিষয়টা বুঝতে কত সময় লাগলো।। পুতুল খেলাই আমাদের অনেক বড়ো করে দিয়েছিলো।।"

মোনালিসা--" তোর বর এখন কোথায়?"

ঝিনুক --" দাঁড়া তোদের সঙ্গে আলাপ করাই ,এখন অনেক ভালো আছে।। সমস্যা অনেক কম।।

ঝিনুক নিয়ে এলো ওর বরকে , আলাপ করালো।। নিশীথ --" বন্ধু হও তোমরা ঝিনুকের ও.. 

ঝিনুক ওরা আমাদের বাড়ি যাবে না।" 

বর্ষা --" আপনি বলেছেন যখন তখন যাবো।।"

নিশীথ -- হাসলো...

রিতু -- "এই একটা কোথাও সবাই মিলে ঘুরতে গেলে হতো না।।"

বর্ষা-- "হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছিস।"

নিশীথ -- "আমাকে কেউ কখনও ঘুরতে নিয়ে যায় নি

ঝিনুক তোমার বন্ধু রা ভালো খুব ভালো।

বলতে বলতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল....।।

মোনালিসা -- "এখন ঝিনুক তুই কি পারবি ঘুরতে যেতে? সম্পূর্ণ কি সুস্থ হবে কোনো দিন তোর বর


ঝিনুক --" জানি না চেষ্টা চলছে, আগে তো তোর দেখিসনি !!!এখন অনেক ভালো।।

আমার সৎ শাশুড়ি জন্য ওর এই অবস্থা, ।।"

রিতু -- "কি বলছিস?"

ঝিনুক -- "হ্যাঁ ফুলশয্যার রাতে পিসি শাশুড়ি র থেকে সব কিছু শুনে কি করবো বুঝতে পারছিলাম না তারপর নীশিথ এর সাথে থেকে গেলাম, জানি না কি হবে, সৎ শাশুড়ি র বাজে আচরণ থেকে ওকে আর নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।"

রিতু-- "তুই আজ থেকে আমাদের কেও পাশে পাবি তোর কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাবি।"

মোনালিসা -- "হ্যাঁ আমরা সবাই তোর পাশে আছি।"

বর্ষা এসে সবাই কে একসাথে জড়িয়ে ধরে বললো কি যে ভালো লাগছে সেই ছোট্ট বেলার পুতুল খেলার দিন গুলো মনে পড়ে গেল।। 

ঝিনুক বললো, " চল ছাদের চিলেকোঠায় আজ সারাদিন আমরা গল্প করবো।"

বাকি রা ও বলে উঠলো হ্যাঁ চল চল ....।।


ওরা আবার একে অপরের সঙ্গে আবেগে ভেসে গেলো আর ফিরে গেল সেই ছোট্ট বেলার দিন গুলোতে।।
















Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama